রেইনি ডে-তে রেইনওয়াটার পাইপে কাপড় গুঁজে ছাদ হল সুইমিং পুল!

ঝমঝমে বৃষ্টি মানেই ভিজে ইউনিফর্ম আর ঢংঢং করে ঘণ্টা… আজ রেইনি ডে! এ স্বাদের ভাগ হবে কী করে! বড়ো হোক বা ছোট… কোনও বেলাতেই এই অনাবিল আনন্দের স্বাদ কমার নয়। স্কুল পেরিয়ে কলেজ এমনকি চাকরি জীবনেও ফিরে ফিরে আসে রেইনি ডে!…
স্মৃতির সত্যজিৎ

প্রুফ খুব তাড়াতাড়ি দেখতেন এবং ছাপার কোনও ভুল থাকলে খুব তাড়াতাড়ি ধরে ফেলতেন। কিন্তু ওই গমগমে গলায় উনি যে কোনও বিষয়ে আমাকে যাই বলতেন, আমার কাছে ধমক বলে মনে হত। উনি যতক্ষণ প্রুফ দেখতেন আমি ততক্ষণ অবাক হয়ে ওঁর ঘরটা দেখতাম। চারিদিকে কেবল বই, ম্যগাজিন, খাতায় ভর্তি। যেহেতু বই আমার খুব প্রিয়, এই ঘরটাও আমার দারুণ লাগত।
করোনা-বাহন নববর্ষ

এই বঙ্গাব্দ বাঙালির নিজের নয়। যেমন বাঙালির নিজের নয় পাঞ্জাবি, নাগরাই জুতো, সিঙারা, মালাইকারি, নিমকি, জিলিপি। তেমনই বঙ্গাব্দটা আকবরী। হিজরি সালটার একটু মিউটেশন হয়েছিল। যেমন সার্স, মার্স ভাইরাসের মিউটেশন হয়ে তৈরি হল করোনা ভাইরাস।…
দাম্পত্যের কালবৈশাখী

যদি অন্ত্যমিল না থাকে দুজন মানুষের দাম্পত্যে, যদি বৃষ্টি না-নেমে সবকিছু স্নিগ্ধই না-হয়ে যায়, তখন তারা থাকবে কেমন করে পরস্পরের সঙ্গে? মাছ আর পাখির মতো? একজন জলে, অন্যজন আকাশে? সেইভাবে এক ছাদের নিচে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বসবাসে ভালোবাসা কি বেঁচে থাকে? সফল দাম্পত্যে ওই তীব্র অধিকারবোধের আকাঙ্ক্ষার থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন নির্ভরতা আর বিশ্বাস। যখন দু’টি মানুষের মনের মধ্যে যোজনবিস্তৃত ব্যবধান আলসেমির রোদ্দুর মেখে শুয়ে থাকে… দীঘল কালো চুলের সর্পিল বেণীটির মতো.. তাকেই বলা যেতে পারে বহুব্যবহারে জীর্ণ দাম্পত্য এবং তখনই কালবৈশাখী ঝড় ওঠে আচমকা।
টুক-টুক-টুকলি

একটা সময় ট্রেন্ড ছিল পরীক্ষার হল-এ পড়াশুনোয় ভালো ছেলেমেয়েদের কাছাকাছি বসা, যাতে তাদের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে পারা যায়। তারা উত্তর বলেও দিত। তবে প্রথমদিকে তাদের বড়ো একটা খোঁচানো যেত না। তারা হেল্প করত ঘণ্টাখানেক পর থেকে, যখন নিজের উত্তরটা ওরা বেশ গুছিয়ে ফেলেছে। প্রথম ঘণ্টার পরে বাথরুমে যেতে দেওয়া হত। এইসময় কোনও ভালো ছেলেকে বাথরুমে দেখতে পেলে তাকে ঘিরে পুরো গোলটেবিল বসে যেত। পকেটে করে যারা প্রশ্নপত্র নিয়ে আসতে পারত, তারা ওর কাছ থেকে জেনে নিয়ে, তাতে পেনসিল দিয়ে ঝটপট লিখে নিতো কিছু উত্তর।