বইপাড়ায় বর্ষবরণের আড্ডা

Bengali New Year in College Street

বুক কোম্পানিতে বসত পয়লা বৈশাখের বিরাট আড্ডা। সামনে পালিশ করা ঝকঝকে কাঠের বিরাট কাউন্টার, তার পেছনে বিরাট বিরাট বইয়ের আলমারি অলিগলি, তার পেছনে গুদামঘর, চারিদিকে সদ্য জাহাজ থেকে নামানো বইপত্রের কাঠের বাক্স মেঝেতে ছড়ানো, স্তূপাকার বই, বই এর বিচিত্র গন্ধ, তারই মাঝে নিখুঁত বাঙালি পোশাক পরিহিত দুই আঙুলের মাঝে সোনা বাঁধানো সিগারেটের পাইপ মুখে বসে প্রমথ চৌধুরী, আনন্দবাজার পত্রিকার সুরেশচন্দ্র মজুমদার, ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং পাঠককূল ।

নতুন “নতুন”কে চিনতে হবে

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা সব বাঙালি যে দিন নিজের গোঁ ছেড়ে নমনীয় হয়ে নতুন “নতুন”কে গ্রহণ করতে শিখবে, সে দিনই আবার হবে বাঙালির সত্যিকারের নববর্ষ, সত্যিকারের বৈশাখ।তা ক্যালেন্ডারে মাসটা শ্রাবণ কী অগ্রহায়ণ, যা-ই হোক না কেন!

নববর্ষের প্রাতঃসূর্য

Rabindranath coming out of Upasana Mandir

শান্তিনিকেতনের প্রখর দাবদাহ আর জলকষ্টের জন্য এই বছর থেকেই নববর্ষের দিন রবীন্দ্রজন্মোৎসব পালনের রীতি শুরু হয়। এই রীতি চলে অনেকদিন পর্যন্ত। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে এই রীতি পরিবর্তন করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নববর্ষ আর রবীন্দ্রজন্মোৎসব আলাদা করে দেওয়া হয় কারণ “সেমেস্টার সিস্টেম” চালু হয়ে যাওয়ায় পঁচিশে বৈশাখ তখন থেকে আর গরমের ছুটির মধ্যে পড়ে না। শান্তিনিকেতনের নববর্ষ ও রবীন্দ্রজন্মোৎসব শুধু উৎসব ছিল না কোনও দিনই। বাংলা নতুন বছরের দিনে সে ছিল বাংলা ভাষার উৎসব, বাঙালির সংস্কৃতির উৎসব।