দেখা: গল্প: চৌকাঠে বুনোমোষ

মানোডি ওয়াঙ্গা ব্যাক গিয়ারে জিপটিকে ব্যাক ড্রাইভ করে, পিছিয়ে নিচ্ছিল একটি ভরসা মতো সমতল ফাঁকা ঘাসের জমিতে, যাতে করে একটানে ড্রাইভ করে, বুনোমোষের নাগালের অনেক দূরত্বে চলে যেতে পারে। সে বুঝতে পারছিল বুনোমোষ দুটোর রক্তচক্ষু নিস্পলক তাকিয়ে ছিল। এই তাকানোর মধ্যে, ভয়ানক আক্রমণের প্রস্তুতি থাকে। মানোডি ওয়াঙ্গা তার নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারছিল, কী ভয়ানক বিপদ ঘটতে চলেছে।
গল্প: বন্ধু

তিস্তা টর্চটা বন্ধ করে মোবাইলটা ট্রের ওপরেই রাখল। টর্চ আর লাগবে না। আর কটা সিঁড়ি ও টর্চ ছাড়াই উঠে যেতে পারবে। দুটো সিঁড়ি তিস্তা নির্বিঘ্নে উঠে পড়ল। তারপরই ঠিক কি যে হল, ও ভাল করে বুঝে উঠতে পারল না। সামনের দিক থেকে একটা প্রবল ধাক্কা লাগল। মুহূর্তের মধ্যে তিস্তার হাত থেকে খাবারের ট্রে সশব্দে ছিটকে পড়ল। তিস্তা শুনল কেউ একজন “ও মাই গড!” বলতে বলতে ওকে জাপটে ধরেছে।
… শুভব্রতা রায়ের গল্প ‘বন্ধু’
ছোটদের গল্প: ছুটির ফাঁদে

মাত্রাতিরিক্ত গরম আর তাপপ্রবাহের কারণে ক’দিন পরেই স্কুলে ছুটি পড়ে গেল। গরমে কাবু বাবানকে নিয়ে সুজাতা-মলয় হাজির হল মেঘেদের বাড়ি—মৌসিনরামে। যে নামটা শুনলে প্রথমেই মেঘের কথা মনে আসে, সেই মেঘালয়ে। মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের কোলে— মৌসিনরামে সবসময়ই মেঘের আনাগোনা। তারা যেদিন পাইন গাছের বনের মধ্যে দিয়ে মৌসিনরামে ঢুকছিল, সেদিন মেঘ এসে যেন জাপটে ধরল তাদের। তারপর কী বৃষ্টি, কী বৃষ্টি! এত বৃষ্টি যে তিন দিন তারা কটেজ থেকে বেরোতেই পারল না।
…দিলীপ কুমার ঘোষের নতুন গল্প ‘ছুটির ফাঁদে’
ছোটদের গল্প: ঢেউ

কাছিমপুলের সদ্য যুবক কাছিম, নাম তার নিথুর। এই বৈশাখে আটানব্বইয়ে পা দিল। ইদানিং তার চশমা হয়েছে। বেশ ভারিক্কি চাল। অন্য পশু পাখিরা আড়চোখে দেখে, নিথুর সেটা বুঝতে পারে। একটু গর্ব হয়। চশমার সঙ্গে একটা বিজ্ঞভাব আসে।
তিতিরের তুরুপের তাস

যেকোনও সাধারণ তাসের প্যাকেট দেখলে তুমি দেখবে রুইতনের বাদশার একটা চোখ। কিন্তু এটা তো সাধারণ প্যাকেট নয়। এগুলো ম্যাজিক কার্ড। তাই এখানে দুটো করেই চোখ আছে। আর সেগুলো হল জ্ঞানচক্ষু। এবার মন দিয়ে শোনো। এই এক একটা তাসের দিকে চেয়ে তোমাকে একটা মন্ত্র বলতে হবে। তারপরে একমনে প্রার্থনা করলে তোমার যে সব পড়ার সাবজেক্ট বা চ্যাপ্টার কঠিন লাগে, বা পারো না, সেগুলো দেখবে একেবারে জলবৎ তরলং হয়ে গেছে।
… কুহকীর নতুন গল্প ‘তিতিরের তুরুপের তাস’
গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (পর্ব ১)

দেবী ওর তেরো বছরের জীবনে কখনও একসঙ্গে এত পেঁয়াজ দেখেনি। আমেরিকায় লোকে এত বেশি বেশি বাজার করে কেন? বরফে জমানো রুই মাছ, ইলিশ মাছ, কই মাছ সবই একদিনে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। টাকা থাকলেও কত খেতে পারে মানুষ? দেবী তো বিয়েবাড়িতে গিয়েও দুটোর বেশি মাছ খেতে পারে না।
গল্প: শিবরাম চকরবরতির মত কথা বলার বিপদ

যিনি এতক্ষণ চায়ের বিপক্ষে ছিলেন–চাউর করলেন : না, চা আসুক। এবং তুমিও এসো এই টেবিলে। ওহে, তিন কাপ চা, আর আর তিন ডজন বিস্কুট। চা খাই আর না খাই, তোমাদের তো—কি বলে গিয়ে—চা পান করাতে দোষ নেই?”
গল্প: মোহর আলির ছায়াবেগম

এই কোয়ার্টারে যত কাজ সব তো রাতেই। সকালের কাজ বলতে, এই একটু বাজার করা, একটু রান্নাতে সাহায্য করে দেওয়া, আর মেয়েগুলোর কিছু কাজ করে দেওয়া।