দেবী (কবিতা)

দেবীর অধিষ্ঠান তো কেবল দেবালয়ে নয়, পথের প্রান্তে। সে কথা সকলেই জানি আমরা। তবু কি দেবীপূজার ক্ষণে মনে রাখি ঝাঁটা বালতি ন্যাতা নিয়ে আসে সেই নারীদের? রোজ রাতে মাতাল স্বামীর হাতে নিগ্রহ সয়েও যে দেবীরা রোজ ইট বালি বয়ে সন্তানদের মুখে গরাস তুলে দেন? তাঁদের নিয়ে পদ্য লিখলেন সেবন্তী ঘোষ।
হয়তো বৃষ্টি হবে (কবিতা)

এও এক বোশেখের হাঁটুজল
খোলামকুচির দ্রোহকাল,
অলিখিত খাজনা আদায়।
ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে
যাবতীয় চুপিসার … অন্ধকারের ফুল।
সাধের আসন (কবিতা)

ফুটোফাটা জোড়াতালির যাপন। তাকে সুচের সূক্ষ্ম ফোঁড়ে বেঁধে রাখার আয়াস। নকশি কাঁথার মতো বুনে বুনে চলা রোজকার সুখ দুঃখ দৈনন্দিনতার ওঠাপড়া। সেবন্তী ঘোষের কলমে…
সন্ধিপত্র (কবিতা)

প্রেম আর বিরহ – মানবসম্পর্কের দুই হাতে এই দুই আবেগের মন্দিরায় রিনরিন রিনরিন… বসন্ত এসেও কেন আসে না?
ভালোবাসার ছাদ বারান্দা জানলা কার্নিশ (কবিতা)

আমরা জিভের ব্যবহার শিখেছি, জেনেছি গভীরে আঁধার পেরিয়ে
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দেখা বৃষ্টি আসলে
ভালোবাসায় ভিজে যাওয়া চোখের সোহাগ
অপলক …
দু’টি কবিতা

আমারও তো বাকি ছিল গান
যা তুমি লেখোনি
তাই লিখব বলে জ্বেলে দেওয়া আলো
বলে দাও (কবিতা)

আমি আসছি রিনি, সাড়ে পাঁচশো জন্মের
এবড়োখেবড়ো রাস্তা পেরিয়ে তোমার দেখা পেয়েছি।
দ্যূতক্রীড়া

আধুনিক আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে মনে রেখে এক সাবলীল রাজ-আখ্যান বুনেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়, আধুনিক বাংলা পদ্যে।