সায়েব ক্যালকাটার খানাপিনা (প্রবন্ধ)

১৯২৭ সালে পার্ক স্ট্রিটের ঘাটে নোঙর ফেলেছিল ফ্লুরিজ। সেরা সব ফ্রুট কেক, রিচ পাম কেক, অ্যাসরটেড পেস্ট্রি, চিজ স্ট্র, ব্ল্যাক ফরেস্ট আর পাইনঅ্যাপল পুডিং-এর ডালি নিয়ে। বিশাল কাঁচের দেয়ালের পিছনে বসে কেক-প্যাটিস সহযোগে এক কাপ কফি- সে এক নেভার এন্ডিং ফেয়ারি টেল !
আলাপচারিতার সোপান (কবিতা)

তারপর…
ট্রাম, হাতেটানা রিকশা, সাঁতার কাটার শব্দ, প্রেমের ছোঁয়াছুঁয়ি…
দেখতে দেখতে দেখতে বইপাড়া।
ধারালো লেখার মতো দুপুর, পুরনো মলাট বিকেল
দুটো হাতের ছোঁয়ার লালন
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৩)

ধীর পায়ে খাজাঞ্চিখানা থেকে বেরিয়ে দোতলার সিঁড়ি ভেঙে অন্দরমহলের দিকে পা বাড়ালেন ভূপতি রায়। একটা চাপা খুশির ছাপ চোখেমুখে। আদায় পত্তর ভালোই হয়েছে এবার। কেষ্টনগরে কোম্পানির ঘরে খাজনাটাও পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে সময়মতো। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, ঠারেঠোরে খবর পাচ্ছেন ছোট তরফের ওই নেপোটা, সে ব্যাটার নাকি হাঁড়ির হাল এবার। খাজনার টাকা দিতে পারবে না শোনা যাচ্ছে। তা পারবে কী করে? জুয়ো আর মদ-মাগীতে টাকা উড়িয়ে দেউলে একেবারে।
হলদে কালো আর সাদার গল্প (পর্ব ২)

বেশ কয়েকটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে — সালটা খুব সম্ভবত ২০১৬। এই ক’বছরের মধ্যে পৃথিবীর বড় শহরগুলোর পরিবহন ব্যবস্থায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। চালু হয়েছে অ্যাপ ক্যাব। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ধবধবে পরিষ্কার ট্যাক্সি জায়গা মতো চলে আসছে, ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে। জিপিএস আসার ফলে গন্তব্য খুঁজে পাওয়া খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। অবশ্যই নিজের সুবিধার জন্য ভুলে যাচ্ছি, […]
হলদে কালো আর সাদার গল্প (পর্ব ১)

২০০৬-এর কথা। কলকাতায় ছুটি কাটাতে গেছি অনেকদিন বাদে। একা ট্যাক্সিতে চড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি যাচ্ছি| ট্যাক্সিতে চাপিয়ে দিলেন শ্বশুরমশাই, সঙ্গে বেশ লটবহর। উনি ট্যাক্সি ড্রাইভারকে বুঝিয়ে দিলেন কোথা দিয়ে গেলে সুবিধা হবে।আমি জিনিসপত্র নিয়ে গুছিয়ে বসে “বাবা আসছি” বলতে গিয়ে দেখি, পাশে জানলায় উনি নেই!…আরে এই তো ছিলেন, কোথায় গেলেন? দেখতে গিয়ে পিছন ফিরে […]