জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ৪

Shankarlal Bhattacharya column on Shakti Chottopadhyay

রাত বারোটায় আনন্দবাজারের সিঁড়ি দিয়ে শক্তিদার সঙ্গে নামলাম রস বুঝতে। পকেটে দেখলাম টাকা কুড়ি মতন আছে। এক বোতল বাংলা হয়ে যাবে। তবু জিজ্ঞেস করলাম, ‘টাকা কুড়ি আছে। হবে তো?’
শক্তিদা ঠোঁটে তর্জনী ঠেকিয়ে বলল, ‘চুপ! রসের ব্যাপারে টাকার কথা তুলতে নেই।’

শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ
চতুর্থ পর্ব …

জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ১

Shankarlal bhattacharya column part 3 episode 1

শীতের সকালে সাদা টুইডের কোট, নতুন সোনালি চশমা, একমাথা ঝাঁকড়া চুল আর কাগজকলম নিয়ে পৌঁছে গেছিলাম গল্ফ ক্লাব রোডের সেই সাবেক স্টাইলের বাড়িতে, সেখানে তখন রবিশঙ্করের দাদা উদয়শঙ্কর থাকতেন। সেবার দাদার সঙ্গে এসে থেকেছিলেন রবিশঙ্কর! আমায় দেখেই বললেন, “বাহ্, এখন তো পাকাপোক্ত জার্নালিস্ট দেখছি।”

শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ প্রথম পর্ব

জীবন থেকে জীবনে: অন্তিম পর্ব

memoir and elegy

কেন যে এমন আফশোসের সুর ছিল শান্তিদা’র গলায় তার কিছুই বুঝিনি সেদিন। চমকে উঠে আন্দাজটা এল যেদিন সকালে কাগজ খুলে জানলাম শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় আর নেই। মৃত্যুর সংবাদের সঙ্গে বন্ধু সন্তোষকুমার ঘোষের মর্মস্পর্শী স্মৃতিচারণা। বাড়ি যাবার আগে স্বভাবমতন বন্ধুকে বলেও গেছেন, ‘চলি, সন্তোষ।’ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি আনন্দবাজারের যুগ্ম সম্পাদক যে এটাই বন্ধুর শেষ যাওয়া। বাড়ি গিয়ে পরিবার-পরিজনকে বুঝিয়ে বিষ খাবেন তিনি। ভরন্ত সুখের মধ্যেই চলে যাওয়া স্থির করলেন তিনি।

…লিখলেন শংকরলাল ভট্টাচার্য

জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২৪

1971 Bangladesh war Sheikh Mujib

অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে বাংলার জয়ের পর শেখ সাহেবকে মুক্তি দিল পাকিস্তান এবং তিনি লন্ডন হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছলেন ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২-এ। পাক বন্দিশালা থেকে লন্ডন হয়ে তাঁর ঢাকা এসে পৌঁছনো একটা রোমাঞ্চকর ঘটনাক্রম। মুজিবকে পাকরা কোথায় সরাচ্ছেন, কোত্থেকে কোথায়, সত্যিই কি তাঁকে মুক্ত করা হচ্ছে, করলে কখন কীভাবে? এহেন শতেক প্রশ্নে সারাদিন সে কী উত্তেজনা!
পিতৃভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২8

জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২৩

Jessore and Khulna tour

গাড়ি দাঁড় করানো হল, কিন্তু আমি বাস্তবিকই চলচ্ছক্তিহীন, সিট থেকে বাইরে ফেলতে পাচ্ছি না। ওদিকে ধীরেনবাবু তরতর করে হেঁটে বেল বাজিয়ে ঢুকে গেছেন বাড়িতে। ওঁর দেখাদেখি বরুণও চলে গেছেন ভেতরে। ড্রাইভার বসে আছে স্টিয়ারিঙে। আর দলের ফটোগ্রাফার ফ্ল্যাশ দিয়ে তুলছে আমাদের বাড়ির ছবি। আমি নিশ্চুপ হয়ে বসে বাড়িটাকে শুধু দেখছি, দেখছি আর দেখছি। মনে পড়ছে নীরদচন্দ্র চৌধুরীর স্মৃতিচারণায় ওঁর হারিয়ে যাওয়া পূর্ববঙ্গের বাড়ি ও এলাকার কথা।

পিতৃভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২৩