কাপলস আর ওয়েলকাম (গল্প)

অর্ক পৈতন্ডি Arka Paitandy

টিভি চালিয়ে বিছানায় আরাম করে গুছিয়ে বসল দিব্য। এ.সি অন করে একটা হাল্কা লাইট জ্বালিয়ে বাকিগুলো নিভিয়ে দিল। বাইরে দুপুর হলেও এই ঘরের ভারি পর্দাগুলো সেই গনগনে আলো আটকে রেখেছে। বেল বাজতে দিব্য উঠে গিয়ে দরজা খুলল। কফি এসে গেছে। রুম সার্ভিসের ছেলেটি মিষ্টি হেসে বলল -“স্যার, লাঞ্চের অর্ডার করতে হলে কিন্তু প্লিজ দু’টোর মধ্যে করে দেবেন। মেনু কার্ড টেবিলের ওপরেই রাখা আছে। “দরজা বন্ধ করে কফি নিয়ে বিছানায় এসে বসল দিব্য। সুহেলি বাথরুম থেকে বেরিয়ে বাইরের জামাকাপড় ওয়ার্ডরোবে রেখে নিজেও কফি নিয়ে বিছানায় দিব্যর গা ঘেঁষে বসে পড়ল।

উত্তরাধিকার (গল্প)

Arka Paitandi illustration অর্ক পৈতণ্ডী

“সাহেব, গুড প্রন, ভেরি চিপ। একটু পাঠিয়ে দিই?” কাঠে করাত ঘষার মত গলায় নাসিমের প্রশ্নটা শুনে অ্যালেক্সের চিন্তাজাল ছিঁড়ে গেল। কতক্ষণ এখানে এসেছে সে, কে জানে? বাইরে আবার পিটপিট করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দু চারটে ল্যাণ্ডো বা হ্যাকনির শব্দও শোনা যাচ্ছে। নাকের সামনে ভনভন করে চলা মাছিদুটোকে হাত নাড়িয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করতেই, কে জানে কী বুঝে নাসিম চলে গেল।

উদযাপন

Abstract Art Face Publicdomainpictures.com

গোপন দিয়েছি, দিয়েছি ঠোঁটের আদিম / প্লেট সেজেছে আঁশগন্ধে চোবানো তারায়

আজগুবি চাল বেঠিক বেতাল

Illustration for Leela Majumdar Special Feature লীলা মজুমদার

আমি লীলা মজুমদারকে আবিষ্কার করলাম, ‘আর কোনোখানে’ বইটি পড়ে। ‘তুঙ্গভদ্রার তীরে’ শেষ হল না, মন ঘুরে বেড়াতে লাগল শিলং পাহাড়ের এক অপরিচিত বালিকার পায়ে পায়ে, ঠিক যেন আমার খড়দা ছেড়ে কলকাতায় আসার একরাশ মনখারাপে, আলুর ঝালুর গপ্পো। এরপর তো কলেজ। ‘স্বপন বুড়ো’, ‘মৌমাছি’, ‘জীবন সর্দার’ ছাপিয়ে, মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর। আর গোগ্রাসে নভেল গেলার সময়ে এসে গেল, ইংরেজি বইগুলোও। তখন বুঝলাম, কিশোরী বেলায় যা কিছু নভেল বাংলা অনুবাদে পড়েছি, তার মধ্যে কয়েকটির অনুবাদকও এই লীলা মজুমদার।

হেয়ারড্রায়ার কিসসা (গল্প)

Illustration for short story hair dryer

মেমসাহেবের কেতাদুরস্ত স্নানঘরেই ঝুলে থাকত হেয়ারড্রায়ারটা। প্রথম প্রথম বড় লোভ হত সুদক্ষিণার। ভাড়াটে হয়ে এ বাড়িতে যবে থেকে সে উঠেছে, তবে থেকেই দেখছে সেটাকে। কিন্তু অন্যের জিনিস বলে হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখবে বা নিজের চুল শুকনোর জন্য ব্যবহার করবে বলে ভুলেও ভাবেনি সে। ছুঁয়েও দেখেনি। কারণ সুদক্ষিণার মাথায় একরাশ কালো চুল নেই। এদেশে আসার আগেই সে বয়কাট করে ফেলেছে। তাই চুল শুকনোর ঝামেলাও নেই। তবুও রোজ চানঘরে ঢুকেই সুদৃশ্য বেসিন কাউন্টারের পেল্লায় আয়নার পাশে ঝুলতে থাকা হেয়ারড্রায়ারটায় চোখ পড়ে।