কল্পবিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা 

science fiction and AI

কোনও একদিন স্রষ্টার চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে সৃষ্টি, পিতার সিংহাসন দখল করবে সন্তান— এ এক অমোঘ ধারণা, যা যুগ যুগ ধরে মানুষ তার ‘কালেকটিভ আনকনশাস’-এ লালন করে এসেছে। বলা হয়, ঈশ্বর মানুষকে নিজের আদলে গড়েছেন। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ কীর্তি মানুষও চেয়েছে তার সৃষ্ট যন্ত্রদের মধ্যে নিজের ছায়া দেখতে। তাই সে জেনেশুনেই নিজের সৃষ্টিকে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বরদান।

একটা নতুন ফেলুদা হয়ে যাক

Can open AI write an epic

এক বন্ধুকে বলতে শুনেছিলাম, “আমার ইচ্ছেমতো বিষয়ে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে আনকোরা নতুন পদ্য কে লিখে দেবে আমায়? কোন কবির এমন সাধ্য আছে? পছন্দ না হলে চোখের পাতা পড়তে না পড়তেই ফের আরেকটা। ছোট কবিতা চাইলে ছোট, দীর্ঘ চাইলে দীর্ঘ। কে দেবে, কে?” প্রসঙ্গত, শুধু কবিতা নয়, গল্প, নিবন্ধও অবলীলায় লিখে দিচ্ছে এই যান্ত্রিক সাহিত্যিক। উপন্যাস লিখতে পারে কি না, সেটা নিজের হাতে জানার চেষ্টা করিনি। সত্যি কথা বলতে কী, ভয় করছিল।

ইন্টারনেট-বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি, সত্যিই কি বিপ্লব নিয়ে আসছে সে? উল্লাসের আড়ালে ভয়ের কারণ নেই তো? উত্তর খুঁজলেন অম্লানকুসুম চক্রবর্তী…