নিমাই ঘোষকে যতটুকু চিনেছি

ক্যানন-এর একটা ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার পর গিয়েছিলাম ওনার ছবি তুলতে। তুলেওছিলাম। উনি প্রেরণা দিয়েছিলেন। ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম আমার ক্য়ামেরায় একটা ছবি তুলে দিতে। উনি সবিনয়ে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, “আমি অ্যানালগ ক্যামেরার মানুষ আর ওতেই আমার বিশ্বাস। আপনাকে আমি পরে ভালো ছবি তুলে দেব। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠল না।
আমার বাবা নিমাই ঘোষ

ছবির ব্যাপারে উনি অতি সাবধানী ছিলেন। প্রতিটি ফিল্ম রোলই তার কাছে সন্তান সমান। যদি কোনও দিন ষ্টুডিওতে আগুন ধরে যায় বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, সেই আতঙ্কে কখনও ফিল্ম প্রসেস হওয়ার পর স্টুডিয়োতে রাখতেন না। এই প্রসেস করতে করতে আমার কত কিছু পাওনা হয়েছে বলে শেষ করা যাবে না।
দীর্ঘ ছায়ার স্রষ্টা, পাড়ি দিলেন অনন্তে

নিমাই ঘোষের সম্মানের পাশাপাশি সমালোচনাও কম নয়, অন্তত কলকাতা শহরে। সত্যজিৎ না থাকলে কি আর উনি ‘উনি’ হতে পারতেন? যেহেতু মানিক রায়ের ছত্রছায়ার সিংভাগের দখলদার, অন্যরা সেই অর্থে বঞ্চিত, হয়তো, তাই আক্ষেপ অস্বাভাবিক নয়।