গল্প: ১৩বি হরি ঘোষ স্ট্রিট

মৃন্ময়ী দেবীর ঘরে ঢুকে পিকু দ্যাখে বিশাল পালঙ্কের মাথার দিকে হেলান দিয়ে মৃন্ময়ী দেবী শুয়ে আছেন আর কোলের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে সেই লোকটি, যার নাম ভোলা। ভোলার হাতে একটা সিরিঞ্জ আর বিছানার পাশে টেবিলে একটা লেবেল ছাড়া ইনজেকশনের ওষুধের শিশি। এর থেকেই মৃত্যুর কারণটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
পিকু কি তল পাবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যের? অরূপ দাশগুপ্তের নতুন গল্প
গল্প: মরুশহরে কেল্লাফতে

যেহেতু রাতে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে ট্রেনটা যাবে আর আজ কোজাগরী পূর্ণিমা তাই ঠিক হল ওরা সারা রাত জেগেই কাটাবে। পৌনে বারোটায় ট্রেন ছাড়ল। অরূপ দাশগুপ্তের কলমে রহস্যরোমাঞ্চের গপ্পো।
উশ্রী তীরে বিশ্রী ব্যাপার

কী বলছ তপেস ভাই! আবার সেই মন্দার বোস আর মগনলালের সঙ্গে দ্যাখা হবে! দ্যা ডেকোয়েট অফ আরাবল্লি অ্যান্ড দ্যা স্মাগলার অফ বারাণসী!
গল্প: সিরাজের বেগমের আংটি

খবরটা পড়া থেকেই কৌশিকের মনটা বড্ড খারাপ হয়ে রয়েছে। কাগজে মৃতের চেহারার আর পোশাকের যা বর্ণনা দিয়েছে তাতে মৃত ভদ্রলোকের একজন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক বলেই মনে হচ্ছে। কী এমন হতে পারে যে একজন আপাত ভদ্র মানুষকে এই ভাবে খুন হ’তে হয়!
গল্প: তরফদারের বাক্স

পিকু বেহালার জয়শ্রী পার্কে থাকে। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে ফিজিক্সে এমএসসি পড়ে আর মামার পাল্লায় পড়ে মাঝেমধ্যে সখের গোয়েন্দাগিরি করে।
টুরুন আর তার দাদুরা

মহেশবাবু টুরুনকে জিজ্ঞাসা করলেন “কি দাদুভাই কিছু দেখেছ নাকি? আমি তো দেখার আশায় বসে বসে ঘুমিয়েই পড়লাম।” টুরুন বললো “হ্যাঁ দাদু, দেখলাম তো!
বিনয়বাবুর মৃত্যুরহস্য

ঘটনাটা ঘটেছে পরশু সন্ধ্যেবেলা গান শেখানোর সময়। গান শেখাতে শেখাতে হঠাৎ বিনয় বাবু মুখ থুবড়ে হারমোনিয়ামের উপর পড়ে যান আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়।
পিকুর গোয়েন্দাগিরি

ব্যাপারটা এবার পরিস্কার হতে লাগল পিকুর কাছে। একহাতে ঘড়ির ঘণ্টার কাঁটাটাকে ধরে অন্য হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ঘড়ির ডায়ালের ওপর হাত বোলাতে বোলাতে বারোর থেকে নীচের দিকে নামতে থাকল, পাঁচে এসেই থেমে যেই নম্বরটাকে টিপে ধরল অমনি বাঁ হাতে ধরা ঘণ্টার কাঁটাটা কেমন আলগা হয়ে গেল।