কবিতা: দেখা হলে

ওর বিচার সভায় গেলে/আমি উপুড় করে দিতাম ধান-ভানা গান।/চোখ বন্ধ করে উড়িয়ে দেওয়াই যেত/নির্লজ্জ রাতের শরীর।/চর জাগা কামড়ের দাগ।
কবিতা: পঞ্চশীল

গাথা, বিস্মরণ, খেয়া, গ্রহণ ও দাহ — পাঁচটি কবিতার একত্র সহাবস্থান ‘পঞ্চশীল’ নামে। ছোট ছোট টুকরো মুহূর্তের মতো কবিতার উপলখণ্ড সাজিয়েছেন মহুয়া সেনগুপ্ত।
আমাদের কবিতা, ওদের কবিতা: ১

একই সময়ে দাঁড়িয়ে, একই সময়খণ্ডে বসবাস করে, দু’জন কবি হয়ে উঠতে পারেন দুরকম– একজন মাটির মতো সরল, আর একজন লুপ্ত ভাষায় লেখা শিলালিপির মতো দুর্বোধ্য। যেমন নির্মল হালদার এবং সদ্যপ্রয়াত গৌতম বসু। … কবিতার কথা, কবির কলমে। সুবোধ সরকার।
“সন্ধ্যে নামার আগে”

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা “চাবি” ও “বিদায় ব্যোমকেশ” সিনেমার “সন্ধ্যে নামার আগে” গানটি নিয়ে তৈরী একটি কোলাজ; – পরিবেশনায় সেজুতি গুপ্ত ও শুভজিৎ
দু’টি কবিতা

১ যখন জন্ম হল নড়ে ওঠে দেহগুলি অমলিন চৈত্রের রোদেসুবিশাল মধ্যাহ্নের রোদেলা উদর ফুলে ওঠেরৌদ্রের শিখাগুলি বস্তুত আঘাত করে বোধেচৈত্রের হলুদ আভা নশ্বর দেহ মনে ফোটে। ডুবন্ত এটলান্টিস, প্রায় বিস্মৃত মহেঞ্জোদারোরূপকের আশ্রয় পেয়ে হয়ে ওঠে অধিক প্রগাঢ়চৈতন্যে ছায়া ফেলে হরপ্পার ধ্বংসাবশেষঅচৈতন্য পড়ে থাকে সভ্যতার ভগ্ন অবশেষ। সুদীর্ঘ পথ হেঁটে পৌছাবে যে ক্ষয়প্রাপ্ত কালে পত্তন হয়েছিল […]
থাবা: কবিতা

এখন বাউল একা দু-কলি পুরোনো গায়।/চন্দন-রংয়ের সব পাখিও জেনেছে/নতুনের শিসে আজ নিষেধাজ্ঞা আছে!
কবিতা: সাপ

আমরা নগ্ন হয়ে ঘুরে ফিরে দেখাব আমাদের সব বড় বড় হাঁ, যুবতী ফার্নে ভরে যাওয়া সব খাদ বা পরিসরে বাড়তে থাকা সব প্রকট জ্বালামুখ।
শঙ্খ ঘোষের সন্ধানে

শঙ্খ ঘোষ সত্যের খোঁজ করে গেছেন বিভিন্নভাবে। তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা ভাবে সত্যকে যাচাই করে গেছেন। নিজের ভাবনাজগতের মধ্যে একপ্রকার মিথষ্ক্রিয়া নির্মাণের প্রচেষ্টা ছিল তাঁর নিরন্তর। লিখছেন হিন্দোল ভট্টাচার্য।