অরণ্যের দিন

ঝমঝমে বৃষ্টিতে আমরা হাঁটা শুরু করলাম। আমাদের যাত্রাপথে এলোমেলো ঝোপের মধ্যে ফুটে রয়েছে লিলির মতো বেগুনি ফুল। ওগুলো নাকি বুনো হলুদ গাছ। আদিবাসী রান্নার অন্যতম উপকরণ। বৃষ্টির ছাঁটে টপ টপ করে ঝরে পড়তে লাগল ছোট্ট সবুজ ফুটবলের মতো মিষ্টি এক ফল– তার নাকি বারোটা মুখ তাই নাম বারতোন্ডি।
জঙ্গল-পাহাড় কাঁপিয়ে যেন বৃষ্টি নয়, আসছে আদ্যিকালের ঐরাবতেরা!

জঙ্গলে পাহাড়ে চা-বাগানে বারবার বর্ষণসিক্ত হয়েছেন তিনি। ভিজে জঙ্গলে সামনে থেকে দেখেছেন শঙ্খচূড়ের ফণা। উত্তরবঙ্গ থেকে সেশ্যেলস, বেতলা থেকে শান্তিনিকেতন, ধারাপাতে ভিজতে ভিজতে শ্রাবণের সোঁদা গন্ধে বুক ভরে নিয়েছেন। পাতাভেজা জলসিয়াহি দিয়ে বর্ষার জঙ্গলের স্মৃতিলেখ বুদ্ধদেব গুহর।….
অরণ্যপুরুষ (কথোপকথনে বুদ্ধদেব গুহ)

আজ তাঁর জন্মদিন। সারাটা জীবন চূড়ান্ত শহুরে ব্য়স্ততায় পেশাগত জীবন কাটিয়েও তিনি আজীবন অরণ্যচারী। তাঁর কলমে জীবনের সবুজ ঘাম-রক্ত-ক্লেদ। তিনি, বুদ্ধদেব গুহ। জন্মদিনে তাঁকে বাংলালাইভের শ্রদ্ধার্ঘ্য।