অতিমারী ও প্রকৃতি-বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু (প্রবন্ধ)

এই অতিমারী প্রকৃতি এবং পরিবেশের জন্য ভালো না খারাপ, সেটা ভাইরাসের উপরে নিশ্চিত ভাবে নির্ভর করবে না, নির্ভর করবে মানুষের উপরে।… এই যুদ্ধ দুর্যোগ নয়, প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য আজ মানুষের কাছে এক বিরাট সুযোগ।…

ঘর (কবিতা)

Spring during corona

আসলে মেঘেদের অন্তরে জমছে বিন্দু বিন্দু কান্নার বাষ্প। পৃথিবীর অগনিত পুত্রকন্যার অসহায় কান্না।
ক্রমশ একটা আশ্চর্য ভয় আমাদের একলা করে দিচ্ছে, কুঁকড়ে দিচ্ছে ভেতরে ভেতরে
মৃত্যও আজ বড় একলা…
আজ মৃত মানে অতি দ্রুত বেড়ে ওঠা দেহের সংখ্যা মাত্র,
নেই প্রিয় মুখ, নেই শোকের অবকাশ, নেই কারও হাত ধরে বৈতরণি পার!

একটুকু ছোঁয়া লাগে (গল্প)

illustration by Upal Sengupta

কিন্তু এখন একটা অজানা টেনশন কাজ করছে লীনার মনে। কই একটু আগেও তো এমন মনে হচ্ছিল না। ফোনটা ধরল না সে। সঙ্গেসঙ্গেই কেকার ফোন। নাহ! এবার স্নানে অব্যাহতি দিতেই হবে। গা  মুছতে মুছতেই আবার দূর্বার ফোন। 

লকডাউনে তারকাদের রোজনামচা

video by tolly stars during lockdown

স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে তারকারা করছেনটা কী? আদতে আমি-আপনি যা করছি অনেকটা তাইই, কারণ তাঁদেরও অনেকের বাড়িতেই সাহায্যকারিণী মেয়েটি আসছে না, গাড়িচালক আসতে পারছেন না, আয়াদিদি আসতে পারছেন না। তারকাদের সব ক্ষেত্রে ওয়র্ক ফ্রম হোম-ও নেই। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া, ঘরের কাজ, রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, মিম বানানো, ঠাট্টা ইয়ার্কি নিয়েই কাটছে তারকাদের গৃহবন্দিদশা।

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন (প্রবন্ধ)

Pandemic in Paris

এপিডেমিক শব্দটার উত্থান ইউরোপে, গ্রিসে। এপি অর্থে উপর (upon/above) আর ডেমস অর্থে মানুষ (সেখান থেকেই ডেমক্রেসি বা গণতন্ত্র)। কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস-জনিত মারণ রোগ যখন একই দেশের অনেক মানুষকে সংক্রামিত করে, তখন তাকে এপিডেমিক বা মহামারী বলে। আবার সেই এপিডেমিক যখন এক দেশের সীমান্ত পার করে পড়শি দেশ, মহাদেশ, বা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তারই নাম হয় প্যানডেমিক বা অতিমারী।…

এভাবেও ফিরে আসা যায় (প্রবন্ধ)

এমনই  চলছিল গত প্রায় দুবছর! ওমা, হঠাৎ করে আবার সপ্তাহ দুয়েক আগে দেখি এক পিক-আপ ট্রাক থেকে লোটাকম্বল নামাচ্ছে  জেসিকা! তড়াং করে সেটা থেকে লাফ দিয়ে নামল সাদা কুকুর ও দুই বাচ্চা। হাঁটতে বেরিয়ে তার দিন দুয়েক পরে দেখি, বাড়ির দরজা খোলা, জেসিকা ভেতরে বাড়ি পরিষ্কার করছে দেখা যাচ্ছে।  খাবলা মেঝে আবার ফেরত আসা জিনিসে ভরে গেছে। আমাদের ব্যাকইয়ার্ডের পাশেই তাদের ব্যাকইয়ার্ডে  সাদা কুকুর কালো কুকুর আবার একসঙ্গে দাপাদাপি করে খেলছে! বাড়ির সামনে জেসিকা ছোট ছোট গোলাপের চারা পুঁতছে।

ফ্লুরিজ এখন আপনার দোরগোড়ায়

Flurys mobile bread stall

চব্বিশ তারিখ লকডাউনের ঘোষণার আগেই এই রাজ্যে পাঁউরুটির একটা ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ব্রেড তো আমাদের অত্যাবশ্যকীয়  পণ্যগুলির অন্যতম। রেডিমেড খাবার হিসেবে এইসময় বাড়িতে মজুত থাকাটা জরুরিও। সেই ব্রেড এইভাবে বাজারে আসা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে মানুষ বিপদে পড়ে যান। সেটা দেখেই আমরা ভাবতে শুরু করেছিলাম কীকরে এটাকে সামলানো যায়। এদিকে যেহেতু কারফিউ চলছে,কারও পক্ষে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় আর যেহেতু আমাদের মধ্যে অনেকেই শহরের বিভিন্ন আবাসনগুলিতে থাকেন সেখান থেকেই আমরা ভাবতে শুরু করলাম কেমন হয় যদি আমরা আমাদের ফুড ট্রাকে করে পাঁউরুটি সোসাইটিগুলোতে মানুষের কাছে পৌঁছে দিই।