ভারতের প্রথম আধুনিক মহিলা চিকিৎসক আনন্দী যোশি

জেমস কলকাতার কাগজে আনন্দীকে সাহায্যের আবেদন ছাপিয়েছিলেন, কিন্তু দাতাদের মধ্যে কোনও ভারতীয়ের নাম পাইনি। কলকাতার শিক্ষিত সমাজে আনন্দীর খবর কোনও আলোড়ন তোলেনি। গোপালরাও এতদিন পর্যন্ত যেখানেই গেছেন, নিজেদের জাতের অর্থাৎ মারাঠি চিৎপাবন ব্রাহ্মণদের সাহায্য পেয়েছেন। এবার কিন্তু কলকাতায় তাঁর সমাজও মুখ ফিরিয়ে নিল। তবে আনন্দীকে তা দমাতে পারেনি, কিছু সমস্যার পরে শেষ পর্যন্ত ১৮৮৩ সালের ৭ এপ্রিল আনন্দী কলকাতা থেকে কয়েকজন মিশনারি মহিলার সঙ্গে লন্ডন রওনা হলেন।
ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার আনন্দীবাই যোশির জীবনের জানা-অজানা নানা কাহিনি, লিখলেন গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
প্রবন্ধ: সমানাধিকার এখনও অধরা

সিমন মেমসাহেব ফ্রয়েড সাহেবের লেখাকে একেবারে তুচ্ছ করেন, এঙ্গেলস সাহেবের লেখাকে তুচ্ছ করেন। বৃদ্ধতম প্রপিতামহ পিথাগোরাসকেও রেয়াত করেননি। অত্যন্ত সমালোচিত হয় সিমনের তত্ত্ব সেই চল্লিশের দশকে। পরের দশক গুলোতে ফেমিনিস্ট আন্দোলন বেশ জোরকদমে শুরু হয় পশ্চিমের দেশে।
বইয়ের কথা: খণ্ডিতার বিশ্বদর্শন

একের পর এক নারীবাদের পাশ্চাত্য ঢেউ এসে ক্রমে ভাসিয়ে নিয়ে গেল আমাদের দেশকেও। মুক্তি, মুক্তি! উল্লাস করে বলে ফেলল কিছু মেয়ে। আর তাদেরই খারাপ, একপেশে, উগ্র, বদমেজাজি, আরও কত বিশেষণে ভূষিত করে ফেলল এই সমাজ। মেয়েদের জগতকে পুরুষের জগতের মতো বিশাল করে দেখাতে কি পারল তবু কেউ?
মেয়েরা বুঝি আজীবন ভোগের জোগানদার?

প্রতি বছর বচ্ছরকার এই দিনটায় এ প্রশ্নটা বুড়বুড়ি কাটে মনে। কবে মেয়েরা ভোগের ঊর্ধ্বে উঠে যোগে যোগ দেবে? কবে অভিনেতা, পরিচালক, যাত্রী, পুরোহিত, পাইলট, গাড়ির চালকের আগে ‘মহিলা’ শব্দটি আর বসবে না? সমস্ত সংস্কার ভেঙে মুক্ত জীবনের প্রতীক্ষার অবসান কবে হবে ‘শবরী’দের? আরও আছে। ঋতুস্রাব নিয়ে অকারণ ট্যাবু ভাঙার প্রতীক্ষা। ছেলের বদলে একটা মেয়ে হোক– এই কামনা নিয়ে মায়ের সন্তান কামনার প্রতীক্ষা। কনে যে পণের মতোই পণ্য নয়, সেই অনুভূতির প্রতীক্ষা। মাঝরাতেও কবে মেয়েরা নির্ভয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটবে, তার প্রতীক্ষা। এরকম বহু প্রতীক্ষা বছরভর নানা অনুষ্ঠানে, ঘরে-বাইরে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রতীক্ষার অবসান হয় কই?
নারী দিবস: কিছু যুক্তিজাল

২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এখনও আমাদের বার বার প্রশ্ন করতে হচ্ছে যে নারী দিবস পালন করা উচিত কিনা, নারী দিবসের আলাদা করে কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না— অথচ, এত দিনে এ সব প্রশ্ন অবান্তর হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষ যত এগিয়েছে— বৌদ্ধিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে, সেই ধারা মানলে এত দিনে সমানাধিকার স্থাপিত হওয়া খুব উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।