রম্যরচনা: চিতল মাছের মুইঠ্যা

মাকড়দহ বাজারে গেলে সচরাচর একজন মহিলার কাছ থেকেই দু’-তিন কেজি সাইজের কাতলা নিই। আঁশবঁটিতে বসে মহিলার বোন। কেজি দুয়েকের কাতলাটা সে কাটছিল। এমন সময় তাদের সামনে নিবেদন করলাম চিতল-বাসনা, কিছুটা সংকোচের সঙ্গেই। কিন্তু আমার কথা শুনে মাছ-বিক্রেতা দিদি যে এমন দয়ার অবতার হয়ে উঠবে তা ভাবতে পারিনি।
রবীন্দ্রকাব্যে জন্মদিন এবং পঁচিশে বৈশাখ

বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রবীন্দ্রনাথ তাঁর সত্তর বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর কবিতায় মাত্র কয়েকবার জন্মদিনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন, সেই তিনিই পরবর্তী দশ বৎসরের জীবৎকালে অসংখ্যবার এই প্রসঙ্গে ফিরে ফিরে গেছেন। তাহলে কি সাধারণ মানুষের মতোই রবীন্দ্রনাথও যত জীবন-সমাপনের দিকে এগিয়েছেন, ‘শেষ পারানির কড়ি’ হিসাবে জন্মদিনকেই ‘স্মরণবীণ’ করে তুলতে চেয়েছেন?
লিখলেন দিলীপ কুমার ঘোষ…
ছোটদের গল্প: সাপের রাজা

কেউ আর শাঁখামুটিটাকে মারতে এগোল না। ব্যাটা ধীরে সুস্থে জলঢোঁড়াটাকে গিলল। শেষদিকে আর নড়তে-চড়তেই পারছিল না। শিশুতোষ গল্প দিলীপকুমার ঘোষের কলমে।
প্রবন্ধ: তবু অনন্ত জাগে

মৃত্যু এবং অনন্তের মেলবন্ধন উপলব্ধি করতে না পারলে বোধহয় চেতনার গভীরে এমন আলোড়ন অনুভব করা সম্ভব নয়। জীবনের মাঝখানে মৃত্যু যে বিচ্ছেদ আনে, তাকে ছেদরূপে দেখেননি রবীন্দ্রনাথ। নিজের জীবনের মধ্যে পূর্ণতাকে উপলব্ধি করেছেন। … লিখছেন দিলীপকুমার ঘোষ।
দু’টি ছড়া

১ চার বছরের ছেলে আমার বলল ডেকে— ship-জাহাজ আমি তখন বাংলা-জ্বরে শুনেছিলাম ছিপজাহাজ। মায়ের কাছে চাইল খোকা খেলবে বলে— doll-পুতুল নতুন কোনও ব্র্যান্ড ভেবে সারা বাড়ি হুলস্থুল। সন্ধ্যাবেলায় ঘাড় উঁচিয়ে হাঁকল নাতি, চাঁদ-the moon ভাষার এমন ব্যাভার দেখে ঠাকুরদাদা হেসেই খুন। মামার হাতে গাড়ি দেখে ভাগ্নে শুধায়, গাড়ি কার? মুচকি হেসে মাসি জানান, আপনার-ই তো […]
গল্প: নেংটি

অভির একটাও বন্ধু নেই। খেলার সঙ্গী নেই। কেবল মা আর বাবা। একদিন রাতে ঘুম আসছিল না। অভি শুনল ঘরের মধ্যে খুটখাট, টুপটাপ। নতুন বন্ধু? পড়ুন দিলীপকুমার ঘোষের শিশুতোষ কাহিনি।