গল্প: রতনের মুড়ি

তাছাড়া মদন ছেলেটা খুব সৎ। আজ পর্যন্ত বাজারে কোনও দুর্নাম নেই। ক্রেতা যদি বলে খেতে ভাল নয়, মদন ফিফটি পার্সেন্ট ছেড়ে দেয়। মানে পুরো গুডউইলের ব্যাপার। মদন বিজনেসের এই সুক্ষ্ম বিষয়গুলো খুব ভাল বোঝে। যদিও ক্লাস ফোরের পর আর পড়েনি। কিন্তু মদনের বৌ, মানে কাত্যায়নী আবার উল্টো। আগে মদনের খড়ের চালের ঘর ছিল। এখন দোতালা পাকা বাড়ি, শখ করে পুরো দোতালাটা আবার টাইল বসানো, বৌয়ের নাকি টাইলসের খুব শখ, খুব শৌখীন কি না!
গল্প: অবলম্বন

ছেলেটার নাম বাবুয়া। বয়স দশ বছর। বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। তার বাবার এই হাউসিং কমপ্লেক্সে একটা অস্থায়ী ইস্ত্রির দোকান আছে। ঠিক করোনার শুরুর আগে, বাবা দেশের বাড়ি গেছিল। ট্রেন, বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর ফিরে আসতে পারেনি।
গল্প: মরুশহরে কেল্লাফতে

যেহেতু রাতে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে ট্রেনটা যাবে আর আজ কোজাগরী পূর্ণিমা তাই ঠিক হল ওরা সারা রাত জেগেই কাটাবে। পৌনে বারোটায় ট্রেন ছাড়ল। অরূপ দাশগুপ্তের কলমে রহস্যরোমাঞ্চের গপ্পো।
গল্প: নীল পাখি

তার ঠোঁটের রং ডিমের কুসুমের মতো হলুদ আর বুকের কাছটা বরফের গোলার মতো সাদা। বিছানায় শুয়ে শুয়ে রুমি রোজ অপেক্ষা করে থাকে ওই পাখিটার জন্য। রুমির ভারী কঠিন অসুখ হয়েছে।
গল্প: বকুলকথা

বীথিকা -সমরেন্দ্রর যৌবনে এই সকল অঞ্চলে প্রান্তরের আয়তন ধু ধু বিশেষণে বিভূষিত হইত, ‘বীরপুরুষ’ পঠনকালে বালক বালিকার এ’মত প্রান্তর স্মরণে আসিত অবশ্যম্ভাবী।
ছায়া

আমি যখন আত্রেয়ীর বাড়ি পৌঁছলাম তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। তবে দিনটা ৩১ ডিসেম্বর। বছরের শেষ দিন। জীবনেরও।
সাঁতার

চারিদিকে শুধু জল আর জল। বন্যায় ডুবেছে গাঁ গঞ্জ শহর। তার মধ্যে গরু নিয়ে সাঁতার কেটে এগিয়ে চলেছে আজু রহমান। পড়ুন অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প।
পরোটা

সে পরোটা গুনতে বসল। অনেক। প্রশান্ত খেলেও বাড়ির জন্য আনতে পারবে। রাতে তারা গোল হয়ে বসে সেই পরোটা খেল। তবু কি ফুরোয়?