ছাপা বই ও এক অর্বাচীন পাঠকের ভাবনা

a view of a book reader

জয় গোস্বামী প্রণীত কৃষ্ণেন্দু চাকী চিত্রিত ‘হরিণের জন্য একক’ যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন এই বইটির সামগ্রিক সজ্জাই নির্মাণ করা হয়েছিল সুচিন্তিতভাবে। আপাত দৃষ্টিতে অশিক্ষিত-অর্বাচীনের চোখে প্রায় অ্যালবামের মতো একটি বই তার প্রচ্ছদ থেকে বাই-কালারের মুদ্রণ— সমস্তকিছুর মধ্যেই পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। হরফের মাপ ছোট-বড় হয়েছে, আকার বদলেছে কবির বক্তব্য অনুযায়ী।

বই ছাপার আগে পরে কী ভাবেন লেখক? নতুন বই কেনার আগে পাঠকের চোখই বা কী খোঁজে? বইয়ের মুদ্রণের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবনা উশকে দিলেন রাজদীপ রায়

লেটার প্রেসের এপিটাফ

Bitter History Printing Press worker

মনিদার মুখে গ্যালি প্রুফ কথাটা প্রথমবার শুনে খুব মজা পেয়েছিলাম। গ্যালিলিও গ্যালিলির কীর্তি তখন পড়েছি সবে। ভাবলাম, মহান বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর সঙ্গে এর নিশ্চিত গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এমনও মনে হল যে, ওইটির আবিষ্কার গ্যালিলিও-র হাতেই! এই কথাটা মনের গোপন থেকে বাইরে এনে প্রেসে হাসির হিল্লোল তুলে দিয়েছিলাম একদিন।
… নীলার্ণব চক্রবর্তীর কলমে

১৯৭৬-২০২৩: বইমেলার একাল সেকাল

Cover story on Kolkata book fair

কলকাতায় ফিরে সেইবার বইমেলায় গেলাম প্রথমবার। কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার আগে যখন আনন্দবাজারে কাজ করেছিলাম তখন ‘রান্নার বই’ নামে লীলা মজুমদারের একটা বই আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বেরিয়েছিল। সেই প্রথম আমার আঁকা বই বেরোনো। বইটা হাতে পেলাম দিল্লিতে বসে। খুব আনন্দ হয়েছিল বইটা হাতে পেয়ে। কারণ প্রথমত- আমার প্রথম অলঙ্কৃত বই, দ্বিতীয়ত – লীলা মজুমদারের লেখা। অনেকগুলো ছবি এঁকেছিলাম বইটাতে।

…প্রথম বইমেলার স্মৃতি থেকে আজকের বইমেলা, কতটা বদলালো চেহারা-চরিত্র? লিখলেন অনুপ রায়

মলাট কাহিনি: তিনটি কবিতা

3 poems Hindol Bhattarcharya

একটি ইংরেজ আমলের ঘড়ি আমাদের ঘরের ভিতর বেজে যায়। যেন পার্ক স্ট্রিটের কবরখানা। আমি তোমাকে রামপ্রসাদ শুনিয়েছিলাম একদিন। নদীর জল থেকে উঠে আসছিল এক পোড়া বাঙালির দেহ। অল্প অল্প ধোঁয়া তখনও গায়ে লেগে আছে। চোখদুটো বিস্ফারিত। মারাঠা দস্যুদের ভয়ে যেন তিরতির করে কাঁপছে সদ্য জন্ম নেওয়া ধান গাছের চারা।

বাংলালাইভ মলাট কাহিনিতে কবি হিন্দোল ভট্টাচার্যের লেখা তিনটি নতুন কবিতা…

পাতা না পর্দা, তুমি কোন দল?

Book reader v/s e book reader

হিসাব বলছে, সারা দুনিয়ায় গড়ে প্রতি বছর যে পরিমাণ নতুন বই প্রকাশিত হয়, তার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। এগুলো অবশ্য সবই প্রকাশিত হয় প্রাতিষ্ঠানিক প্রকাশনা সংস্থা থেকে। এর সঙ্গে যদি নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে ছাপানো বইকেও যোগ করতে হয়, অর্থাৎ যে উদ্যোগকে আমরা সাধারণত সেল্ফ পাবলিশিং বলে জানি, তাহলে বছরভর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছাড়ায় ৪০ লক্ষ। গুগল বুকসের একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৪৪০ সালে গুটেনবার্গ সাহেবের ছাপাখানার দ্বার উন্মোচনের পর থেকে সারা পৃথিবীতে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৩ কোটি, সেল্ফ পাবলিশিংয়ের বই বাদ দিয়ে।

মঞ্জু ফুটবলই খেলবে

Indian Women football

১৯৭৫ সালে যখন উইমেন্স ফুটবল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া তৈরি করে মেয়েদের ফুটবলের প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হল, তখন সুশীল ভট্টাচার্যকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রথমে বাংলা, তারপর ইন্ডিয়ার জন্যে টিম বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার। এইভাবেই শান্তি মল্লিক, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার, মিনতি রায়, শুক্লা দত্ত, জুডি ডিসিলভাদের খুঁজে পেয়েছিলেন সুশীলবাবু। ১৯৯১ পর্যন্ত মহিলা ফুটবল টিমের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি, আর তাঁর ছাত্রীরাও তাঁকে নিরাশ করেননি।
… লিখলেন ধ্রুবজ্যোতি নন্দী

মার্তা- এক সমান্তরাল ইতিহাসের মূলস্রোতে আসার দস্তান

Marta women in football

মার্তার ফুটবলার হিসেবে উঠে আসার ইতিহাসও রোমাঞ্চকর। ব্রাজিলের পথে পথে ফুটবলের ঘ্রাণ, সেই অলিগলি ফুটবলের দেশে প্রায় সমস্ত মহাতারকারই উত্থান হয় গলি ফুটবল থেকে, দারিদ্রের মোকাবিলা করেই উঠে আসেন তাঁরা। মার্তার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

বৈষম্যের খেলায় আর কতদিন?

women in sports

ঘোড়া যাঁর ক্রীড়নক, সেই সিনিসকা ঢুকতে পারলেন অলিম্পিকে। ভাই রাজা আজেলিয়াস-২ তাঁকে সেই ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। তিনি তার পর তো কামাল দেখালেন। না, নিষেধ ভেঙে অলিম্পিকের মাঠে ঘোড়ায় তিনি চড়েননি। কিন্তু তাঁর চার-ঘোড়ার রথে তাঁর নিযুক্ত ঘোড়সওয়ার, অর্থাৎ কিনা তাঁর টিম ঘোড়দৌড়ে জিতে গেল।