‘যো’ লেখা টিশার্টেই প্রথম মুগ্ধতা

Jogen Chowdhury

সম্প্রতি যোগেনবাবুকে নিয়ে তথ্যচিত্রটির কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি আমরা। ওঁর কলকাতার বাড়িতে, যেখানে ছবি আঁকার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন উনি, এবং শান্তিনিকেতনের বাড়িতে শুটিং করা হয়।…

ভো কাট্টা (কবিতা)

Rabindranath Tagore

তোমার প্রসাদে মহাবিশ্বের নট-নটি নাচে তাতা থৈথৈ।
আমি তার পর ভরাপেটে আকাশ দেখি
আমার আকাশ, তোমার আকাশ, ওখানে তুমি থাকো ঠাকুর?

দায়মোচন – পাঠ ধ্রুবজ্যোতি নন্দী

রবি ঠাকুরের কবিতা – দায়মোচন। পাঠ করেছেন ধ্রুবজ্যোতি নন্দী। ‘মহুয়া’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত এই কবিতা লেখা হয় ১৯২৮ সালের অগস্ট মাসে। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলের শ্রদ্ধার্ঘ্য। কবিতাপাঠ – ধ্রুবজ্যোতি নন্দী। ভিডিও সম্পাদনা ও আবহ – অরূপ দাশগুপ্ত

নিজের রবীন্দ্রনাথ (প্রবন্ধ)

Illustration by Suvomoy Mitra

দুর্ভাগ্যবশত, ওই সময় যাঁদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল, পরে বুঝেছিলাম, তাঁরা কেউই রবীন্দ্রনাথকে ভালবাসতে পারেননি। পরবর্তীকালে কোনো কোনো মানুষকে দেখেছি, যাঁরা হয়তো ধুতি পাঞ্জাবিই পরেন, সভা সমিতিতেও হয়তো যান, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে সত্যিকার ভালবাসেন।

রবি থেকে সত্যজিৎ: প্রবাহ-পরম্পরা (প্রবন্ধ)

Rabindranath Tagore

তবে কি ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সত্যজিতের মতো বহুমুখী প্রতিভাও রবীন্দ্রনাথের গানকে এমন নবীকরণ করেছিলেন সজ্ঞানেই! যদিও তিনি তাঁর অন্যান্য চলচ্চিত্রেও রবীন্দ্রনাথের অনেক গানের ব্যবহার করেছিলেন সযত্নেই। এই প্রসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিতে অমিয়া ঠাকুরের কন্ঠে ‘এ পরবাসে রবে কে’ গানটির প্রয়োগ চলচ্চিত্র জগতে একটি মাইলস্টোন হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।

তোমায় আমি দেখিনি (কবিতা)

Illustration by Suvomoy Mitra

এমন দিনে, ছল ছেড়ে দিই যত
ভালবাসার আয়াসে বিক্ষত
মেঘ যেরকম আকাশ পেলে ডাকে…

তোমার সাড়া পেয়েছি, তাই জানি
আবার আমায় বদলে দেবে গানই
হঠাৎ কোনও পঁচিশে বৈশাখে!    

নববর্ষের প্রাতঃসূর্য

Rabindranath coming out of Upasana Mandir

শান্তিনিকেতনের প্রখর দাবদাহ আর জলকষ্টের জন্য এই বছর থেকেই নববর্ষের দিন রবীন্দ্রজন্মোৎসব পালনের রীতি শুরু হয়। এই রীতি চলে অনেকদিন পর্যন্ত। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে এই রীতি পরিবর্তন করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নববর্ষ আর রবীন্দ্রজন্মোৎসব আলাদা করে দেওয়া হয় কারণ “সেমেস্টার সিস্টেম” চালু হয়ে যাওয়ায় পঁচিশে বৈশাখ তখন থেকে আর গরমের ছুটির মধ্যে পড়ে না। শান্তিনিকেতনের নববর্ষ ও রবীন্দ্রজন্মোৎসব শুধু উৎসব ছিল না কোনও দিনই। বাংলা নতুন বছরের দিনে সে ছিল বাংলা ভাষার উৎসব, বাঙালির সংস্কৃতির উৎসব।

ঝড়কে পেলেম সাথি

Norwester storm

শান্তিনিকেতনে, বলা ভালো গোটা রাঢ়বঙ্গেই কালবৈশাখীর দাপট বাংলার অন্যান্য অংশের চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশিই। তার প্রমাণ তো গুরুদেবের অজস্র গানের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। আমি গানের মানুষ, তাই ঝড় উঠলেই মনে হয়, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’-এর প্রতিটি মীড়েই কি ধরা নেই লাল মাটির উপর কালবৈশাখীর তাণ্ডব? কিম্বা ‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে, বৃষ্টি আসে মুক্তকেশে, আঁচলখানি দোলে’-র সুরের দুলুনিতে তো প্রায় বৃষ্টির ফোঁটা হাওয়ার টানে ছিটকে এসে পড়ে গানের খাতার ওপর! ‘হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড়’ না গাইলে বুঝি কালবৈশাখীর বাউল বাতাসকে শরীরে অনুভব করা যায় না! ‘ওই বুঝি কালবৈশাখী’ গানে যেমন করে কালবৈশাখীর রূপের মধ্যে অরূপের বাণী তুলে আনেন কবি, সে যে জীবনের করালঝড় সামলে চলার শিক্ষা!