কবিতা: মার্গারেট রাধিকা গোমেজ

বাইশ বছর ধরে শুয়ে আছ ঠান্ডা, কালো পাথরের পাশে,ওবেলিস্ক জড়িয়ে জড়িয়ে বনজুঁই উঠেছে উপরেতারপর সব শূন্য দেখে ফের শুঁড় নামিয়েছে।তোমার জন্মসাল মুছে গেছে, মৃত্যুর তারিখ এখনও যাচ্ছে পড়াবাইশ বছর শিরিষ গাছের ছায়া, ফুলের রঙিন চুলউড়ে এসে পড়েছে এখানে রাধিকা গোমেজ!তোমাদের ধর্মে কোন পুনর্জন্ম নেইতাই তোমাকে ছোঁয়ার জন্য এপিটাফে ক্লান্ত ঠোঁট রাখি
দুটি কবিতা

তুমি জানো/ অতিরিক্ত খাদ আমাতে ছিল না কখনও/ অনন্ত নদীর জলে কে দিল মরনঝাঁপ এ যাত্রাতে… সঞ্জয় চক্রবর্তীর কবিতা
কবিতা: দোল

কুসুমিত চতুর্দিক। প্লাবিত চতুর্দিক। উৎসারিত চতুর্দিক। নেশা লেগেছে ঐ… দূর-রঙের বাড়িটিতেও। দাঁড়িয়ে আছে মধ্যাহ্ন। একা। … ঝিলম ত্রিবেদীর রঙিন আখর।
দু’টি কবিতা

পাতার একদিক অন্ধকার করে ফেলে/ তারপর তাদের ভাবনার সুগন্ধে/ গর্ভিনী হয়ে ওঠে/ জুঁই গন্ধরাজ কামিনী…. বাপ্পাদিত্য রায় বিশ্বাসের কবিতা।
রংয়ের কবিতাগুচ্ছ

রং লেগেছে জলে স্থলে ফুলে ফলে। দোলপূর্ণিমা এসে গিয়েছে। কৃষ্ণ খুঁজে চলেছেন তাঁর রাধিকাকে, শিমুলে পলাশে। রংয়ের আখর লিখে দিলেন অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুটি কবিতা

সময় বলে কিছু হয় না। আসলে একটা অদৃশ্য নদী কিছুটা পথ পেরিয়ে পেছনে ফিরে দেখে/ কচুরিপানার ডালে বসে অন্যমনস্ক তিনটে কাক। / বা সাতটা আটটা দশটা। … অনিঃশেষ অনন্ত কালক্ষেপের অক্ষরমালা অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে।
কবিতাগুচ্ছ

বাজে বাঁশি নদীর ধারে–/ দিনে রাতে অন্ধকারে/ ভাষা কি তার বুঝতে পারি/
অবিরাম ছুটেই মরি/
ছুটেই মরি … দীপক রায়ের একগুচ্ছ কবিতা।
কবিতার সঙ্গে বসবাস- জয়দীপ রাউতের কবিতা- শেষ পর্ব

বাংলা কবিতার আদি উৎস ‘লিরিক কবিতা’র যে ক্ষীণ ধারাটি আজ ক্ষীণতর হয়ে বহমান, তারই স্নিগ্ধ স্রোতটি ধরে রেখেছে জয়দীপ রাউতের কবিতা। লিখছেন জয় গোস্বামী।