প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৭

কিছুদিন আগে হঠাৎ এই নাসলি ওয়াদিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য পেলাম ইন্টারনেটে অন্য এক বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে। নাসলি পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার নিজের নাতি। মা দিনা জিন্নার একমাত্র সন্তান। বাবা পার্শি শিল্পপতি নেভিল। এই বিয়ে জিন্নার একদম নাপসন্দ ছিল, কোনওদিনই মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু দিনা নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। দেশভাগ হওয়ার পর ভারতেই রয়ে গিয়েছেন। কাকতালীয়ভাবে ওঁর জন্মদিন ১৫ই অগস্ট।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির মিশেল, কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…
অন্য জীবন অন্য মনন (৫): আনিয়া

কোথাকার কোন পড়ে থাকা ভাঙা ডাল, শুকনো পাতা, মানুষের ফেলে দেওয়া অনাবশ্যক কত কিছু দিয়ে ও এমন চমৎকার আসবাব বানায়, জানলা বানায়, দরজা বানায়— অবাক হয়ে দেখি কেবল। সেসব আসবাবের রকমসকম খুব যে আমাদের চেনা আসবাবের মতো তা তো নয়! আর চেনা ছকের মধ্যে জীবনের নকশা বুনে দেওয়ার ইচ্ছেও নেই আনিয়ার।
অমৃতা ভট্টাচার্যের কলমে নিয়মভাঙা নারীদের আখ্যান…
চক দে আফিন্দি, আমাদের মোল্লা নাসিরুদ্দিন: পর্ব ২

ফ্রি কচুরি আর লস্যির লোভে ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে বড়বাজারের ধর্ম মহাসভায় ঢুকে পড়েছে আফিন্দি। ঢুকেই ডজন তিনেক কচুরি আর ৫ গ্লাস ঘোল খেয়ে টানটান শুয়ে পড়েছে মেঝেতে। সভায় তখন স্বামী সোমেশ্বর গলা ফাটিয়ে বলছেন, কাকে বলে ভালো আর কাকে মন্দ তাই নিয়ে। কিন্তু বলবেন কী করে! পেছন থেকে শুরু হয়েছে মোল্লার নাক ডাকা। নাক তো নয়, মনে হচ্ছে ৭/৮ টা বাঘ পরিত্রাহি চ্যাঁচাচ্ছে। বিরক্ত স্বামীজি স্টেজ থেকে নেমে ত্রিশূলের এক খোঁচা মারলেন মোল্লার পেটে।
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বহুপরিচিত গল্পগুলোই আরও একবার বাংলালাইভের পাতায়, লিখলেন গৌতম সেনগুপ্ত। আজ শেষ পর্ব।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৬

বাড়ির রোয়াকে এক যুবক বসে। বছর ১৭ বয়স। ছিপছিপে চেহারা। রং কালোর দিকে হলেও বেশ সুদর্শন। সোজাসুজি রেবার মুখের দিকে তাকাল ছেলেটি। নিঃসংকোচ তাকানোর মধ্যে মুগ্ধতা লুকানোর কোনও চেষ্টা ছিল না। আয়তনেত্রে দেখেও না দেখার ভান করে রেবা বান্ধবীর সঙ্গে ভেতরে চলে গেল।
সেদিন বিকেলে অসীম মিত্র বোনকে বলল: “তোর ঐ বন্ধুটাকে আমি বিয়ে করব।”
বলাই বাহুল্য, কথাটা রেবার কানেও পৌঁছল পরের দিনই।
একটা মিষ্টি প্রেমের সত্যি গল্প, স্মৃতি হাতড়ে কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…
চক দে আফিন্দি, আমাদের মোল্লা নাসিরুদ্দিন: পর্ব ১

বন্ধুকে মাংস রেঁধে খাওয়াবে মোল্লা। গিন্নিকে দিয়ে রেসিপিটা লিখিয়ে টাঙিয়ে দিয়েছে দেয়ালে। যথাকালে বন্ধু হাজির। খোলা উঠোনে তখন একমনে মাংসের গায়ে আচ্ছাসে পেঁপে মাখাচ্ছে মোল্লা। চারদিকে ছড়ানো রয়েছে বাটা পোস্ত, কাঁচা ডিম, কোরা নারকেল।
করেছিস কী! এ তো এলাহি ব্যাপার! বন্ধু বলে।
এ তো কিছুই না, আগে তৈরি হোক— এই বলে রেসিপি দেখতে গেছে মোল্লা। ব্যাস, মুহূর্তে কোত্থেকে কে জানে একটা চিল এসে মাংস নিয়ে হাওয়া।
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বহুপরিচিত গল্পগুলোই আরও একবার বাংলালাইভের পাতায়, লিখলেন গৌতম সেনগুপ্ত…
শয়নে স্বপনে স্বপনকুমার

ছদ্মনামী লেখক ছিলেন ডাঃ সমরেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। প্রথম বই ‘অদৃশ্য সংকেত’ ছাপা হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। প্রায় তিন যুগ ধরে লিখেছিলেন রহস্য কুহেলিকা সিরিজ, ক্রাইম ওয়ার্ল্ড সিরিজ, ড্রাগন সিরিজ, বাজপাখি সিরিজ, বিশ্ব চক্র সিরিজ, কালরুদ্র সিরিজ, কালনাগিনী সিরিজ।
অন্য জীবন, অন্য মনন (৪): চেলা

সেই কোন সুদূর তাইওয়ানে ওদের বাড়ি। দিদি রুহ, বোন চেলা। চেলা ছটফটে, ঝলমলে, প্রাণচঞ্চল। দিদি শান্ত, গভীর। নাই বা জানলো ইংরেজি! বোনের সঙ্গে সঙ্গে তো থাকতে পারবে! চেলা’র আয়ু আর কতদিন কে জানে! ব্লাড ক্যানসার ওর শরীরকে প্রতিদিন থামিয়ে দিতে চাইছে। এমন মৃত্যুপথযাত্রী মেয়েকে নিয়ে কী করে বাবা-মায়েরা!
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৫

অস্ট্রেলিয়ায় স্বেচ্ছায় অভিবাসী হয়ে আসার শুরুর দিনগুলোতে থেকে থেকে মনে একটা প্রশ্ন জাগত– উদ্বাস্তুদের সঙ্গে আমার মতো স্বল্প পুঁজি আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ছাড়া মানুষদের খুব একটা পার্থক্য আছে কি? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বেশ কয়েক বছর ধরে অনেক রকম লড়াই করতে হয়েছে পায়ের তলায় মাটি পেতে।
নিজের বিদেশবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…