বোধশব্দ: বাংলা কবিতার বিপণন এবং বিশ্বায়নের ধাঁধা

এবার এই সমস্ত কথা আলোচনার পর ওই নিবন্ধের সূত্র ধরেই পরবর্তী সময়ের এক কবির মত শুনে নেব। শ্রীজাত। ওটি প্রকাশিত হওয়ার দিন কয়েক পর, ১৬ জুলাই ২০১৬-র একটি ফেসবুক পোস্টে জয়ের কলামটির প্রতি অনুরাগের কথা জানিয়ে শ্রীজাত তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। লক্ষ করতে হবে, জয়ের থেকে পৃথক সময়বৃত্তে জন্মানো ও বেড়ে-ওঠা এক তরুণ কবি একই বিষয়কে কীভাবে অন্য আতশকাচে দেখছেন। এ-দৃষ্টি শুধু নব্বই দশকের এক কবিরই নয়, বিশ্বায়িত বাংলার এক মাল্টিডাইমেনশনাল সমাজ ব্যবস্থার প্রতিনিধিরও। সেই অবস্থান থেকে, শ্রীজাত ওই একই পরিস্থিতির সাপেক্ষে নিজের যে-মনোভঙ্গি ব্যক্ত করেন, তা তাঁর থেকে প্রায় দু-দশক আগে জন্মানো এক অন্য সমাজ পরিসরে বেড়ে-ওঠা জয় গোস্বামীর পক্ষে মেনে নেওয়া, অন্তত পুরোটা, একটু কঠিন তো বটেই। অথচ যুক্তিবোধের খাতিরে শ্রীজাতর প্রস্তাবনাও কাবিল-এ-তারিফ।
বোধশব্দ: স্মৃতির পেজমার্ক

তখন ছোটোদের উপহার দেওয়ার চল ছিল কম। তবু জন্মদিনে বা মামাবাড়ি বেড়াতে গেলে যে একমেব উপহার আমি পেতাম, তা হল বই। ফলে ভাই-বোনদের বাদ দিলে বই ছিল ছোটোবেলার একমাত্র বন্ধু। যে ক-টা বই পাওয়া যেত তারা সব একেবারে বুকের ধন। তা সত্ত্বেও সেই ইশকুলবেলা থেকেই বইয়ের মার্জিনে লিখতাম।
বোধশব্দ: এখন এইরকম

একাধিক লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকের মনোবাসনা এখন প্রমোটরতুল্য, লক্ষ্য প্রকাশক হয়ে ওঠা, হয়েও উঠেছেন কেউ কেউ। এঁদের মধ্যে দু-এক জন তো সত্তর-আশির দশক থেকে লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করছেন। তখন ছিল জেদি, তেজি, ছিপছিপে দু-আড়াই ফর্মার কবিতাপত্র। এখন পৃথুলা, বর্ষীয়ান বিশিষ্ট কবি-লেখকের সঙ্গে নবীন কিশোর কবিতাপ্রয়াসীদের লেখায় পরিপূর্ণ, শুধু চরিত্র-আদর্শ এসবের বদল ঘটে গিয়েছে। ঘটেছে একেবারে ব্যাবসার প্রয়াসে। মুনাফা অর্জনে।
বোধশব্দ: স্থৈর্যে অসফল এক যাত্রা (সম্পাদকীয়)

এই সময় থেকে কবিতাকেন্দ্রিক, কিন্তু বিষয়ভিত্তিক কাজই করে এসেছে ‘বোধশব্দ’। কোথাও একটা ফোকাস্ড হওয়া জরুরি মনে হয়েছিল। যে-কাজ কেউ করছে না, আদৌ করা যায় কি না তা নিয়েই হয়তো সংশয় রয়েছে, অথচ করা উচিত— সে-ধরনের কাজই করতে চাওয়া হচ্ছিল।