অনুবাদ গল্প: তিনটে আঙুল (অন্তিম পর্ব)

E Santosh Kumar Story-translation Final part

আমার যখন জ্ঞান ফিরল, তখন রক্ত পড়ছিল। হ্যাঁ রক্ত। মেঝেময় রক্ত। ছেনির ডগায় রক্ত, কাটা আঙুলগুলোয় রক্ত, হাতের তালুতে রক্ত। রক্ত মাখা কাপড় যেন লাল সিল্কের মতো। আমার নিজের রক্তের গন্ধ, কী ঠান্ডা অনুভূতি! হুঃ! কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। আমি তখনও ওকে আঁকার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কোথায় সে? আমি ওকে খুঁজছিলাম। দেওয়ালে ওর নাম লিখলাম রক্ত দিয়ে। যেন নিজেকে বলি দিয়ে ওকে লুব্ধ করার চেষ্টা করছিলাম।

অনুবাদ গল্প: তিনটে আঙুল (দ্বিতীয় পর্ব)

E-Santosh kumar Story translation part 2

আমি শিউরে উঠলাম। ‘মনাই, তোমার হাতে কী আছে? সেইদিনও উনি বারবার হাত শুঁকছিলেন।’
‘সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। উনি আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। আমার খুব খারাপ লেগেছে। জানো, আমার ডান হাতে কোনও সমস্যা নেই।’ সে নিজের লম্বা, শীর্ণ ডান হাতটা তুলল যেন নিশ্চিত হবার জন্যে।

অনুবাদ গল্প: তিনটে আঙুল (প্রথম পর্ব)

E Santosh kumar story Translation

আমি, পুরো বিশ্বাস না করেই, তার দিকে কিছু কাগজ এগিয়ে দিলাম। দেখলাম, সে টাইপরাইটারের প্লাস্টিক ঢাকনা সরিয়ে তাতে কাগজ পরাচ্ছে।
সে যখন টাইপ করতে শুরু করল, আমি আঁতকে উঠে দেখলাম তার বাঁ হাতে তিনটে আঙুল নেই। সে দুহাতের শুধু তর্জনী দিয়ে টাইপ করছে। দেখে মনে হচ্ছে তিনটে আঙুল যেন কেটে নেওয়া হয়েছে।

গল্প: বাঁচবার দিন: তরুণ কান্তি মিশ্র

Translated story from Odisha to Bengali

আগে ও খুব কাঁদত, ছোট্ট বাচ্চাদের মতো। এমনকি বাইধরের পায়ের উপরে মাথা রেখে বলত, চোখের জলে, চুমুতে ভিজিয়ে দিত তার দুটো পা– আমাকে ছেড়ে কোথাও যেও না, তোমাকে আমার দিব্যি। বাইধর তখন চুপ থাকত, একদম নীরব।  কাঁদতে কাঁদতে সাবিত্রী অসাড় হওয়ার পড়লে ও ঘর থেকে বেরিয়ে যেত, চুপচাপ।

ওড়িয়া ভাষার বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক তরুণ কান্তি মিশ্রের গল্প ‘বাঁচবার দিন’, বাংলায় অনুবাদ করেছেন প্রদীপ কুমার রায়

কাকগুলো সন্ধেবেলা বাসায় ফেরে (অনুবাদ গল্প)

Illustration Suvranil Ghos শুভ্রনীলh

ওরা ঐখানে বসে আছে উবু হয়ে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ইতর জীবন নিয়ে বসে আছে। জলের একদম ধারে বন্দরের জেটির পাঁচিলে, পাথরের উপরে জবুথবু হয়ে বসে আছে। বাঁধের নিচের ধাপের সিঁড়ির উপরে বসে আছে। বয়ার কাছে, পন্‌টুনের উপরে বসে আছে। ঝরে পড়া ধুলোমাখা পাতা আর টিনের ফয়েলভর্তি রাস্তার কিনারে বসে আছে। কাকগুলো? নাহ, মানুষ!