১৯৬৯ সালের ২৩শে জানুয়ারি। এই ২০২৩ সালে এসে ৫৪ বছর আগের সেই দিনটার কথা মনে আসে একটা আবছা স্বপ্নের মতো, কেমন যেন একটা রোমাঞ্চ নিয়ে।

শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে সেদিন উদ্বোধন হতে চলেছে নতুন বসানো অশ্বারূঢ় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি। দেশ তখন স্বাধীনতার মাত্র ২১টা বছর পেরিয়ে এসেছে, নেতাজি তখন মানুষের মনে, স্মৃতিতে আরও জীবন্ত, আরও উজ্জ্বল, এক চিরজাগরিত আলোকশিখা। বিশেষ করে তিনি বাঙালি, কথা বলেন বাংলায়, তাঁর বাড়িও এই কলকাতাতেই, সেই বাড়ি থেকেই তাঁর রওনা নিরুদ্দেশের পথে। বাঙালি থেকেই তাঁর প্রকাশ চিরদিনের ভারতীয় বীর নেতা হিসেবে। তাই বাঙালির তাঁকে নিয়ে আরও বেশি ভালবাসা, আরো বেশি উত্তেজনা। সেই নেতাজিরই মূর্তি উদ্বোধন হতে চলেছে শ্যামবাজারের মতো জায়গায়, একেবারে পাঁচরাস্তার মোড়ে। মানুষের উৎসাহ তাই একেবারে বাঁধনছাড়া। শহরের সব ভিড় যেন সেদিন সেই সকালে, শ্যামবাজার-মুখী। পায়ে পায়ে সেদিন সেই ভিড়ের সঙ্গে মিশে আমিও পৌঁছে গিয়েছিলাম শ্যামবাজারের মোড়ে। সেদিনের সেই স্মৃতি খুব মনে পড়ে এখন। তবে তার আগে দুএকটা আনুষঙ্গিক কথাও একটু বলে নিতে হয়, কারণ সেসবও পুরনো কলকাতার ইতিহাসের অঙ্গ।

Subhas Chandra Bose Statue Shyambazar

মনে পড়ে সেবার ওই কাছাকাছি সময়েই পড়েছিল সরস্বতী পুজো। হাতিবাগানের বাসিন্দা আমি, কলেজস্ট্রিটের হিন্দু স্কুলে যেতাম সাধারণত ট্রামে করেই। আজকের কলকাতায় ট্রাম প্রায় এক অদৃশ্য যান, কিন্তু সেইসময়ের কলকাতায় ট্রামই ছিল যানবাহনের অন্যতম মূল প্রাণস্পন্দন। সারা কলকাতা জুড়ে অজস্র রুট, তার মধ্যে ওই শ্যামবাজার মোড় দিয়েই চালু ছিল মোট আটটি রুট। বেলগাছিয়া থেকে চলত ১ আর ২ নম্বর ট্রাম, কলেজ স্ট্রিট দিয়ে যথাক্রমে এসপ্ল্যানেড আর ডালহৌসি ছিল তাদের গন্তব্য। আবার ৩ আর ৪ নম্বর ট্রাম চলত সেই বেলগাছিয়া থেকেই, সেই এসপ্ল্যানেড আর ডালহৌসির দিকেই— কিন্তু অন্য রুটে, হাতিবাগান থেকে বেঁকে গিয়ে চিৎপুর দিয়ে। পাঁচমাথার মোড় থেকে উত্তর দিকে গিয়ে একটু বাঁদিকে গেলেই পড়ত গ্যালিফ স্ট্রিট। সেখান থেকে ৫ আর ৬ নম্বর ট্রাম চলত কলেজ স্ট্রিট দিয়ে এসপ্ল্যানেড আর ডালহৌসির দিকে, আবার ১২ আর ১৩ নম্বর ট্রাম চলত ওই গ্যালিফ স্ট্রিট থেকেই এসপ্ল্যানেড আর ডালহৌসির দিকেই, কিন্তু আপার সারকুলার রোড বা আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রোড ধরে। এই আটটি রুটের ট্রামকেই তাদের চলার পথে পেরোতে হত শ্যামবাজারের ওই পাঁচমাথার মোড়— যেখানে সেদিন ওই নেতাজীর ওই মূর্তি বসার কথা (অবশ্য হাতিবাগান আর শ্যামবাজারের মধ্যে ছিল ছোট শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো— সেখান থেকে চিৎপুর দিয়ে এসপ্ল্যানেড আর ডালহৌসির দিকে চলত ৯ আর ১০ নম্বর ট্রাম। আবার কখনও কখনও ৫ আর ৬ নম্বর ট্রামও চলত ওই শ্যামবাজার থেকেই। এই ট্রামগুলিকে অবশ্য পাঁচমাথার মোড় পেরোতে হত না)। এ ছাড়া ওই মোড়েই আরও একটি লাইন ছিল গ্যালিফ স্ট্রিট ডিপোর সঙ্গে বেলগাছিয়া ডিপোকে যুক্ত করে— যে পথে যাত্রীবাহী ট্রাম চলত না, কিন্তু প্রয়োজনে লাইনটি ব্যবহৃত হত ওই দুটি ডিপোর মধ্যে জরুরী সংযোগ রক্ষা করতে। ট্রাম ছাড়াও শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় দিয়ে চলত অনেক বাস, যার মধ্যে বিশেষ করে বলতে হয় অধুনালুপ্ত দোতলা বাসের কথা— যেগুলির নম্বর ছিল ২, ২বি, ৯, ৩৩ এরকম— পাইকপাড়া, বাগবাজার, ডানলপ থেকে ছেড়ে যে বাসগুলি যেত বালিগঞ্জ, যাদবপুর বা চেতলার দিকে। যাওয়ার পথে তাদেরও পেরোতে হত শ্যামবাজারের ওই পাঁচমাথার মোড়।

যাই হোক, যা বলছিলাম… সেবার সেই ১৯৬৯ সালে, নেতাজির মূর্তি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে দুদিন কিংবা তিনদিনের জন্যে বন্ধ রাখতে হয়েছিল শ্যামবাজার মোড় দিয়ে সমস্ত ট্রাম চলাচল। ট্রাম লাইন আর ট্রামের তারকে বাঁচিয়ে বা প্রয়োজনমত পুনর্বিন্যাস করে অনেকখানি জায়গা জুড়ে সেই মূর্তির স্থাপনা— সেটি ছিল এক বিশাল ও জটিল কর্মকাণ্ড। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের মতো জায়গায়, সেই সময়ের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ট্রাম চলাচল বন্ধ রেখে, দরকার মতো বাসের রাস্তা সাময়িকভাবে ঘুরিয়ে বা সরু করে দিয়ে সে কাজ কিন্তু খুব সুষ্ঠুভাবেই সমাধা হয়েছিল। নেতাজির জন্যে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছিলেন সাময়িক অসুবিধে, যদিও আমার চিন্তা ছিল ওই কিশোর বয়সে সরস্বতী পুজোর দিনে স্কুলে যাব কী করে! তবে সে ভাবনা বড় নয়, এখন তো সাক্ষী থাকি সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের।

A Tram in Calcutta
সেইসময়ের কলকাতায় ট্রামই ছিল যানবাহনের অন্যতম মূল প্রাণস্পন্দন

অবশেষে এসে গেল ২৩শে জানুয়ারি সকালের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কলকাতার সব পথ যেন সেদিন এসে মিশেছে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে। মোড়ের পাঁচদিক থেকে আসা পাঁচটি রাস্তাই সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ— হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে। গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। হাতিবাগান থেকে হেঁটে গিয়ে পৌঁছলাম শ্যামবাজার, সেই তুমুল অবিশ্বাস্য ভিড়ের মধ্যে সম্পূর্ণ দিশাহারা হয়ে। যতদূর দেখা যায়, যেদিকেই চোখ যায়— শুধু মানুষের মাথা। আশেপাশের সমস্ত বাড়ির জানলায়, বারান্দায়, ছাদে— সর্বত্র শুধু মানুষ আর মানুষ। সেই অভূতপূর্ব ভিড়ের মধ্যে অনেক দূরে দ্বীপের মতো দেখা যাচ্ছে অনুষ্ঠানের মঞ্চ। যদিও নেতাজি রয়েছেন সবার মাথা ছাড়িয়ে— ঘোড়ার পিঠ থেকে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাবনত সেই বিপুল জনরাশির দিকে তাকিয়ে। মঞ্চের ওপরে কারা আছেন— তা অত দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। শুধু ভেসে আসছে মাইকের ঘোষণা আর গানের আওয়াজ। তবে পরিষ্কার করে হয়তো সব কিছু কানে ঢুকছে না, কারণ সেই দুরন্ত ভিড়ে মন, শরীর, মাথা, কান— কোনওকিছুই যেন আর নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এক বিষম ঘোর যেন— লক্ষ জনতার ঘোর— শুধুমাত্র তাদের একান্ত আপন নেতাজির জন্যেই।

আরও পড়ুন: মারি ক্যুরি: এক অদম্য জেদের নাম

ভিড়ের মধ্যে ভেসে ভেসে সরে গিয়েছিলাম কর্নওয়ালিস স্ট্রিট বা বিধান সরণীর দিক থেকে ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ-এর দিকে, মঞ্চ থেকে আরও দূরে। হঠাৎ সামনে একটু দূরে মাঝ রাস্তায় দেখলাম একটা গাড়ি এসে দাঁড়াল, কোনওরকমে অনেক সামলে একটু পথ করে নিয়ে। গাড়ি থেকে নামলেন আচার্য সত্যেন বসু। তিনিই ছিলেন সেদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। কিন্তু গোয়াবাগানের বাড়ি থেকে তাঁর তো আসার কথা সোজা কর্নওয়ালিস স্ট্রিট বা বিধান সরণী দিয়ে! কিন্তু তাঁকে আসতে হল একটু ঘুরপথে— ভুপেন বসু অ্যাভিনিউ-এর দিক দিয়ে, হয়তো বা ওই উত্তাল ভিড়ের জন্যেই। সেই পরিচিত একরাশ শুভ্র কেশগুচ্ছে আবরিত মাথা— বিজ্ঞানাচার্য বসু স্পষ্টতই বিভ্রান্ত সেই ভিড়ে। পাশের পুলিশ অফিসারদের বলছেন— গাড়ি যে করেই হোক মঞ্চের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এই অসম্ভব ভিড় ঠেলে এই বয়সে তাঁর পক্ষে এগোনো অসম্ভব, তা সে পুলিশ তাঁকে যতই ঘিরে নিয়ে যাক না কেন। পুলিশ অফিসারেরা দেখলাম হাতজোড় করে তাঁকে বোঝাচ্ছেন, তাঁরা অনন্যোপায়— এই বিশাল ভিড় তাদের সব ব্যবস্থা আয়োজন বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে। ওদিকে মাইকে তখন ঘোষণা করা হচ্ছে— এই ভিড়ের জন্যে অতিথিরা এক একজন আটকে পড়েছেন এক একদিকে, তাঁদের মঞ্চে পৌঁছনোর ব্যাপারে জনগণ যেন সাহায্য করেন। মঞ্চেই ঘোষণা হল, এই ভিড়ে আটকে পড়েছেন সত্যেন বসু, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়… যদিও তাঁরা এসে পৌঁছে গেছেন, তবুও মঞ্চের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। অনেক কষ্টে মঞ্চে ততক্ষণে পৌঁছতে পেরেছেন কাজী সব্যসাচী। তিনি তাঁর উদাত্ত কণ্ঠে আবৃত্তি শুরু করলেন— “কাণ্ডারী হুঁশিয়ার”। সব্যসাচী নিজেও ঘোষণায় অংশ নিলেন, জনতাকে বললেন একটু সহযোগিতা করতে। মঞ্চে ছিলেন কাজী অরিন্দমও। সম্ভবত তাঁরই পরিচালনায় যন্ত্রসংগীতে বাজছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের সামরিক গান। বাজানো হয়েছিল দেশবন্ধু-পত্নী বাসন্তী দেবীর রেকর্ড করা বক্তব্য, যিনি ছিলেন সুভাষচন্দ্রের কাছে মাতৃস্বরূপা । রাজনৈতিক নেতারা সেদিন মঞ্চে কে কে ছিলেন, তা অবশ্য আমার মনে নেই। তাছাড়া তাঁদের অত চিনতামও না তখন। শুধু চিনতাম শিল্পীদের। শেষে আবার ঘোষণা করা হল বহু কষ্টে হেমন্তবাবু মঞ্চে পৌঁছতে পেরেছেন। তাঁর কথা ছিল উদ্বোধনী সংগীত গাওয়ার, কিন্তু ভিড়ের চাপে সব অনুষ্ঠানই বিপর্যস্ত, তাই অনুষ্ঠান তাঁকে ছাড়াই শুরু করে দিতে হয়েছে। তিনি গাইবেন অনুষ্ঠানের শেষে। তাই হল। নেতাজি মূর্তির পাদদেশে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তাঁর সেই হৃদয় দোলানো কণ্ঠে গাইলেন সবার মনের সেই গান, সেই প্রার্থনা— “তোমার আসন শূন্য আজি, হে বীর পূর্ণ করো।” শেষ হল সেদিনের সেই অনুষ্ঠান।

যতদূর দেখা যায়, যেদিকেই চোখ যায়— শুধু মানুষের মাথা। আশেপাশের সমস্ত বাড়ির জানলায়, বারান্দায়, ছাদে— সর্বত্র শুধু মানুষ আর মানুষ। সেই অভূতপূর্ব ভিড়ের মধ্যে অনেক দূরে দ্বীপের মতো দেখা যাচ্ছে অনুষ্ঠানের মঞ্চ। যদিও নেতাজি রয়েছেন সবার মাথা ছাড়িয়ে— ঘোড়ার পিঠ থেকে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাবনত সেই বিপুল জনরাশির দিকে তাকিয়ে। মঞ্চের ওপরে কারা আছেন— তা অত দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। শুধু ভেসে আসছে মাইকের ঘোষণা আর গানের আওয়াজ।

সেদিনের সেই মুহূর্তে সেই কিশোরের সঞ্চয়ে মূর্তিটির সম্পর্কে তথ্য ছিল না বেশি। পরে অবশ্য যে তথ্য পেয়েছি তা এতদিনে সবারই জানা। ১৫ ফিট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ব্রোঞ্জের এই মূর্তি তৈরি করেন তখনকার বোম্বাইয়ের শিল্পী নাগেশ যবলকার (ভিন্ন সূত্র অনুযায়ী নাগেশ যোগলেকার)। ওজন ছিল চার টন। বোম্বাই থেকে তিনটি ভাগে ভাগ করে মূর্তিটি কলকাতায় নিয়ে আসা হয়, পরে সব কটি অংশ একত্রিত করে মূর্তিটি বসানো হয় ভাস্কর নাগেশজির তত্ত্বাবধানেই। মূর্তিটি স্থাপিত হয় একটি ১৬ ফিট উঁচু বেদির ওপরে। সেই বেদিতে নেতাজির জীবন ও বাণীর কিছু প্যানেল তৈরি করে দিয়েছিলেন বাঙালি শিল্পী সুনীল পাল। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে মূর্তিটি স্থাপিত হয়, এটি প্রতিষ্ঠার জন্যে সবসুদ্ধ আড়াই লাখ টাকা খরচ করেন পুরসভা। নেতাজির মূর্তিটি তৈরি হয়েছিল উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ সেনাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্যার জেমস আউটরামের অশ্বারোহী ব্রোঞ্জ মূর্তির আদলে, কার্যকালের অনেক বছর যিনি কাটিয়েছিলেন ভারতে, সিপাহী বিদ্রোহের সময় নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাঁর এক অসাধারণ মূর্তি তৈরি করেছিলেন আইরিশ ভাস্কর জন হেনরি ফলি, যে মূর্তিটি এখনও রক্ষিত আছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পূর্বদিকের বাগানে।

তথ্যসূত্র: ১) কলকাতার স্ট্যাচু: কমল সরকার
          ২) নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি

ছবি সৌজন্য: Wikimedia Commons, Larry Burrows (Cover photo)

লেখক সুব্রত ঘোষ, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহযোগী ও বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী নগেন্দ্র নাথ ঘোষ ( N.N Ghose)-এর প্রপৌত্র । হিন্দু স্কুল থেকে শিক্ষা শুরু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মজীবনে বর্তমানে ব্যাঙ্কের অফিসার। তাঁর একান্ত আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ। ভালবাসেন দেখতে, ঘুরতে, জানতে, ভালবাসেন সাহিত্য, ভ্রমণ, পশুপাখি, ফটোগ্রাফি আর সেই সঙ্গে অবশ্যই তাঁর প্রাণের শহর কলকাতাকে। ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপত্য, শিল্পকলা আর প্রকৃতির টানে ঘুরে বেড়ান কলকাতার অলিগলি থেকে ভারতের বিভিন্ন স্থানে। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নানান লেখা বহু পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে নানা সময়ে প্রকাশিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *