শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২১)

পরদিন মাঝরাতে আটঘড়ার জমিদার বাড়ি ঘিরে ফেলল এক-দেড়শো জনের বিশাল ডাকাতদল। সদর দরজায় বসে ঝিমোতে থাকা কোম্পানির দুই তেলেগু সেপাই, কাঁধ থেকে বন্দুক নামানোর আগেই গুলি খেয়ে লটকে পড়ল মাটিতে। প্রাসাদের মধ্যে থাকা বিশ তিরিশজন পাইক লেঠেল বাহিনী ঝড়ের মুখে খড়কুটোর মত উড়ে গেল বিশ্বনাথের দলের সামনে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২০)

গতরাতে আটঘড়া গ্রামে এক জমিদার বাড়িতে জনাপঞ্চাশ মিলে ডাকাতি করতে গিয়েছিল ওরা। তার আগে বিশ্বনাথের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ওখানকার বাবুদের হুমকির চিঠিও পাঠিয়েছিল। পাল্টা চিঠিতে জবাব এসছিল। একটি লাল পয়সাও দেওয়া হবেনা। যা পারো করে নাও।
সন্ধিপত্র (কবিতা)

প্রেম আর বিরহ – মানবসম্পর্কের দুই হাতে এই দুই আবেগের মন্দিরায় রিনরিন রিনরিন… বসন্ত এসেও কেন আসে না?
ভালোবাসার ছাদ বারান্দা জানলা কার্নিশ (কবিতা)

আমরা জিভের ব্যবহার শিখেছি, জেনেছি গভীরে আঁধার পেরিয়ে
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দেখা বৃষ্টি আসলে
ভালোবাসায় ভিজে যাওয়া চোখের সোহাগ
অপলক …
ক্ষণিক-প্রভা (ছোটগল্প)

তুমি কিন্তু ওই তীব্র চোখ ঝলসানো আলোর মাঝখানেও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। ঠিক সেই সময় বাড়ি থেকে দু’জন দৌড়ে বেরিয়ে এসে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির দিকে দৌড়োতে শুরু করল। তুমি তখনও হেসে যাচ্ছ। হাত নেড়ে যাচ্ছ।…
দু’টি কবিতা

একফালি আকাশ চোখে পড়ে শুধু সান্ত্বনার মতো
এখন কুয়োই ঘর, এখন খনন করা কাজ
কোথায় রয়েছে সেই শিলালিপি? আর কত দূর?
ডিসচার্জ (ছোটগল্প)

আমাদের এই বিনিময় কারও চোখে পড়েনি। কী আশ্চর্য, আমাকে ছাপিয়ে সে ছুঁতে চাইছে আমার নাচ? অথচ মহড়ায় কোনওদিন কোনও কথাই তো সে বলেনি!
দু’টি কবিতা

আমারও তো বাকি ছিল গান
যা তুমি লেখোনি
তাই লিখব বলে জ্বেলে দেওয়া আলো