ফিরিওয়ালার গল্প

সেকালে পথেঘাটে মেছুনিরা বাড়ি বাড়ি মাছ ফিরি করে বেড়াত। ঊনবিংশ শতকের খাদ্যরসিক কবি ঈশ্বরগুপ্ত লিখেছেন, নেটা, বেলে, গুড়গুড়ি প্রভৃতি মাছ এক ঝুড়ি তিনি এক আনা পনে মেছুনিদের কাছ থেকে কিনে আনতেন। ‘হুতোমপ্যাঁচার নকশা’ গ্রন্থে হুতোম মেছুনি প্রসঙ্গে লিখলেন, শোভাবাজারের রাজাদের ভাঙা বাজারের মেছুনিরা প্রদীপ হাতে করে “ও গামচা-কাঁদে, ভালো মাচ নিবি? ও খ্যাংড়া-গুঁপো মিন্সে চার আনা দিবি”- ইত্যাদি মিষ্ট ভাষণ প্রয়োগ ক’রে ক্রেতাদের ডেকে নিতেন।
শাঁটুলবাবুর শতবর্ষ

কলকাতার কথাকার, বাঙালিয়ানার শেষ প্রতিমূর্তি, লেখক-চিন্তক-পাঠক-গবেষক শ্রী রাধাপ্রসাদ গুপ্ত পা দিলেন শতবর্ষে। তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য, সুতীক্ষ্ণ রসবোধ, কৌতুকময়তা, শিল্পসাহিত্যের ঈর্ষনীয় সংগ্রহ, অননুকরণীয় বৈদগ্ধ্য আজও রসিক বাঙালিকে মুগ্ধ করে, বিস্মিত করে। তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে সংকলনগ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বাংলালাইভ। এই উপলক্ষে ‘শাঁটুলবাবুর সেঞ্চুরি’ নামে বিশেষ সংখ্যাও প্রকাশিত হয়েছে বাংলালাইভের পাতায়।