মেঘরাশি ঢেউলগ্নের মেয়ে (গল্প)

ইশ্ আজকেও এগারোটা হয়ে যাবে ফিরতে ফিরতে। মোবাইল সুইচড্ অফ দেখে রাহুল নিশ্চয়ই বাড়িতে ফোন করবে। পাবে না। দেখা হয় না কতদিন। আকাশে ঘন মেঘ। সেই সন্ধ্যের পর থেকেই। দমকা ঠান্ডা হাওয়ায় জানলা খোলা রাখা যাচ্ছিল না। তাই বাইরেটা দেখা না গেলেও শব্দের ঘনঘটায় বোঝা যাচ্ছিল একটা বেশ ওলটপালট হচ্ছে। এখন আবার বৃষ্টিও নেমেছে। সঙ্গে […]
মায়াবিদ্যা

তা-ও হয়ে গেল আজ উনিশ কুড়ি বছর, হালিশহর থেকে রাস্তাটা চলে গেছে চৈতন্যডোবার দিকে, হাঁটছিলাম আপন মনে। তখন মন কাচের মতো স্বচ্ছ,যা দেখি তাতেই উথলে ওঠে খুশি। যৌবনবেলার এমনই নিয়ম! একপাশে গঙ্গা, লাজুক শীতকাল আসব আসব করেও থমকে দাঁড়িয়ে আছে চৌকাঠে। ইচ্ছে ছিল চৈতন্যডোবায় নিমাই সন্ন্যাসীর গুরু ঈশ্বরপুরীর আশ্রম দেখে ফিরব।
রূপের আড়ালে

“এখানেও তুই না বলে দিলি?” মা’র করুণ মুখটার দিকে তাকিয়ে আদিত্যর এত অসহায় লাগে যে হেসে ব্যাপারটাকে হালকা করে দিতে চায়। “চিনুদির পছন্দ বিশ্বাস কোরও না। সেই লেকটাউনের মেয়েটার জন্য অত তদ্বির করল। তাকে বিয়ে করলে তোমাকে এত দিনে ভিটে ছাড়া হতে হত।” -অত অলুক্ষুনে চিন্তা করে কেউ বিয়ে করতে যায় না। -ওটাই তো ভুল […]
সুকোমল সারাদিন

সকালের ছেলেটার নামটা হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায় সুকোমলের। বাপন। বাপনের কথা পায়েলকে বলবে ও। পায়েল সকলের ‘ঠিকঠাক’ থাকার কথা জানতে চেয়েছে। যারা বাপনকে, সুকোমল, প্রবালদের পায়েলদের নানা ভাবে, নানা স্থান থেকে উৎখাত করতে চায়, তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ভরসা দেয় বাপন, স্বপ্ন দেখায় পায়েল!