চলি বলি রংতুলি: আবার লাভা – শেষ পর্ব

ফের লাভায় গিয়ে পৌঁছলেন দেবাশীষ দেব। আর এবারও যথারীতি সঙ্গী স্কেচের খাতা। লাভার জঙ্গলে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে লেখা আর আঁকা চলতে থাকল। আজ শেষ পর্ব।
চলি বলি রংতুলি: আবার লাভা – পর্ব ১

ফের লাভায় গিয়ে পৌঁছলেন দেবাশীষ দেব। আর এবারও যথারীতি সঙ্গী স্কেচের খাতা। লাভার জঙ্গলে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে লেখা আর আঁকা চলতে থাকল।
চলি বলি রংতুলি: বড়দিনে লাভা-লোলেগাঁও

দেবাশীষ দেব লিখছেন – বেলাশেষের পড়ন্ত আলোয় এগিয়ে চললাম পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। পায়ে-চলা পথ এঁকেবেঁকে অনেক নীচে হয়তো কোনও গ্রামে গিয়ে মিশেছে।
চলি বলি রংতুলি: থেরেসা হাউস ও ধনেখালি শাড়ি

চিত্তরঞ্জন থেকে আরও দুটো জায়গা ঘুরে আসব এটা আগেই ঠিক করা ছিল। প্রথম দিন মধুপুর, এখান থেকে লোকাল ট্রেনে ঘণ্টাখানেক। প্ল্যানটা দিয়েছিল আমার বেড়ানোর পরামর্শদাতা অনির্বাণ। ওখানে লীলাকমল গেস্ট হাউসে একদিন থাকার কথাও বলেছিল। আমি অবশ্য অত ঝামেলায় না গিয়ে ঠিক করলাম সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসব। সকাল ন’টা নাগাদ চিত্তরঞ্জন স্টেশনে পৌঁছলুম বটে, কিন্তু ট্রেন […]
চলি বলি রংতুলি: ভালো পাহাড়, মাঘের বৃষ্টি আর বান্দোয়ানি গামছা!

সাদা দাড়িগোঁফ আর খাটো ধুতির ওপর সোয়েটার পরা কমলদা ‘জয় বাবা বৃক্ষনাথ’ বলে একটা বড়সড় হাঁক ছেড়ে আমাদের ওয়েলকাম জানালেন। হাতে চামড়ার বেল্টে বাঁধা কালো কুচকুচে ল্যাব্রাডর। এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ভালোই। খোলামেলা পরিবেশ। রান্নাঘরটিও অবাধ। ফুলের কেয়ারি করা বাগানের মাঝখানে খড়ের ছাউনি।…
চলি বলি রংতুলি: ভোর রাতে তুষারপাত

কয়েক সেকেন্ড লাগল ব্যাপারটা বুঝতে… রাতে বরফ পড়েছে। ঠিক করলাম এখনই বেরোতে হবে। হুড়মুড়িয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। আকাশ নীল। ধীরে ধীরে রোদ উঠছে। বরফ গলতে আর কতক্ষণ!…
চলিবলি রং তুলি: লাচেনে ইয়াক জবাই

এখানে এসে পর্যন্ত খাতা খোলা হয়নি। চটপট একপাশে বসে পড়লাম গুম্ফা আঁকব বলে। লাচেনপা তো থ। বলল, ‘দেন ইয়ু আর অ্যান আর্টিস্ট! তোমাকে আমাদের পিপন-এর কাছে নিয়ে যাব, হি লাভস আর্ট।’ আগেই শুনেছিলাম এ সব অঞ্চলে সমান্তরাল ভাবে একটা শাসনব্যবস্থা চালু আছে। লোকেরা ইচ্ছেমতো একজনকে বছর চারেকের জন্য তাদের মেয়র হিসেবে বেছে নেয়। এই মেয়রকেই বলা হয় পিপন। তাঁর আদেশই সবাই মেনে চলে। ঠিক হল আজ বিকেলেই যাব পিপন-দর্শনে। লাচেনপা-র দেখলাম এবার একটু ইতস্ততঃ ভাব। বলল, “ওখানে সবার সামনে আমাকে কিন্তু ‘রিংঝিং’ বলে ডেকো, ওটাই আমার নাম।”
চলি বলি রংতুলি: ময়ূর পাহাড়ে সূর্যাস্ত কিংবা মিষ্টি গুলগুলা

আরও কিছুটা পথ এগোতেই দেখি পাগড়ি মাথায় কাঁচাপাকা দাড়িওলা একজন সুঠাম চেহারার লোক এগিয়ে আসছে। কাঁধে ফেলা তরোয়াল গোছের একটা জিনিস, যার আবার দুটো ফলা। লোকটাকে দাঁড় করিয়ে জেনে নিলাম একে দাউড়ি বলে এবং মহাশয়ের নাম পাহাড়ি সিং। জঙ্গলে জঙ্গলে গিয়ে গাছের ডাল কেটে বেড়ায়। নামটা বেশ মানানসই বলতে হবে। চট করে এর একটা স্কেচ না করলেই নয়!