মানবমিলনের প্রতীক কাজী নজরুল ইসলাম

প্রথমে নজরুলকে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখান থেকে আলিপুর সেন্ট্রাল, হুগলি জেল ও শেষে বহরমপুর জেল হয়ে প্রায় একবছর বাদে ছাড়া পান তিনি। জেলে নানারকম উৎপীড়ন তাঁকে ভোগ করতে হয়েছিল। বিশেষ করে, হুগলি জেলে থাকার সময় নির্যাতন চরমে ওঠে। এখানে কয়েদিদের জঘন্য খাবার দেওয়া হত। এর প্রতিবাদে নজরুলের নেতৃত্বে বন্দিরা অনশন শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথের “তোমারি গেহে পালিছ স্নেহে…” গানের অনুসরণে নজরুল মুখে মুখে একটি ব্যঙ্গগান তৈরি করলেন, যা সবাই মিলে গাইতেন জেল-ওয়ার্ডেনকে উদ্দেশ্য করে― “তোমারি জেলে পালিছ ঠেলে/তুমি ধন্য ধন্য হে…”। এইসব কারণে, জেল-কর্তৃপক্ষ নজরুলের হাতে পায়ে শেকল দিয়ে আলাদা সেলে রেখে দেয়।
সাম্যবাদের জ্বলন্ত বিগ্রহ কাজী নজরুলকে নিয়ে লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্যা
মফস্সলের থিয়েটার আর এক আশ্চর্য প্রাপ্তি

বাংলা থিয়েটারের দুনিয়া ঘিরে শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, একাধিক বিরাট মাপের গুণী নাট্যকার, সংগীতকার, যন্ত্রসংগীতশিল্পী, কণ্ঠশিল্পীর সমাবেশ ঘটেছে শুরু থেকেই। এর পাশাপাশি গ্রুপ থিয়েটারে দেখা গেল অন্য স্রোত। সেখানে বাণিজ্যিক ভাবনার বাইরে এসে কিছু নাট্যপাগলের ঝাঁক নবীন স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তুলতে লাগল একেকটি দল। যাঁরা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা না ভেবে শুধুমাত্র থিয়েটার করার নেশায় আচ্ছন্ন ও প্রধানত প্রগতিবাদী চেতনাসম্পন্ন।
সুরসন্ধানী জটিলেশ্বর

জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ভেতর সঙ্গীতচেতনার পাশাপাশি এক শক্তিশালী কবিচেতনা ছিল। না হলে, এরকম গীতিকবিতা কেউ লিখতে পারেন না। অভীক চট্টোপাধ্য়ায়ের কলমে।
নিবন্ধ: দৃশ্য যখন নিজেই সঙ্গীত

তরুণ মজুমদারের ছবিতে গানের নির্মাণ ও নির্বাচন এবং তা নিয়ে দৃশ্যরচনা, হয়ে উঠেছে আদর্শ ও মনোগ্রাহী। যার মধ্যে আছে রবীন্দ্রনাথের গানের উজ্জ্বল উপস্থিতি। … লিখছেন অভীক চট্টোপাধ্যায়।
অনুপম সুরে

মন দিয়ে সবটা শুনে যে কম্পোজিশন করলেন সুরকার, সেরকম সুরগঠন এর আগে বাংলা গানে সেভাবে হয়নিই বলা চলে। সার্থকভাবে প্রয়োগ করলেন ‘ডিমিনিশিং কর্ড সিস্টেম।’ অদ্ভুত সুরচলন! বিস্মৃত সুরকারকে নিয়ে লিখছেন অভীক চট্টোপাধ্যায়।
ঠকার মহানন্দ!

ঠকে যাওয়া যে কতভাবে আমাদের আনন্দ দেয়, তা খেয়াল হয় না। ঠকে যাওয়া মানে তো এক অর্থে বোকা বনে যাওয়া। সেই বোকা হওয়া অনেকক্ষেত্রেই সুন্দরের জন্ম দেয়। প্রাপ্তিযোগ ঘটায়। … লিখছেন অভীক চট্টোপাধ্যায়।
গোবর গোহ: সবল বাঙালির বিশ্বজয়

মল্লচর্চার ঐতিহ্যশালী পরিবারে জন্মেছিলেন যতীন্দ্রচরণ গুহ। কিন্তু এ নাম স্থায়ী হল না। গোবর গোহ নামেই বিশ্বজয় করলেন কুস্তির মারপ্যাঁচে। সম্প্রতি পেরিয়ে গেল তাঁর ১২৮তম জন্মবার্ষিকী। লিখছেন অভীক চট্টোপাধ্যায়।
বাংলা আধুনিক গানে লতা

যখন তাঁর উত্থান, সেই ১৯৪০-এর দশকে হিন্দি ছবির জগতে চলছে বাঙালির রমরমা। অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক, সংগীত পরিচালক, গায়ক, গায়িকা― সর্বত্র বাঙালির প্রাধান্য ও নেতৃত্ব… লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্য়ায়।