অলোকরঞ্জনের প্রচ্ছদ-কাহিনি: এবার চলো বিপ্রতীপে

অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের ‘এবার চলো বিপ্রতীপে’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদের শিল্প নির্দেশনার গুরুদায়িত্ব পড়েছিল লেখকের কাঁধে। তিনি তখন ওই প্রকাশনায় কর্মরত। কী ভাবে তৈরি হল সেই প্রচ্ছদ… গল্প শোনালেন নির্মলেন্দু মণ্ডল।
বাহিরে নয়, বাহিরে নয়, উপভোগের অন্দরে

দুর্গাপুজো মানেই উপভোগের সময়। ভোগ অর্থে রসাস্বাদন। ভোগ অর্থে আনন্দবিলাসের একান্ত আত্মীকরণ। পুজোর এই সময়টাতেই উপভোগের জলে মুখ ডুবিয়ে বাঙালি আকণ্ঠ টেনে নেয় সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, অবসর, বিনোদন। সেই জলেই পা ছোঁয়ালেন হাত ছড়ালেন অদিতি বসু রায়।
দু’বিঘে আকাশে আমি ধেনো মদের মতো মেঘ গিলি

বাদলা করে এলে মনকেমনের উথাল পাহাড় ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে লাফ দিয়ে চলতে চাই। প্রতিটি লাফেই স্মৃতির কাদা, অতল মাখামাখি, রুখু মাটিতে মাতাল করা জলগন্ধ। বর্ষার রোম্যান্স আর নস্টালজিয়ায় ভেজালেন অনিমেষ বৈশ্য।…
দাম্পত্যের কালবৈশাখী

যদি অন্ত্যমিল না থাকে দুজন মানুষের দাম্পত্যে, যদি বৃষ্টি না-নেমে সবকিছু স্নিগ্ধই না-হয়ে যায়, তখন তারা থাকবে কেমন করে পরস্পরের সঙ্গে? মাছ আর পাখির মতো? একজন জলে, অন্যজন আকাশে? সেইভাবে এক ছাদের নিচে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বসবাসে ভালোবাসা কি বেঁচে থাকে? সফল দাম্পত্যে ওই তীব্র অধিকারবোধের আকাঙ্ক্ষার থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন নির্ভরতা আর বিশ্বাস। যখন দু’টি মানুষের মনের মধ্যে যোজনবিস্তৃত ব্যবধান আলসেমির রোদ্দুর মেখে শুয়ে থাকে… দীঘল কালো চুলের সর্পিল বেণীটির মতো.. তাকেই বলা যেতে পারে বহুব্যবহারে জীর্ণ দাম্পত্য এবং তখনই কালবৈশাখী ঝড় ওঠে আচমকা।
কখন যে ঝড় আসে

কোনও কালবৈশাখীই অকালবৈশাখী নয়। কারণ কালবৈশাখীর মধ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা আছে যা নিষ্ঠুর , কিন্তু নিয়তিনির্ধারিত। প্রকৃতির মধ্যে এই সৃষ্টি এবং ধ্বংসের লীলা নিয়ে যে প্রচুর রোমান্টিক এবং আধ্যাত্মিক কাব্য রচিত হয়েছে, তা মনে হয় এখন আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দুর্গার প্রবল বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার মতো বা জ্বরের মধ্যে পড়ে বাইরে প্রবল ঝড়ের আবহে প্রতি মুহূর্ত সেই অনিশ্চয়তার সঙ্গে দাবা খেলার মতো কালবৈশাখীকে ভিলেন বা অশনির দূত হিসেবে মনে করার পিছনেও সম্ভবত ভুল কিছু নেই।
লড়াই যখন পাঞ্জা কষার

খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সালে মিশরের সম্রাটবর্গ অর্থাৎ ফরাওদের প্রাসাদ, উপাসনাস্থল, মিনার, গম্বুজ, এমনকি পিরামিডের দেয়ালেও একাধিক জায়গায় পাঞ্জা যুদ্ধের চিত্র খোদাই করা রয়েছে। ফারাও রামেসিস দ্য থার্ডের অত্যন্ত প্রিয় ছিল এই পাঞ্জা দ্বৈরথ।
আপনি কনডাকটর না ইনসুলেটর?

ছোটবেলায় ধারণা ছিল ইলেকট্রিকাল কনডাকটার-এর আবিষ্কর্তা পাড়ার মিঠুদা। ওর দু’মহলা বাড়ির স্টোররুমের একটা দেওয়াল সারা বছর স্যাঁতস্যাঁতে। দেওয়ালের উপরের দিকে, এক কোণে একটা পেল্লায় মিটার বক্স। সেখান থেকে মোটা-সরু হরেক রকমের তার এদিক ওদিক হাঁটা লাগিয়েছে। একবার শাস্তিস্বরূপ বেচারা সন্তুকে কান ধরে দাঁড়াতে হয়েছিল ওই দেওয়ালের দিকে পিঠ করে। রাস্তায় বুলটিদির গলার আওয়াজে মিঠুদা একটু […]
পাখি-পিছুধাওয়া লাটপাঞ্চোরে

একদিকে প্রায় ৭৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড়, অন্য দিকে খাদ। গভীরতা বোঝা যায় না। ঘন জঙ্গলে ঢাকা। মাঝে ফুটখানেক চওড়া একটা পায়ে চলা পথ। সাবির বার বার সাবধান করছিল রাস্তা থেকে চোখ না সরাতে। কিন্তু সাবিরের বাবা সকালেই জানিয়েছিলেন ডানদিকের ওই খাদ থেকেই কয়েকটা দিন আগে উপরে উঠে এসেছিল একটা ব্ল্যাক প্যান্থার। তাই না চাইলেও একবার […]