দিনের পরে দিন: ছাদের স্মৃতি

Terrace

করোনা ভাইরাস এসে নতুন করে ছাদকে করে তুলেছে বঙ্গজীবনের অঙ্গ! বিকেল হলেই চার দেওয়ালের কংক্রিটে আটকা পড়া শহরবাসী মানুষ ছাতমুখো হচ্ছেন। একটু আকাশ, একটু সবুজ, একটু মানুষের মুখ দেখতে ছাদই এখন বাঙালির অক্সিজেন সিলিন্ডার! ….

চার আনার রবি শাস্ত্রী

Old shops

আজ থেকে শুরু হল কবির কলমে শৈশবযাপন। ফেলে আসা পাড়া, ফেলে আসা বাড়ির মতোই স্মৃতি-ফিকে হয়ে আসা ঘুপচি দোকানঘরের গল্প। জিয়া নস্টাল হোক, হিয়া হোক উতরোল!

আইঢাই: কর্তাদের হেঁশেলিয়ানা

Debasis Deb

এ রকমই আর এক ম্যাজিক শান্তিনিকেতনের রঞ্জনা সরকার, আমাদের মিঠুদির আস্তানা। ‘বালিপাড়া’য় জমি কিনে, নয়নাভিরাম একটি বাড়ি বানিয়ে, এবার গাছ লাগানো শুরু করল। কত হবে… বছর কুড়ি! তার মধ্যে যেমন শিরীষ, বকুল, মাধবী, মালতী, চাঁপা, তেমনই বাতাবিলেবু, গন্ধরাজ লেবু, সবেদা, কামরাঙা, নারকেল।…

একদা তুমি প্রিয়ে: তুমি, আমি আর মিকেলাঞ্জেলো

Suvranil Ghosh

নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমরা সবাই স্বকীয় ও স্বাধীন। এটা নীতি হিসেবে ঘোষণা করা সহজ, কিন্তু রীতি হিসেবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিফলিত করা তত সহজ নয়। …

চলিবলি রং তুলি: লাচেনে ইয়াক জবাই

Lachen sketch by Debasis Deb

এখানে এসে পর্যন্ত খাতা খোলা হয়নি। চটপট একপাশে বসে পড়লাম গুম্ফা আঁকব বলে। লাচেনপা তো থ। বলল, ‘দেন ইয়ু আর অ্যান আর্টিস্ট! তোমাকে আমাদের পিপন-এর কাছে নিয়ে যাব, হি লাভস আর্ট।’ আগেই শুনেছিলাম এ সব অঞ্চলে সমান্তরাল ভাবে একটা শাসনব্যবস্থা চালু আছে। লোকেরা ইচ্ছেমতো একজনকে বছর চারেকের জন্য তাদের মেয়র হিসেবে বেছে নেয়। এই মেয়রকেই বলা হয় পিপন। তাঁর আদেশই সবাই মেনে চলে। ঠিক হল আজ বিকেলেই যাব পিপন-দর্শনে। লাচেনপা-র দেখলাম এবার একটু ইতস্ততঃ ভাব। বলল, “ওখানে সবার সামনে আমাকে কিন্তু ‘রিংঝিং’ বলে ডেকো, ওটাই আমার নাম।”

একদা তুমি প্রিয়ে : দম্পতি দর্পণ

সম্পর্কের মানেই তো এই যে অন্যজনের দুঃখকষ্ট সব ভাগ করে নেওয়া। ঘর পরিস্কার, বাসন মাজা, নোংরা ফেলা, জামাকাপড় ধোওয়া, রান্না করা, এসব কাজের কোনও লিঙ্গ নেই। এককালে মেয়েরাই শুধু এগুলি করেছে বলে চিরকালই সর্বত্র তাই চলবে, এ অতি নির্বোধ যুক্তি।

কবিতার সঙ্গে বসবাস

Column illustration by chiranjit samanta

অজানা। এই একটি শব্দ পর্যন্ত শুধু আমি পৌঁছতে পারি। আমার কাছে কোনও কবিতা হঠাৎ আরম্ভ হয়। কয়েকটি লাইন পরপর মাথায় চলে এল। কখনও বা মাত্র একটাই লাইন তিন দিন চার দিন ধরে মানের মধ্যে ঘুরে চলেছে। পরে লাইন আর আসছে না। অকস্মাৎ পরে দু’টি তিনটি লাইন চলে এল। অবাক হয়ে দেখলাম চার লাইনের একটি স্তবক তৈরি হয়ে গেছে! তখনও কিন্তু খাতা কলম নিইনি। এই যে চার লাইনের একটি স্তবক মনের মধ্যে তৈরি হয়ে উঠল, তা কী উপায়ে হল? সত্যি আমি জানি না।

দিনের পরে দিন: রমাপদবাবুর স্মৃতি

BENGALI NOVELIST RAMAPADA CHOWDHURY

ফাঁকা ঘর দেখে একদিন বেলাবেলি আনন্দবাজার অফিসে ফোন লাগালাম। অপারেটর ফোনে উত্তর দিলেন। বললাম, “রমাপদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে চাই।” অবিলম্বে লেখক ফোন ধরলেন। বেশ গম্ভীর গলার আওয়াজ। ততক্ষণে আমার সাহস তলানিতে এসে ঠেকেছে। নিজের বুকের ভিতরকার ধুকপুকুনির আওয়াজ নিজের কানে শুনতে পাচ্ছি। জিজ্ঞাসা করলেন আমার পরিচয় এবং ফোন করার কারণ। পরিচয়? বললাম, “আমি কলেজে পড়ি। ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী।” অর্বাচীন প্রশ্নটিও চোখকান বুজে করেই ফেললাম। উত্তরে লেখক মনে হল খুকখুক করে একটু হেসে উঠলেন। তারপরেই সস্নেহে জিজ্ঞাসা করলেন কলেজের নাম এবং কোথায় থাকি।