জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’: পর্ব ২১

George Orwell's Animal Farm-episode 21

আতঙ্কিত জন্তুরা গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখতে লাগল, শুয়োরের দল সারি বেঁধে উঠোন ঘিরে চক্কর দিচ্ছে৷ জন্তুদের মনে হল, পৃথিবীটা যেন উল্টে গেছে৷ প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে উঠেই জন্তুদের মনে হল এর একটা প্রতিবাদ করা দরকার। এ-ক্ষেত্রে কুকুরের ভয় আছে। তা ছাড়াও বহু বছর ধরে কোনওরকম অভিযোগ বা সমালোচনা না-করে-করে কেমন একটা জড়তাও যেন এসে গিয়েছে তাদের স্বভাবে৷ তবুও ওরা হয়তো প্রতিবাদ করত, কিন্তু সেই মুহূর্তেই কোনও একটা সংকেত পেয়ে ভেড়ার দল তুমুল হল্লা জুড়ে দিল, “চারপেয়েরা ভালো, দুপেয়েরা আরও ভালো! চারপেয়েরা ভালো, দুপেয়েরা আরও ভালো!”

জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। আজ পর্ব ২১

অনুবাদ গল্প: তিনটে আঙুল (দ্বিতীয় পর্ব)

E-Santosh kumar Story translation part 2

আমি শিউরে উঠলাম। ‘মনাই, তোমার হাতে কী আছে? সেইদিনও উনি বারবার হাত শুঁকছিলেন।’
‘সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। উনি আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। আমার খুব খারাপ লেগেছে। জানো, আমার ডান হাতে কোনও সমস্যা নেই।’ সে নিজের লম্বা, শীর্ণ ডান হাতটা তুলল যেন নিশ্চিত হবার জন্যে।

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’: পর্ব ১৯

George Orwells Animal Farm Episode 19

এতদূর অবধি বলে আচমকাই স্কুইলারের হাবভাব কেমন যেন বদলে গেল৷ নতুন করে কিছু বলার আগে একটু থেমে নিয়ে সে তার কুতকুতে চোখগুলোকে খুব সন্দিগ্ধভাবে এপাশে-ওপাশে ঘোরাতে লাগল৷ তারপর বলল, সে না কি জানতে পেরেছে বক্সারকে নিয়ে যাওয়ার সময় একটা বোকা বোকা মাথা-মুন্ডুহীন গুজব রটেছিল৷ যে গাড়িটা বক্সারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল তার গায়ে ‘ঘোড়ার কশাই’ লেখা দেখেছে কোনও কোনও জন্তু। অমনি তারা দুম করে ধরে নিয়েছে যে, বক্সারকে বোধহয় কোতল করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কী অবিশ্বাস্য ব্যাপার! কোনও জন্তু এত গবেট হয় কী করে! তারা কি জানে না তাদের প্রিয় নেতা কমরেড নেপোলিয়ন কতটা ভালো?

জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। আজ পর্ব ১৯

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’: পর্ব ১৮

George Orwells Animal Farm episode18

বেঞ্জামিন আর ক্লোভার সারা দিনের কাজকর্ম সেরে কেবলমাত্র সন্ধের দিকেই বক্সারকে সময় দিতে পারে৷ আর সেদিন যখন বক্সারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িটা এল, তখন সবেমাত্র দুপুর৷ জন্তুরা একটা শুয়োরের তদারকিতে শালগমের খেতে আগাছা সাফ করছিল৷ এমন সময় তারা অবাক হয়ে দেখল বেঞ্জামিন তারস্বরে চিৎকার করতে করতে খামার বাড়ির দিক থেকে দৌড়ে আসছে৷ এর আগে জন্তুরা বেঞ্জামিনকে কখনও উত্তেজিত হতে দেখেনি, এমনকি দৌড়োতেও দেখেনি৷ বেঞ্জামিন চিৎকার করে বলল, “এখ্খুনি এসো! তাড়াতাড়ি! তাড়াতাড়ি! ওরা বক্সারকে নিয়ে চলে যাচ্ছে।”

জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। আজ পর্ব ১৮

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’: পর্ব ১৭

George Orwells Animal Farm-17

এক নির্দিষ্ট সময়ে জন্তুরা নিজেদের কাজ মুলতুবি রেখে সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ করতে করতে ফার্মের প্রাঙ্গণে ঘুরবে৷ শুয়োরেরা নেতৃত্ব দেবে, তারপরে থাকবে ঘোড়ারা, তার পিছনে যথাক্রমে থাকবে গোরু, ভেড়া ও হাঁস-মুরগির দল৷ কুকুরেরা এই শোভাযাত্রার পাশে পাশে চলবে। আর সবার সামনে হাঁটবে নেপোলিয়নের সেই কালো মোরগছানা৷ এই শোভাযাত্রায় বক্সার আর ক্লোভারের দায়িত্ব খুর আর শিং আঁকা সেই সবুজ পতাকা বয়ে নিয়ে যাওয়া। পতাকায় লেখা থাকে, ‘কমরেড নেপোলিয়ন দীর্ঘজীবী হোন’। তারপর নেপোলিয়নের সম্মানে কবিতা পাঠ করা হয়৷

জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। আজ পর্ব ১৭

গল্প: বাঁচবার দিন: তরুণ কান্তি মিশ্র

Translated story from Odisha to Bengali

আগে ও খুব কাঁদত, ছোট্ট বাচ্চাদের মতো। এমনকি বাইধরের পায়ের উপরে মাথা রেখে বলত, চোখের জলে, চুমুতে ভিজিয়ে দিত তার দুটো পা– আমাকে ছেড়ে কোথাও যেও না, তোমাকে আমার দিব্যি। বাইধর তখন চুপ থাকত, একদম নীরব।  কাঁদতে কাঁদতে সাবিত্রী অসাড় হওয়ার পড়লে ও ঘর থেকে বেরিয়ে যেত, চুপচাপ।

ওড়িয়া ভাষার বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক তরুণ কান্তি মিশ্রের গল্প ‘বাঁচবার দিন’, বাংলায় অনুবাদ করেছেন প্রদীপ কুমার রায়

সুশ্রীরাণী তামসোমের কবিতা: নদী

poetry translated by Mohinimohan Gangopadhyay

মূল কবিতাটি ‘হো’ ভাষার কবি সুশ্রীরাণী তামসোম-এর লেখা। ‘নদী’ শিরোনামে কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করেন কবি মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়। অনুবাদ পত্রিকা ও ভাষা সংসদের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ‘সোনালী ঘোষাল সারস্বত সম্মান’ (২০২৩)-এ সম্মানিত করা হচ্ছে শ্রী মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়কে। আজীবনের সাহিত্যসাধনার জন্য তিনি জীবনকৃতি সম্মান পাচ্ছেন এবছর।

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমাল ফার্ম’: পর্ব ১২

English novel Animal Farm

ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাস ‘অ্যানিমাল ফার্ম’ লেখা হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। একনায়কতন্ত্রী ফ্যাশিস্ত শাসনে সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা পশুদের রূপক ব্যবহার করে তুলে ধরেছিলেন অরওয়েল। আজও তা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বাংলায় তর্জমা করলেন অর্ক পৈতণ্ডী। আজ দ্বাদশ পর্ব।