অচেনা মৃণাল সেন

Unknown facts of Mrinal Sen

তাঁর ছবিজীবনের শুরু থেকে ১৯৬৯ সালে ‘ভুবন সোম’-এর আগে অবধি এমন এক মৃণাল সেনকে আমরা দেখি, যিনি মূলধারার ছবির জগতে মিশে গেছেন বারেবারেই। তা সে পরিচালক বা শুধুমাত্র চিত্রনাট্যকার― যাই হোন না কেন। তখনকার একরাশ জনপ্রিয় ডাকসাইটে অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয় করছেন ঐসব ছবিতে। বিখ্যাত সব গীতিকার, সুরকারেরা কাজ করছেন। সবচেয়ে বড় কথা, নিজেকে এক ব্যতিক্রমী চিন্তাধারার অবস্থানে রেখেও এইসব ছবিতে স্বতস্ফূর্ত বাঙালিমনের প্রকাশ ঘটেছে মৃণাল সেনের। যা অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য বলে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়। একইসঙ্গে বলতে হবে, তাঁর এইসব ছবির প্রত্যেকটির ক্ষেত্রেই সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েনের বার্তা আছে গল্প বলার ধাঁচে। কোনওটাই কিন্তু বক্তব্যশূন্য নয়।

চেনা মৃণাল সেনের আড়ালে অন্য আরেক মৃণাল সেন, ফিরে দেখলেন অভীক চট্টোপাধ্যায়…

মৃণাল সেন – সময়ের সাক্ষর (প্রবন্ধ)

chiranjit samanta

‘ভুবন সোম’ কোনও বিষণ্ণ চরিত্ররেখা নয়। বরং এক পদস্থ বিদূষক। সত্যজিৎ রায় ছবিটার প্রতি অবিচার করেছেন বলেই আমার ধারণা। কোনও পল্লীবালিকার প্রভাবে কোনও মন্দ আমলার সুপথে প্রত্যাবর্তনের গল্পই নয় ‘ভুবন সোম’।

লিখলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়…

মৃণালদা ও মার্কেজ

Gabriel Garcia Marquez and Mrinal Sen

মৃণালদা’র সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের প্রথম দেখা হয় ১৯৮২ সালের এপ্রিল মাসে, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। দু’জনেই সে বছর জুরির ভূমিকা পালন করতে গেছেন। ততদিনে মৃণাল দা ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অফ সলিচ্যুড’ পড়ে ফেলেছেন এবং মুগ্ধ হয়েছেন। জুরির সদস্য হিসেবে সেবার দু‘জনের প্রচুর আলাপ আলোচনা চলেছিল; প্রথম আলাপ থেকে বন্ধুত্বে পৌঁছতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

প্রতিদিনের ইতিহাস ও মৃণাল সেনের ছবি

Mrinal Sen films and time consciousness

যখনই কোনও ছবি দর্শকের মনে যথেষ্ট প্রশ্ন জাগাতে পারেনি, মৃণাল সেন নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন। ‘আকালের সন্ধানে’ ছবিতে যে গ্রামের মানুষদের নিয়ে ছবি করলেন, তাদেরকেই যখন পরবর্তীকালে ছবিটা দেখান, তখন মনে এই আশা ছিল যে ছবি দেখে গ্রাম্য কুসংস্কার, দলাদলি, গোঁড়ামি— এসব সম্বন্ধে হয়তো তারা সচেতন হয়ে উঠবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। তিনি দেখলেন প্রশ্ন করা তো দূরস্ত, গ্রামের মানুষ সিনেমার পর্দায় নিজেদের দেখে বরং উচ্ছ্বসিত! এই বিচিত্র অভিজ্ঞতার জন্যই হয়তো জার্মান চলচ্চিত্রকার রাইনহার্ড হফের কাছে তিনি কবুল করেন— সমাজের যে বর্গের মানুষকে নিয়ে উনি ছবিটি করেছেন, তাদেরকে ‘শুধরে দেওয়ার’ কোনও এলেমই ওঁর নেই।

মৃণাল সেনের সিনেমার ভাষ্য আর তার কালচেতনা— লিখলেন অভিষেক রায় বর্মণ…