শুধু সেই সে দিনের মালি নেই! (শেষ পর্ব)

উনি আজও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। প্রথম প্রেমে পড়া, প্রেম ভাঙা, পুরস্কার, শরীরখারাপ, সব কথা ওঁকে সকলের আগে জানাতাম। ওঁর কথা, ওঁর ঠাট্টা, ওঁর শিক্ষা- এ জীবনে ভোলার নয়। ডিসিপ্লিন, ডিটারমিনেশন, ডিভোশন – এই তিন শিক্ষা আমার ওর থেকেই শেখা। সারাজীবন ধরে এই পথেই চলেছি। আমার ক্ষমতা কী যে ওঁর সঙ্গীত আমি ধরব? আমি শুধু শিখতাম ওঁর জীবনদর্শন। উনি ছিলেন আমার বাবা। আমার সুহৃদ। আমার প্রেরণা।
শুধু সেই সে দিনের মালি নেই! (পর্ব ১)

এখন ভাবলে মনে হয়, ওই একুশ বছর বয়স বলেই অমন সাহস করতে পেরেছিলাম বোধহয়। রাগসঙ্গীতের রাজার সামনে বসে ‘এস যৌবন এস হে’ গেয়ে শুনিয়েছিলাম কী করে কে জানে! বলতে পার আমার ওপর অগাধ ভরসাটা তখন থেকেই।
সোনার শহর কলকাতা

ভিক্টোরিয়াতে যাই চলো, বলায় রাজি হল। তাজমহলের ডুপলি না ওটা? খবর রাখে। ট্র্যাভেল গাইড হওয়া সহজ নয়, বুঝতে পারছিলাম। নিজের শহরেই হিমশিম খেতে হবে সেটাও টের পেলাম । ভেতরে ঢুকে মস্ত ডোমের ঠিক তলায় পৌঁছে এই প্রথম মোবাইল ফোন বের করল বৌদি। সেলফি তুলল না, মেঝেতে সাদা কালো পাথরের তারার মত নকশাটা দেখতে লাগল ঘুরে ফিরে। বললো, কলকা টা ভালোই করসে। শাড়ি করাব একটা।