খতিয়ান (কবিতা)

শহর ছোঁয়নি কোনও রক্তের লাল রঙ / দু’হাতে রাখেনি হোমের কোনও আগুন… / সময় সরণির কোথাও শোনা যায়নি / নীরব শব্দের স্রোত।
স্বগত স্বীকার (কবিতা)

অসুখের ইতিহাসে নীরব কান্নার বিবরণ আছে, জেনো।
অভিমান ঘনিষ্ঠ হলে যে ব্যক্তিগত সুখ হয়
তার নীচে জমা থাকে এক-একটা এপিসোডিক বিরতি
নিশ্চিত আশ্রয় থেকে ছদ্ম-সুখে,
নিজস্ব পরিধি ছেড়ে কৌণিকবিন্দুতে-
আজ তবে শূন্যের কথা কেন?
দু’টি কবিতা

আর আজকাত লাভ-ক্ষতির হিসেবনিকেশকে তো
অঙ্ক বলেই মানি না।
সুদকষা দেখলে পেটে খিল ধরে যায় –
হাসি থামে না।
খিদের গল্প (কবিতা)

চৌকাঠ না থাকা ঘরে খিদে নেই / একথা জানে না চাকা
বহু বাসনায় (কবিতা)

মানুষের জীবনে তো তেমন আমোদ
নেই। বিনোদন নেই। তারা তাই অবসর পেলে
কষ্টের কথাগুলি কাগজের বলের মত গোল্লা করে
পরস্পর লোফালুফি করে, বেলুনের মতো তাকে
ওড়ায় বাতাসে। সংসারে এমনই নিয়ম।
এক সকালে

প্রাচীনার ঘোরাফেরা
ছোট্ট নতুন সংসারে।
প্রতিশোধ

তোর মনে হয় যাবার সময় হল উঠতে হবে, দেরী করিস না যেন! অনভ্যাসের চেয়ার ছেড়ে সসম্মানে মুখোশ ছিঁড়ে নেমে আয় আজ সিংহাসন ফেলে। অহং ,পাপ আর পুণ্য …. থাক! চৌকাঠের ভিতরেই থাক, তুই শুধু খালি পায়ে ,নগ্ন মনে, ক্লান্ত শরীরে হেঁটে চলে যা ওই যেখানে শেয়াল কুকুর শকুন মানুষ না হয়েও দিব্যি বেঁচে আছে সেখানে। […]