পাতার নৌকা

একদা স্কুলের বন্ধু সপরিবারে গিয়েছে বেড়াতে
গাঢ় নীল আকাশের গায়ে অরুনাচল প্রদেশ যেন মেঘ জড়ো করে
আমাদের কবিতাপ্রত্যাশা

সেই রকম কোনও কবির দেখা পাওয়া সব সময়ই কঠিন, যাঁর লেখা একই সঙ্গে দীক্ষিত পাঠক এবং সাধারণ পাঠককে মুগ্ধ করবে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়, তেমনই এক জন কবি, যাঁর কবিতা বহু বছর ধরে সেই কাজ করে চলেছে।
সহজ উত্তর

প্রাচীন বটের মতো এত জটিল কেন জীবন?
বেজায় কাণ্ডজ্ঞান খাটিয়ে
হদ্দ খোঁজা খুঁজে দেখেছি –
পতঙ্গ

পাথরে ছলনা নেই, সমস্ত সরল
ঠোঁটে তার ঠোঁট দিলে নেই কোনো পতনের ভয়।
বিরহ

ফিরতি পথে
শেষ চাহনি
মগ্নবিষাদী

আরও একবার চৈতন্যে বিষাদের অমৃত ঢালো প্রভু, আমি মগ্নবিষাদী হব আবার। দেখে যাব শেষবার – বর্ণমালার কোন কোন রঙে আকাশ রাঙালে তুমি, সাজালে মাটি-পাহাড়। জল দিয়ে জল-রং ধুয়ে যাওয়া – দেখে নেব, প্রভু। এই শেষবার। কী রং মেশালে বাতাসে হাওয়া-রং ধরে। এই, এই শেষবার। আমায় মগ্নবিষাদী করো আরবার।
৬ই নভেম্বর

আমাদের নিয়ে লেখা হবে কিছু গল্প মৃত শহরের ঝলমলে কোনো সন্ধ্যায় তারাটির মতো নির্জন এক প্রান্তে নিজেদের খুব কাছ থেকে ফের দেখব বিকেলের মতো ছায়া মেখে সব পদ্য বাতাসের গান মুখে করে পাখি আসবে আকাশের নীল ওড়নার মতো স্বপ্ন আমাদের চোখ মুছে দিয়ে যাবে ক্লান্তির… ঘুরে চলা এই গ্রহটির নাম পৃথিবী ক্ষমতার বশে লোকজন বড় […]
পুনরায়

নিজের ভিতর নিজে বসে আছি প্রগাঢ় সন্ন্যাসে শূন্যদেশে ছায়া ওড়ে শুধু। এ এখন কোন্ ঋতু, পৃথিবীর বুক থেকে জন্মশব্দ উড়ে আসে বাতাসে-বাতাসে! যতটা বিষাদ তুমি দিয়েছিলে প্রকৃত বিচ্ছেদে লতা আর হরিণের শিং হয়ে যত দুঃখ বসেছিল জড়াজড়ি করে – সে-সমস্ত মুছে ফেলে নতুন আনন্দধ্বনি […]