জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২৪

অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে বাংলার জয়ের পর শেখ সাহেবকে মুক্তি দিল পাকিস্তান এবং তিনি লন্ডন হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছলেন ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২-এ। পাক বন্দিশালা থেকে লন্ডন হয়ে তাঁর ঢাকা এসে পৌঁছনো একটা রোমাঞ্চকর ঘটনাক্রম। মুজিবকে পাকরা কোথায় সরাচ্ছেন, কোত্থেকে কোথায়, সত্যিই কি তাঁকে মুক্ত করা হচ্ছে, করলে কখন কীভাবে? এহেন শতেক প্রশ্নে সারাদিন সে কী উত্তেজনা!
পিতৃভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২8
ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৮

ভবা চৌকিদার কীভাবে জমিদার হলেন সেটা জানি না৷ বাঙালদের দেশের বাড়িতে বিঘে বিঘে জমি ছিল, বাগান ছিল, পুকুর ছিল বলে কেউ কেউ বিদ্রুপ করে৷ হয়তো তাদের কেউ তাঁকে ‘জমিদার’ বলেছে৷ তাঁর জমিদারসুলভ হাঁকডাক চলাফেরার জন্যও বলতে পারে৷ এটা শুনেছি, জমিদারকে শিবমন্দিরে জায়গা করে দেন গৌরাঙ্গ রায়৷
… মধুময় পালের কলমে পুরনো কলকাতার স্মৃতিভেজা আখ্যান
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৮

পাঠক নিশ্চয়ই আন্দাজ করছেন, আমি উল্কিপ্রেমী নই। প্রকৃতিদত্ত সুন্দর মানবদেহে এই আঁকিবুকির মধ্যে আমি চেষ্টা করেও কোনও রকম সৌন্দর্য খুঁজে পাইনা। শুধু আজ নয়, কোনওদিনই পাইনি।
ইসমত ও অমৃতা– সমকালীন দুই ব্যতিক্রমী কণ্ঠস্বর

প্রচলিত সামাজিক অচলায়তনগুলির বিরুদ্ধাচারণের মধ্য দিয়েই মূলত অমৃতা ও ইসমতের লেখনীর বন্ধুত্ব, কিন্তু তা ছাড়া আরও একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র আছে। নারীমনের গভীর, গোপন ও সূক্ষ্ম অনুভূতির গলিপথে অনায়াসে বিচরণ করেছেন তাঁরা দুজনেই। যে কথা কখনও বলা হয়নি, সে কথা নির্দ্বিধায় তুলে এনেছেন, যা সাহিত্যে আপাত-নিষিদ্ধ হয়ে ছিল তাকে পাঠক মননে জায়গা করে দিয়েছেন।… লিখলেন শতরূপা মুখোপাধ্যায়
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৭

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলির আর্থসামাজিক অবস্থা, ভূগোল বা ইতিহাস বিষয়ে বিশেষ ধারণা ছিল না সে সময়ে। শুধু জানতাম দুরন্ত ক্রিকেট খেলে। গ্যারি সোবার্স, অ্যান্ডি রবার্টস প্রমুখ কিংবদন্তিদের খেলা চাক্ষুষ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ইডেন উদ্যানে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বলতে বুঝতাম রোহন কানহাই আর আলভিন কালীচরণ। পরবর্তীকালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী বিদ্যাধর নাইপলের নামও শুনিনি তখনও।
সিদ্ধার্থ দে-র স্মৃতিযাপন। পর্ব ৭।
সার্কাস, ট্রেটর ও দ্রোহকাল: পর্ব ৮

তার মানে কিন্তু এই নয় যে প্রতিজ্ঞা ছিল না। আমরা দেখেছি চোয়ালচাপা লড়াই। হারতে হারতেও শেষবারের মত ঘুরে ইয়াহু বলে চিৎকারের বাসনা। অসামান্য সব লিটল ম্যাগাজিন গত দুই দশক ধরে বেঁচে থেকে ও মরে গিয়ে আমাদের পুষ্ট করেছে। দাহপত্র, অনুবর্তন, মাঝি, তীব্র কুঠার, ছাতিমতলা, জিরাফ, অহিরা, সুন্দরবন সংস্কৃতি-পত্র, লোক, নীললোহিত, মল্লার, পর্বান্তর, উবুদশ, একলব্য, দশমিকের মত কাগজ যে আমাদের ভাষায় বেরিয়েছে, এটুকুই গর্বিত হবার জন্য যথেষ্ট।
…শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের কলাম
সার্কাস, ট্রেটর ও দ্রোহকাল: পর্ব ৭

আমাদের বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে রসিকতার ছলে বলাবলি করে যে বাংলা কবিতায় নানা রকম কাল্টের যুগ আসে। নব্বই দশকের জয় গোস্বামী সম্পর্কিত হাজারো প্রবাদ-রূপকথা ও বাংলা কবিতায় তাঁর প্রভাব পেরিয়ে এসে আমরা ভাস্কর চক্রবর্তীর কাল্ট দেখেছিলাম। তারপর দেখলাম প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখন শম্ভু রক্ষিত ও বীতশোক ভট্টাচার্যকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে।… শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের কলাম।
লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৩- স্বর্গ হইতে বিদায়

আমাদের অধ্যাপকেরা ছিলেন অন্য জগতের মানুষ। বাস্তব বিরহিত বলব না, কিন্তু মেঘের উপর লেগে থাকা সন্ধ্যার আলোর মতো, তাঁদের মনে লেগে থাকত মননের মায়া।