ছায়াপথ পেরিয়ে (ছোটগল্প)

আসলে সিদ্ধান্তটা আমাদের দু’জনের। আমরা দু’জনেই তো ঠিক করেছিলাম। ভালবেসেছি, তাই ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখব দু’জনে মিলে। সবাই যা করে, সেই বিয়ে বাচ্চা সংসার বাচ্চাকে ডাক্তার বানানো… না, এসব আমরা করব না। তাহলে সেই শেষ পর্যন্ত দু’টো কথাই থাকবে— অ্যাডজাস্টমেন্ট আর কম্প্রোমাইস… ভালোবাসা থাকবে না। খোলা ছাদে পাশাপাশি শুয়ে দু’জনে একসঙ্গে সন্ধেতারা ফুটে উঠতে দেখব না তখন।
ডিসচার্জ (ছোটগল্প)

আমাদের এই বিনিময় কারও চোখে পড়েনি। কী আশ্চর্য, আমাকে ছাপিয়ে সে ছুঁতে চাইছে আমার নাচ? অথচ মহড়ায় কোনওদিন কোনও কথাই তো সে বলেনি!
বিপ্রতীপ (বড়গল্প) দ্বিতীয় পর্ব

ভোটপর্ব নির্বিঘ্নে সমাধা করে বাড়ি ফিরে এসে আশ্চর্য এক স্বপ্ন দেখে বিপ্রতীপ। আর তারপর আসে সেই ফোন। ফোনের ওপারে বিপ্রতীব বোস। নিবাস দুর্লভপুর। সে কী করে হয়?
বিপ্রতীপ (বড়গল্প) প্রথম পর্ব

স্কুলশিক্ষক বিপ্রতীপ বসু অবসরের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। পোলিং অফিসার হিসেবে এই তাঁর শেষ ভোট। ভোটগ্রহণ করাতে দুর্লভপুরের উত্তরপ্রান্তে ছোট একটি গ্রামে এসে পৌঁছয় সে। তারপর? …
দু’টি নারীঘটিত গল্প

দু’টি ছোট্ট ছোট্ট গল্প। দু’য়েরই কেন্দ্রে নারীচরিত্র। আর তাদের নানা সংস্কার, নানা মনোবিকলন! ঋতা বসুর কলমে…
যত দূরেই যাই (শেষ পর্ব) (বড়গল্প)

দ্যুতিদীপা অসংখ্য মানুষের মুখ দেখতে থাকে। লিফ্টম্যানের তিতিবিরক্ত মুখ, চড়া লিপস্টিক পরা রিসেপশনিস্টের ভাবলেশহীন মুখ, এবং অগণিত নিকটজনেদের উদ্বিগ্ন, সন্ত্রস্ত মুখ। অসুখ, অর্থব্যয়, বিচ্ছেদের ভারে ক্লিষ্ট মানুষেরা অধীর অপেক্ষায় বসে থাকে এইখানে, এই লাউঞ্জে।…
যত দূরেই যাই (প্রথম পর্ব) (বড়গল্প)

বিশ্বের যাবতীয় মুগ্ধতার ঘোর নিমেষে ভেঙে দিতেই বোধ হয় মোবাইল ফোনের জন্ম হয়েছিল। বিতনুর ফোনে গায়ত্রীর ফোন আসে। ডাক্তারখানা থেকে নিরাপদে ফ্ল্যাটে ফেরার পৌঁছসংবাদ। চকিতে সেলফোন হাতে নিয়ে বারান্দায় বেরিয়ে যায় দ্যুতিদীপা।…
একটুকু ছোঁয়া লাগে (গল্প)

কিন্তু এখন একটা অজানা টেনশন কাজ করছে লীনার মনে। কই একটু আগেও তো এমন মনে হচ্ছিল না। ফোনটা ধরল না সে। সঙ্গেসঙ্গেই কেকার ফোন। নাহ! এবার স্নানে অব্যাহতি দিতেই হবে। গা মুছতে মুছতেই আবার দূর্বার ফোন।