আউটরামের আদলে মূর্তি, নেতাজিকে দেখতে জনজোয়ার শ্যামবাজারে

১৫ ফিট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ব্রোঞ্জের এই মূর্তি তৈরি করেন তখনকার বোম্বাইয়ের শিল্পী নাগেশ যবলকার। ওজন ছিল চার টন। বোম্বাই থেকে তিনটি ভাগে ভাগ করে মূর্তিটি কলকাতায় নিয়ে আসা হয়, পরে সব কটি অংশ একত্রিত করে মূর্তিটি বসানো হয় ভাস্কর নাগেশজির তত্ত্বাবধানেই। মূর্তিটি স্থাপিত হয় একটি ১৬ ফিট উঁচু বেদির ওপরে। সেই বেদিতে নেতাজির জীবন ও বাণীর কিছু প্যানেল তৈরি করে দিয়েছিলেন বাঙালি শিল্পী সুনীল পাল। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে মূর্তিটি স্থাপিত হয়, এটি প্রতিষ্ঠার জন্যে সবসুদ্ধ আড়াই লাখ টাকা খরচ করেন পুরসভা। নেতাজির মূর্তিটি তৈরি হয়েছিল উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ সেনাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্যার জেমস আউটরামের অশ্বারোহী ব্রোঞ্জ মূর্তির আদলে…
শ্যামবাজারে নেতাজি মূর্তি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক মুহূর্ত নিয়ে লিখলেন সুব্রত ঘোষ
জেলে বসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লেখা নেতাজির চিঠি

সময়ে সময়ে আমি মনে না করে পারি না যে, দেশবন্ধুর অকাল-মৃত্যু ও দেহত্যাগের জন্য তাঁর দেশবাসীরা ও তাঁর অনুচরবর্গও কতকটা দায়ী। তাঁরা যদি তাঁর কাজের বোঝা কতকটা লাঘব করতেন, তা’হলে বোধ হয় তাঁকে এতটা পরিশ্রম করে আয়ু শেষ করতে হত না। কিন্তু আমাদের এমনই অভ্যাস যে, যাকে একবার নেতৃপদে বরণ করি, তাঁর উপর এত ভার চাপাই ও তাঁর কাছ থেকে এত বেশী দাবী করি যে কোনও মানুষের পক্ষে এত ভার বহন বা এত আশা পূরণ করা সম্ভব নয়। রাজনীতি-সংক্রান্ত সব রকম দারিত্বের বকলমা নেতার হাতে তুলে দিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে চাই।