উপন্যাস: নাগবন্ধন: সপ্তম পর্ব

সে ভাবে, হয়তো সেই সন্ন্যাসীকে সিডিউস করেছিল পদ্মিনী নামের এক রূপসী কন্যা। কিংবা উল্টোটাও হতে পারে। মানে সন্ন্যাসীও পদ্মিনীর প্রেমে আকুল হয়ে তাকে হয়ত ভোগ করার লোভ সামলাতে পারেনি। সবই তো লোকায়ত ঘটনা। মানুষ নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করে আসছে।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ সপ্তম পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: চতুর্থ পর্ব

ছিদাম বাচ্চা ছেলে। বছর তেরো কী চোদ্দ হবে। সীমা আর সায়নের কথাবার্তা অত বোঝে না। তবে এটুকু বুঝতে পারে যে সেদিন সকালে সে একটা ঢোঁড়া সাপের মুখ দেখে ঘর থেকে বেরিয়েছিল। ওদের মাটির ঘরের সংলগ্ন নালাটা জলে টইটুম্বুর থাকে সবসময়। সেখানেই হঠাৎ সাপটা জলের মধ্যে থেকে বেরিয়ে ছিদামকে এক ঝলক দেখা দিয়ে আবার জলের মধ্যেই মিলিয়ে গেছিল। ছিদাম নিমের দাঁতন ঘষছিল মুখের মধ্যে।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ চতুর্থ পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: দ্বিতীয় পর্ব

ছোটনাগপুরের নবরতনগড় থেকে নাগবংশের শাসনকার্য দেখতেন সেখানকার ৪৫তম রাজা দুর্জন শাল। এটি সাড়ে পাঁচশো বছর আগের ধ্বংসাবশেষ। ন’তলা এই দুর্গের নাম তিনি রেখেছিলেন নবরত্নগড়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৭১ সালে মানে দুর্জন শালের শাসনকালের আগেই তৈরি হয়েছিল দুর্গটি, যার মাটির উপরে ৯টি তল ছাড়াও ছিল মাটির নীচে বেশ কয়েকটি গুপ্ত কক্ষ।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ দ্বিতীয় পর্ব…
উপন্যাস: নাগবন্ধন: প্রথম পর্ব

একটু আগেভাগে গেলে মায়ের মন্দিরে ভোগের কুপন কেটে নিন। দুপুরের খাওয়া নিয়ে চিন্তা থাকবে না আর। পথের পাশে ঝাড়খণ্ডি মহিলাদের তেলেভাজার দোকান সারি সারি। বিকেলে সেখানে চা, মুড়ি আর লংকার চপ খেয়ে ফিরে এসে আরও এক রাত থাকুন শান্তিনিকেতনে। তারপরে ধীরেসুস্থে কলকাতায় ফিরুন স্যার। মলুটী দেখে শেষ হবে না, এও বলে দিলাম কিন্তু।
শুরু হল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ প্রথম পর্ব
উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: পর্ব ১৩

সেই সেকালের সঙ্গীতভবনে৷ কাদের সব পেয়েছি জানো শিক্ষক হিসেবে? বাচ্চুদি মানে নীলিমা সেন, মোহরদি তো শেখাতেনই৷ কি অপূর্ব চেহারা ছিল মোহরদির৷ উনি ক্লাসে ঢুকতেন, সারা ক্লাস যেন আলো হয়ে যেত৷ সেই বিশুকাকার বাড়িতে দেখা সরস্বতীর প্রতিমার মত৷
অরণ্যপুরুষ (কথোপকথনে বুদ্ধদেব গুহ)

আজ তাঁর জন্মদিন। সারাটা জীবন চূড়ান্ত শহুরে ব্য়স্ততায় পেশাগত জীবন কাটিয়েও তিনি আজীবন অরণ্যচারী। তাঁর কলমে জীবনের সবুজ ঘাম-রক্ত-ক্লেদ। তিনি, বুদ্ধদেব গুহ। জন্মদিনে তাঁকে বাংলালাইভের শ্রদ্ধার্ঘ্য।
একানড়ে: পর্ব ২০

পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল বিশ্বমামাকে, আরও কাকে কাকে–গণপিটুনি, খুন, জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, আরও কত কী বলে গেল…
মল্লিকা সেনগুপ্তের ‘সীতায়ন’ – ফিরে দেখা

১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল মল্লিকা সেনগুপ্তের উপন্যাস ‘সীতায়ন।’ মহাকাব্যের আখ্যানে কেন্দ্রীয় নারীচরিত্রের সর্বস্তরীয় অবমাননার দিকটি দুঃসাহসিক ভাবে তুলে এনেছিলেন মল্লিকা। তাকে দাঁড় করিয়েছিলেন সমসাময়িক প্রেক্ষিতে। প্রায় পঁচিশ বছর আগেকার এই উপন্যাস আজও কেন একই ভাবে সমসাময়িক, প্রাসঙ্গিক?