গতকালের কলকাতা (পর্ব ২): হারিয়ে যাওয়া পথঘাট

এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কেমন ছিল জানেন? প্রাণকৃষ্ণ দত্ত’র লেখায় পাওয়া যায় ১১ই অক্টোবরের এই ঝড়ে কলকাতা বন্দরে দাঁড়ানো নয়টা ব্রিটিশ জাহাজের মধ্যে আটটা, চারটে ওলন্দাজ জাহাজের মধ্যে তিনটে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তার সাথে বিশ হাজার নৌকো ভেঙে পড়েছিল এই ঝড়ে। তিন লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে। ‘এক রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর’ প্রবাদ মেনে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গী হয়েছিল সাইক্লোন।
পুরনো কলকাতার অজানা গল্প, লিখলেন পিনাকী ভট্টাচার্য…
গতকালের কলকাতা (পর্ব ১) কলকাতা বাজারের গল্প

বর্তমান বাগবাজার অঞ্চলে ব্রিটিশ ধনকুবের ক্যাপ্টেন চার্লস পেরিনের বাগানবাড়ি ছিল। ১৭৫২ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সেই জায়গা কিনে নিয়ে এক ওয়াচ-টাওয়ার বসায়, সেইসময়ের ৩৩৮ টাকা খরচা করে। কারণ? নবাব সিরাজদৌল্লা কলকাতা আক্রমণ করবেন, এই খবর তাদের কাছে আগেই পৌঁছেছিল। তাই পশ্চিমে হুগলী নদী আর উত্তরের জলা-জঙ্গলের দিকে নজর রাখতে এই ওয়াচ-টাওয়ার, যাতে নবাবের সৈন্য দেখলে তৎক্ষণাৎ কেল্লায় খবর দেওয়া যায়।
লিখলেন পিনাকী ভট্টাচার্য…
ফিরিওয়ালার গল্প

সেকালে পথেঘাটে মেছুনিরা বাড়ি বাড়ি মাছ ফিরি করে বেড়াত। ঊনবিংশ শতকের খাদ্যরসিক কবি ঈশ্বরগুপ্ত লিখেছেন, নেটা, বেলে, গুড়গুড়ি প্রভৃতি মাছ এক ঝুড়ি তিনি এক আনা পনে মেছুনিদের কাছ থেকে কিনে আনতেন। ‘হুতোমপ্যাঁচার নকশা’ গ্রন্থে হুতোম মেছুনি প্রসঙ্গে লিখলেন, শোভাবাজারের রাজাদের ভাঙা বাজারের মেছুনিরা প্রদীপ হাতে করে “ও গামচা-কাঁদে, ভালো মাচ নিবি? ও খ্যাংড়া-গুঁপো মিন্সে চার আনা দিবি”- ইত্যাদি মিষ্ট ভাষণ প্রয়োগ ক’রে ক্রেতাদের ডেকে নিতেন।
নিশিকুটুম্ব কথা

তস্করবৃত্তি পেশা অতি প্রাচীন। তবে কালেকালে তার বিবর্তন হার মানাবে ডারউইনের তত্ত্বকেও। এককালের সিঁধেল চোর থেকে আজকের অ্যাকাউন্ট হ্যাকার — যাত্রাপথে চুপিচুপি কান পাতলেন সুপ্রিয় চৌধুরী।
লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৫ – কবিতা ও গান

আত্মীয়দের ফরমায়েশে এইসব গান গেয়ে যেমন নামডাক হল, গান শেখার উপর বিরক্তিও তত শিকড় নামাল মনে।
লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৪ – বই শোনা, বই পড়া

ক্লাস থ্রি-তে ওঠার পর আমার পার্কে যাওয়া হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। নির্দেশনামার বিশ্লেষণে মায়ের কোনও আগ্রহ ছিল না। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে খুব মিল। শুনলাম, বড় হয়ে গেছ, আর খেলতে যেতে হবে না।
ঘরে ফেরার গান

বছরের এই সময়টা কলকাতা হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাদের মতো “পরিযায়ী পাখিদের”। সেমেস্টারের পড়ানো চুকিয়ে, ফাইনাল গ্রেড জমা দিয়েই প্রায় দৌড়ে প্লেনে ওঠা নান্দীকারের নাট্যমেলা ধরার জন্যে! অ্যাকাডেমি-নন্দন চত্বরে চেনা মুখ “আরে, কবে এলে? চল একদিন বসা যাক।” … ঘরে ফেরার গানের সুরে ভাসলেন ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আমার পার্ক স্ট্রিট, আমার শীতকাল

তাপমাত্রা কমবে আরও। শীত সন্ধ্যার আকাশে যেন মশারি টাঙানো। যেন চাঁদোয়া ঝোলানো পার্ক স্ট্রিটে। সবাই সবাইকে উপহার আর উষ্ণতা দেয়। পর্তুগিজ যুবক এসে গিটার বাজান হোচিমিন সরণিতে। টি-মোমো অর্ডার করেন কোরিয়ান দম্পতি। আরও কত কিছু হয়ে চলে শীতের কলকাতায় গোচরে-অগোচরে। বড়দিনের আমেজ গায়ে মাখলেন দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।