প্লেব্যাক থেকে অভিনয়: বহুমুখী অনুভার দীপ্তি

অনুভা গুপ্তার অভিনয়ের প্রধান সম্পদ ছিল তাঁর চোখদুটি। অভিনয়ের ক্ষেত্রে চোখের ভূমিকা যে কত বড়, তা আমরা জানি। অনুভার ক্ষেত্রে তার অন্যতম সেরা দৃষ্টান্ত বোধহয় দেখা যায়। শুধুমাত্র তাকানোর ধরনে তফাৎ ঘটিয়েই তিনি অভিনীত চরিত্রটিকে দর্শকমনে গেঁথে দিতে পারতেন। নায়িকা হিসেবে বাংলা সিনেমায় যে কজন শিল্পী নিজেদের শক্তিশালী অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, অনুভা গুপ্তা অবশ্যই তার প্রথম সারির একজন।
অভিনেত্রী অনুভা গুপ্তের নানামুখী প্রতিভার গল্প, লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্যায়…
মঞ্জু দে: স্মৃতি বিস্মৃতির ধারাপাত

সহজাত দক্ষতায় অভিনয়ের মাধ্যমে নানারকম চরিত্রকে দর্শকদের সামনে বিশ্বস্তভাবে অনায়াসেই ফুটিয়ে তুলতে পারতেন মঞ্জু দে। ফ্লোর জোন নির্বাচন, সঠিক এঙ্গেলে ক্যামেরার মুখোমুখী হওয়া ইত্যাদি টেকনিক্যাল বিষয়গুলি অতি দ্রুত রপ্ত করে নিয়েছিলেন তিনি। আমার তো মনে হয়, সে সময়ের ক্যামেরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ঠিক কোন মাপের মুখভঙ্গি বা শরীরী ভাষা দাবি করছে, সেটাও তিনি ভাবতেন। কোনও ম্যানারিজম ছিল না তাঁর। কণ্ঠস্বরে ছিল তীক্ষ্ণতা ও মাধুর্যের এক স্বাভাবিক সমাহার, উচ্চারণ ছিল শুদ্ধ এবং সেই স্বরের ওঠানামা স্বাভাবিকভাবেই নাট্য-মুহূর্তের দাবি মেটাত।
অভিনেত্রী মঞ্জু দে ও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লিখলেন তাঁর পরিবারেরই অন্যতম সদস্য অমিত দে…
তারকা নয়, অভিনেত্রী

জীবন সায়াহ্নে তিনি থাকতেন আলিপুরের কাছে এক বৃদ্ধাবাসে। দশ বছর আগে, সেখানে এই প্রতিবেদকের সুযোগ হয়েছিল তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার। উঠেছিল রেডিও নাটক ও উত্তর কলকাতার থিয়েটারের কথা। দুই মাধ্যমেই তিনি ছিলেন সমান দক্ষ।
বাংলা ছবির বেশ কিছু দক্ষ প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখলেন অভিজিৎ সেন…
প্রথম নারী আত্মজীবনীকার রাসসুন্দরী দেবী

রান্নাঘরে ওই দেড়হাত ঘোমটা ঢাকা মোটা শাড়ি পরা অবস্থানই তাঁর কাছে সুযোগ হয়ে দেখা দিল। ঐ ঘোমটার আড়ালেই রাখলেন লুকিয়ে সংগ্রহ করা স্বামীর চৈতন্য ভাগবত পুঁথির একটি পাতা, ছেলের অ আ ক খ, মকশো করার একটি তালপাতা আর ছোটবেলার স্মৃতিতে ধরে রাখা অ আ ক খ উচ্চারণ। কিন্তু সেও তো এগারো বারো তেরো বছর বয়সের স্মৃতি। সেই স্মৃতির পাতাটি তিনি পুঁথির পাতা আর ছেলের তালপাতার পাশাপাশি রাখার চেষ্টা করেন, চারপাশের লোকজনের কথাবার্তার সঙ্গে মেলান।
প্রথম নারী আত্মজীবনীকার রাসসুন্দরী দেবীর জীবনের নানা কাহিনি, লিখলেন সুমিত্রা চৌধুরী
অন্য চোখে— বিজ্ঞানসাধক রাজেশ্বরী

বলা হয়ে থাকে, ডক্টর সিভি রমনের অধীনে কাজ করতে চেয়েছিলেন রাজেশ্বরী, কিন্তু রমন অনুমতি দেননি। রমন তখন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রধান। প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করতে চেয়ে এমন অর্ধচন্দ্রে নিঃসন্দেহে খুবই মুষড়ে পড়েন সদ্য তরুণী কৃতি বিজ্ঞানপড়ুয়া। সিভি রমনের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়, বারবার শোনা গিয়েছে।
বিজ্ঞানী রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের জানা অজানা নানা কাহিনি… লিখলেন নীলার্ণব চক্রবর্তী
মেয়েদের পাহাড় চড়ার সেকাল একাল

অনেক তুলকালাম, ঝগড়াঝাঁটি, দৌড়ঝাঁপ ও দরাদরির পরে নন্দাঘুন্টির বদলে আমরা পেলাম রোনটি (১৯,৮৯৩) শিখরের জন্য অনুমতি। সেই প্রথম অভিযানের সাফল্য সারা দেশে স্বীকৃত হল এবং মেয়েরা যে সুযোগ পেলে কঠিন কাজও করতে পারে তারও দৃষ্টান্ত হয়ে রইল সেই রোনটি অভিযান। তারপর আজ তো আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই এভারেস্ট আরোহণকারী মেয়েদের ছড়াছড়ি।
মেয়েদের পাহাড় জয়ের গল্প, লিখলেন পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলা পর্বত-অভিযাত্রী দলের ক্যাপ্টেন দীপালী সিংহ
ভারতের প্রথম আধুনিক মহিলা চিকিৎসক আনন্দী যোশি

জেমস কলকাতার কাগজে আনন্দীকে সাহায্যের আবেদন ছাপিয়েছিলেন, কিন্তু দাতাদের মধ্যে কোনও ভারতীয়ের নাম পাইনি। কলকাতার শিক্ষিত সমাজে আনন্দীর খবর কোনও আলোড়ন তোলেনি। গোপালরাও এতদিন পর্যন্ত যেখানেই গেছেন, নিজেদের জাতের অর্থাৎ মারাঠি চিৎপাবন ব্রাহ্মণদের সাহায্য পেয়েছেন। এবার কিন্তু কলকাতায় তাঁর সমাজও মুখ ফিরিয়ে নিল। তবে আনন্দীকে তা দমাতে পারেনি, কিছু সমস্যার পরে শেষ পর্যন্ত ১৮৮৩ সালের ৭ এপ্রিল আনন্দী কলকাতা থেকে কয়েকজন মিশনারি মহিলার সঙ্গে লন্ডন রওনা হলেন।
ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার আনন্দীবাই যোশির জীবনের জানা-অজানা নানা কাহিনি, লিখলেন গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
DTP: বিশ্বময় দিয়েছ তারে ছড়ায়ে

শুরু হল ছোট জায়গায় বড় সম্ভাবনার যুগ। ছোট শহর, ছোট জায়গা, ছোট ইনভেস্টমেন্ট। মধ্যবিত্ত বাবা প্রফিডেন্ট ফান্ডের জমানো ভেঙে বাড়ি করার সময় একটা গ্যারেজও করেছিল এই আশায়, ছেলে চাকরি পেয়ে গাড়ি কিনবে। ছেলে চাকরি পেল না। গ্যারেজ হয়ে গেল প্রিন্টিং প্রেস। ব্যবসা শুরু হল কমদামি লেজার প্রিন্টার দিয়ে, ক্রমে বড় কালার প্রিন্টার, সব শেষে ব্যানার ছাপার প্রিন্টার।
DTP-র বিশ্বজয় নিয়ে কলম ধরেছেন অসীম চট্টরাজ