ব্যক্তিগত (কবিতা)

এমন করেই কাটছে সকাল ধূসর গানে, / শিরায় শিরায় সন্ধ্যা নামে গহরজানে। /
ঝটপটিয়ে উঠছি শুধুই রাত-দুপুরে, / যেমন করে শরীর ভেজে জল নুপুরে।
নিরন্তরা

খানিক থামি? নিরন্তরা;
আধার দুটোয় মিলে মিশে আরো অবিনশ্বর হয়ে যাই?
কবি,
তোমার নীরাও বুঝি এমনি?
যা প্রয়োজন এখন (কবিতা)

সব দায় আমার, / সব দায় আমাদের…বহমান সময়ের কাছে। / আজ তাই খুঁজে নিতে হয় / ভেসে থাকা খড়কুটো যত।
বৃষ্টিযাপন (কবিতা)

যদি গল্প বলতে পারতাম গুছিয়ে
ঘটমান সত্যের কাছে অবশ্যই
নিয়ে যেতে পারতাম তোমায়।
যেখানে পাতার এক পৃষ্ঠায় থাকত
সহানুভূতির দুটো চোখ তোমার,
বিপরীত পৃষ্ঠায় তখন ছুঁয়ে যেত
অনুচ্চার সাক্ষর আমার।
রীতি (কবিতা)

প্রেম মানে এটুকুই শ্বাস ছিল… / হে বিচ্ছেদ, তোমাকেও এভাবে দেখছি
খতিয়ান (কবিতা)

শহর ছোঁয়নি কোনও রক্তের লাল রঙ / দু’হাতে রাখেনি হোমের কোনও আগুন… / সময় সরণির কোথাও শোনা যায়নি / নীরব শব্দের স্রোত।
প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণের কবিতা

ভূকোরকের ণাঝখানে চলে গেছে
সেখানে ধক ধক করছে লাভা
ধক ধক ধক ধক করছে লাভা
ধক ধক ধক ধক করছে লালা
কবিতার সঙ্গে বসবাস

অজানা। এই একটি শব্দ পর্যন্ত শুধু আমি পৌঁছতে পারি। আমার কাছে কোনও কবিতা হঠাৎ আরম্ভ হয়। কয়েকটি লাইন পরপর মাথায় চলে এল। কখনও বা মাত্র একটাই লাইন তিন দিন চার দিন ধরে মানের মধ্যে ঘুরে চলেছে। পরে লাইন আর আসছে না। অকস্মাৎ পরে দু’টি তিনটি লাইন চলে এল। অবাক হয়ে দেখলাম চার লাইনের একটি স্তবক তৈরি হয়ে গেছে! তখনও কিন্তু খাতা কলম নিইনি। এই যে চার লাইনের একটি স্তবক মনের মধ্যে তৈরি হয়ে উঠল, তা কী উপায়ে হল? সত্যি আমি জানি না।