স্মরণে শ্রীমধুসূদন

Feature about Michael Madhusudan Dutt

১৮৫৬ সাল, একদিকে দেশজুড়ে সিপাহি বিদ্রোহের টালমাটাল, এরই মধ্যে বিদ্যাসাগর মশায়ের উদ্যোগে বিধবা-বিবাহ আইন পাস হল, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দীনবন্ধু মিত্র লিখলেন ‘নীলদর্পণ’ নাটক। সরকার সে নাটক নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। আগুনের ফুলকির মতো ‘নীলদর্পণ’ বাংলার আনাচে-কানাচে অভিনীত হতে থাকল। বলা হয়, এসময় জেমস লঙ সাহেব মাইকেল মধুসূদন দত্তকে অনুরোধ ক’রে রাতারাতি এই নাটকের ইংরাজি অনুবাদ করিয়েছিলেন এবং তাঁকে সরকারের রোষ থেকে বাঁচাতে অনুবাদক হিসেবে নিজের নাম দিয়েছিলেন। তবে মধুসূদনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি নিঃসন্দেহে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’। একমাত্র এই কাব্যটি তিনি গোটা একটি বছর ধরে রচনা করেছিলেন। অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা এই কাব্যে তিনি লঙ্কেশ্বর রাবণকে দেশপ্রেমিক, স্নেহময় পিতা ইত্যাদি নানা মহত্বে ভূষিত করেছেন। অন্যদিকে রামকে পররাজ্যলোভী অধম নর হিসাবে লিখেছেন।
লিখলেন শিখা সেনগুপ্ত…

মাইকেলের বীরাঙ্গনারা

Michael Madhusudan Dutta Sonnet Portrait মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর সনেট বাংলা কবিতা

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ আপাতভাবে ভারতীয় হিন্দু পুরাণ ও মহাকাব্যের নারীর জবানি হলেও, এর অন্তরে সমসময়ের অন্দরমহলের ছায়া স্পষ্ট। হিন্দু পুরাণ আর মহাকাব্যের পরিচিত, স্বল্প পরিচিত, প্রায় অপরিচিত নায়িকাদের চিঠির আকারে তৈরি এই কাব্যের কাল্পনিক চিঠিগুলোর পরতে পরতে থাকে অভিযোগ, আকুতি, প্রশ্ন। প্রশ্ন পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে, অভিযোগ পুরুষের প্রবঞ্চনার বিরুদ্ধে। বোঝাই যায়, এইসব বয়ান নিছক […]