দুটি কবিতা

আমি তখন কৌতূহলী পনেরো বছরের।/আমার ছিল শরীর জুড়ে ভুল।/ত্রস্ত পায়ে কখন যেন ডিঙিয়ে আনমনে/মুগ্ধ দেহে ফুটিয়ে তুলি ফুল।
কবি শর্মধী চট্টোপাধ্যায়ের দুটি নতুন কবিতা
কবিতা: মেলার নাম বই

ধুলো ওড়ার বসন্তে কলকাতা,/ভিড়ের মাঝে অনন্ত হাতছানি/সে আমাকে নাও বা যদি চেনে/আমি তাহার পদ্য কিছু জানি।
কবিতা: মনে রাখুন (সলমন রুশদি কে উৎসর্গ করে)

মনে রাখুন নামটা হাদি মাতার/হাদি মাতার লেবানিজ আমেরিকান/হাদি মাতারের মা আমার মায়ের মতন/হাদি মাতারের বাবা আমার বাবার মতন/ওরা একটু আলো কিনতে হাটে যায় রোজ
কবিতা: শাহীঘুণ

মরদ মহুয়ার নেশার হাওয়া শুঁকে/
নিব কলমের খাঁজে দম দিয়ে যায়/
টেবিল ঘড়ির ছটফটানি,/
চামড়ার কাঁপুনিও খাবলে খায় টোল পড়া জলাভূমি/
আর্ত লালার খালে ডুব দেয় তৃপ্তি, আরও একবার; শাদা কাদামাটি ছদ্মনামে কবির কথা।
কবিতা: চিল

বন্দরের কাটাকুটি বাঁশি– কোন ছায়া অধিবাস/সপাটে গিলেছে চিহ্ন – কোথায় পৌঁছল আয়নারা?–
দু’টি কবিতা

নিশি নিশি-তেডেকে গেছে দিনে—আমি যাব লেনা-দেনা কিছু কিছুবাকি রয়ে গেলকটা শস্তাকথায় তবে আবারও বিলিয়ে নিজেকে আমি যাব যে নিশীথের নিশিডেকে গেছে দিনেপায়েপায়ে আমিতারই পিছু নেব শান্ত লুব্ধক আকাশের নীচে মেঘআর তারও নীচে আমি ভেসে আছি—উতলা কুহু-রাতেতার কাজল উচ্ছ্বাসেশান্ত লুব্ধক যেন
কবিতার মুহূর্তে

ধীর-কষ্ট গা সওয়া হলে; অচেনা-অক্ষরে বাধা চেনা-শব্দ জড়িয়ে আসে ঘুম; শরীর নিঙড়ে লেখা তার কাজ সারে, একান্তে।
কবিতা: নির্ভয়া

বাড়িতে হাঁসের বাচ্চা তোলা হ’ত। তখন সবার সে কী আনন্দ। তুরতুর করে রংবেরঙের তুলোর বলগুলো ছুটেছুটে বেড়াতো উঠোনময়।