মৎস্যগন্ধ (ছোটগল্প)

ঝগড়া করলে তো আর গায়ের গন্ধ চলে যায় না। অবশ্য বউকে এটা বোঝান যায়নি। বোঝান যাবেও না। শুধু পাউডারে সে ক্ষান্ত হয়নি। তিনটে অ্যালোপ্যাথি ও চারটে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার এবং একটি কোবরেজ তাকে দেখানো হয়েছে। তাতেও কিছু হয়নি। বরং বউয়ের দাবি হল, আগের চেয়ে তার গায়ের গন্ধ নাকি আরও বিদঘুটে হয়েছে। গন্ধটা কেমন? বউয়ের কথা অনুযায়ী, ভোলা মাছের মতো প্রবল আঁশটে। যদিও সে নিজে কোনওদিন এই গন্ধ পায়নি।
ডিসচার্জ (ছোটগল্প)

আমাদের এই বিনিময় কারও চোখে পড়েনি। কী আশ্চর্য, আমাকে ছাপিয়ে সে ছুঁতে চাইছে আমার নাচ? অথচ মহড়ায় কোনওদিন কোনও কথাই তো সে বলেনি!
লাল ঘুড়ি (ছোটগল্প)

আয়া সেন্টার থেকে যে বাড়িটা দিয়েছিল, লোক ভালো ওরা। ক’মাস কাজ করার পর একদিন সকালে কাজে এসে স্বপ্না দেখল বুড়িমা গত হয়েছেন। কাজ শেষ। টাকা ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে শ্রীকান্তর জন্য অপেক্ষা করছিল স্বপ্না। আজই সেই দিনটা….
রথসচাইল্ডের জিরাফ (গল্প)

সুবর্ণ তখন স্কুলে, ওদের টিভি দেখার বড় ঘরে ভনভনে মশা আর পিঁড়িতে বসা ঠাকুমা মালা জপতে জপতে ঢুলে পড়ছে। এদিকে টিভিতে চিত্রহারে গ্র্যান্ড পিয়ানোয় বিশ্বজিৎ আর গলা মেলানোর ঠিক আগে ঢাকাই শাড়ি পরা সন্ধ্যা রায় ঘোরানো সিঁড়িতে একলা দাঁড়িয়ে। যেন ফিনফিনে চিনেমাটির পুতুল।
বাঘ (ছোটগল্প)

অরিমাতানো এক সুস্থ সবল জোয়ান ছেলে। কিন্তু হোসে সারামাগো-র ‘ব্লাইন্ডনেস’ উপন্যাস পড়ে থেকে তার মনে হয় অন্ধত্ব তাকে গ্রাস করতে চলেছে। তার উপর খবরে জানা যায় এক বিত্তশালী ব্যক্তির অন্ধত্বের চিকিৎসা হিসেবে চোখ প্রতিস্থাপন করতে হবে বাঘের চোখ দিয়ে। তারপর কী হয়?…
দু’টি নারীঘটিত গল্প

দু’টি ছোট্ট ছোট্ট গল্প। দু’য়েরই কেন্দ্রে নারীচরিত্র। আর তাদের নানা সংস্কার, নানা মনোবিকলন! ঋতা বসুর কলমে…
পশমিনা (গল্প)

কিংশুক আর শ্রেয়ার বিয়েতে অনুঘটকের কাজ করেছিল কাশ্মীর থেকে আনা পশমিনা শাল। তাদের ডিভোর্সের পর চুরি গেল সেই শালও। তারপর? পড়ুন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প পশমিনা।…
দুর্জয়বাবুর দুঃসময় (গল্প)

এতদিনের ‘ফোনাসঙ্গের’ অভ্যেস থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। তাছাড়া দুর্জয়বাবুর একটা নৈতিক দায়িত্বও তো আছে একাকিনী নারীদের প্রতি! তার সঙ্গে যোগ হয়েছে একটা চোরা ভয়!…