রবিরাগে- প্রথম পর্ব: এক সংলাপের সূচনা

রাগসঙ্গীতশিল্পীদের বিরাগ রবীন্দ্রনাথ বা তাঁর সৃষ্টির প্রতি নয়, রবীন্দ্র-গান কীভাবে পরিবেশিত হয়, তার প্রতি। আগেই বলেছি, স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সৃষ্টি এক্ষেত্রে কার্যত নিরুপায়। যাঁরা রবীন্দ্র-গান গান, তাঁদের অনেকেরই মূল উদ্দেশ্য সঙ্গীতচর্চা, না সামাজিক স্বীকৃতি লাভ, তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই তাঁরা গান গাইলে রবীন্দ্র-গানের সাঙ্গিতিক দিকগুলি যে উপেক্ষিতই রাখেন, সে কথা অনুধাবন করতে কষ্ট হয় না।
শুরু হল রবীন্দ্র-গান নিয়ে সুভদ্রকল্যাণের নতুন কলম ‘রবিরাগে’, আজ প্রথম পর্ব…
ইংরাজি গানে আন্তরিক ঘৃণা থেকে পাশ্চাত্য সুরারোপের পথিকৃৎ

সারাজীবনে নিরবচ্ছিন্ন শান্তি বা স্বস্তির মুহূর্ত ক’খানি পেয়েছেন, তা হাতে গুণে বলা যাবে। স্ত্রীয়ের অকালপ্রয়াণ, উনিশবার বদলি, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসারের ধাক্কা সবকিছু সত্ত্বেও সৃষ্টির সুধাধারা থামতে দেননি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। …
মীড় দিলে নিষ্ঠুর করে…

রবিশঙ্কর তাঁর গুরু আচার্য আলাউদ্দিন খানের তালিম মাফিক শুরু করলেন বিলম্বিত তিনতালে গৎ বাজানো। এবং আজীবন কর্ণাটকী সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিশ্বাসী থাকার দরুণ তিনি সেই গতে লয়ের মারপ্যাঁচ, অঙ্কের হিসেব, তেহাই ইত্যাদি নিয়ে এলেন। এতে তাঁর বাজনায় আমরা পেলাম সুরের সঙ্গে তাল-লয়ের অসামান্য সামঞ্জস্য।
মেহফিল থেকে মিনার

কলকাতায় পরিযায়ী পাখিদের আসার সময় হলে ধীরে ধীরে নকশাদার পশমিনা শালগুলো সব বেরিয়ে এসে রোদে গা মেলে দেয়। বুঝে নেওয়া যায় কলকাতার রাতজাগা শীতের আসরগুলি বসার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু হেমন্ত-শীতের আরেকটি খুনসুটি হল উড়াল দিয়ে নিয়ে যাওয়া নস্ট্যালজিয়ার উদ্ভিন্ন বাগানে। স্মৃতির অলিতে গলিতে ঠেলে দিয়ে অতীতচারী করে তোলা মুহূর্তমধ্যে। আর আমার স্মৃতির ভান্ডারে তো […]