গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (পর্ব ২)

মেহরীনের খুব খারাপ লাগছিল। অনিল যে কথা কোনওদিন তার দেশের ফ্যামিলিকে জানতে দেয়নি, আজ মেহরীনকে তাই বলতে হচ্ছে। দেবীর অসহায় মুখ দেখে মায়া হচ্ছিল। তবু ঘটনাটা ওকে বুঝিয়ে বলতে হবে। মেহরীন আগের প্রসঙ্গে ফিরে গেল—“দেবী, তুমি বড় হয়েছ। হয়তো অনেক কিছু বুঝতে পারো। আমেরিকায় আমি তোমার বাবার লিগ্যাল ওয়াইফ। দশ বৎসর আগে আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হইছে। এখন তাঁর পক্ষে ইন্ডিয়াতে কাউকে ওয়াইফ হিসাবে স্পনসর করা সম্ভব নয়। তোমার মায়ের তো সেই লিগ্যাল স্টেটাস নাই।”
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১২

সেই অপ্রতুল বৈদেশিক মুদ্রার আমলে কুড়িয়ে বাড়িয়ে শ’পাঁচেক ডলার নিয়ে এসেছিলাম সপ্তাহ তিনেক কোনওরকমে চলার মতো। আশা ছিল ঐ সময়ের মধ্যে কোনও কাজ পেয়ে যাব। ভদ্রমহিলা আমার পুঁজির বহর শুনে প্রায় আঁতকে উঠলেন। এরপর আমার তাজ্জব হওয়ার পালা শুরু। বুঝলাম সেই মুহূর্তে আমি সরকারীভাবে বেকার। সেই জন্য আমার নথিভুক্ত হবার দিন থেকেই দু সপ্তাহ অন্তর কিছু অর্থ প্রাপ্য। সেই ‘বেকার ভাতা’ নাকি সরাসরি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায়।
… নিজের বিদেশবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছেন সিদ্ধার্থ দে
গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (পর্ব ১)

দেবী ওর তেরো বছরের জীবনে কখনও একসঙ্গে এত পেঁয়াজ দেখেনি। আমেরিকায় লোকে এত বেশি বেশি বাজার করে কেন? বরফে জমানো রুই মাছ, ইলিশ মাছ, কই মাছ সবই একদিনে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। টাকা থাকলেও কত খেতে পারে মানুষ? দেবী তো বিয়েবাড়িতে গিয়েও দুটোর বেশি মাছ খেতে পারে না।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৯

চুনী গোস্বামী এক বিরল প্রতিভা। জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক। সত্তরের দশকে বাংলার ক্রিকেট অধিনায়ক রূপে সেই সময়ের অপরাজেয় বোম্বাই দলকে ঘরের মাঠে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন। রীতিমতো ভালো টেনিস খেলতেন।
হাসি গল্পের শেষে

আসরে গল্প শুরু করেই প্রণতি বিরস কণ্ঠে বলল- এই মিড্ল ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সগুলো এক নতুন উপদ্রব হয়েছে। কলকাতা থেকে যে আসছে, হয় এমিরেটস্, কাতার নয়ত এতিহাদ না কী যেন। তার মানেই নিউ জার্সি থেকে কেনেডি এয়ারপোর্টে যাও। আনতে যাওয়া, পৌঁছে দেওয়া, কম ড্রাইভিং?
নাপিত ও মনোবিদ

কাচের দরজা পেরিয়ে ঢুকলেই গত পাঁচবছর ধরে আলবেনিয়া থেকে আসা জনি এক বিরাট হাসির সঙ্গে আমন্ত্রণ জানায় – “হ্যাল্লো ডক্তর, হাউ আর ইউ?’
ঈদের উপহার

ওর নাম সাফিনা উদ্দীন ! ও যেদিন প্রথম স্বরবলিপির সরস্বতী পুজোতে এসেছিল সেদিন একটা ব্যাপার হয়েছিল!
ঘরে ফেরার গান

বছরের এই সময়টা কলকাতা হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাদের মতো “পরিযায়ী পাখিদের”। সেমেস্টারের পড়ানো চুকিয়ে, ফাইনাল গ্রেড জমা দিয়েই প্রায় দৌড়ে প্লেনে ওঠা নান্দীকারের নাট্যমেলা ধরার জন্যে! অ্যাকাডেমি-নন্দন চত্বরে চেনা মুখ “আরে, কবে এলে? চল একদিন বসা যাক।” … ঘরে ফেরার গানের সুরে ভাসলেন ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্য়ায়।