সারা পৃথিবীর ছেলেমেয়েরা প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে এখন সবর হয়েছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং আর প্রকৃতির তাতে যা ক্ষতি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এবার সেই দলেই সামিল হল পুণের কাশীবাঈ নাভালে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র-ছাত্রীরা। কলেজেরই দ্য টেকনোক্র্যাট টিমের ১২ জন সদস্য গ্লোবাল স্পেস বেলুন চ্যালেঞ্জ ২০২০ তে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পরের বছর এপ্রিল মাসে হবে এই প্রতিযোগিতা। ৬৮টি দেশ থেকে প্রায় ৬০২টি টিম ভাগ নেবে এখানে। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি টিমকে স্পেস বেলুন ছাড়তে হবে, যার ভিতরে থাকবে ছোট্ট ক্যামেরা, জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ও সেন্সর। সমুদ্র থেকে ১০০০০০ ফিট উপরে উড়তে হবে এই বেলুনকে। হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম ভরা ল্যাটেক্স বেলুন কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচাতে পারে, শুনলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন।

প্রতিটি টিমের বেলুন পৌঁছে যাবে পৃথিবীর স্ট্র্যাটোসফিয়ারে। হাইড্রোজেন ভরা বেলুনগুলো সঙ্গে দড়ি বাঁধা থাকবে আর ভিতরে থাকবে ক্যামেরা, ট্র্যাকিং সিস্টেম আর সেনসর (পেলোড), যা পুরো এই জার্নিতে ডেটা সঞ্চয় করতে থাকবে। যখন বেলুনগুলো স্ট্র্যাটোসফিয়ারে পৌঁছবে, তখন হাওয়ার চাপের তারতম্যের কারণে ফেটে যাবে। পেলোড যেটা ওর সঙ্গে লাগানো ছিল পৃথিবীর দিকে পড়তে শুরু করবে। ওর সঙ্গে লাগানো প্যারাশ্যুট খুলে যাবে আর পেলোড পৃথিবীতে পৌঁছে যাবে। তবে নির্ধারিত রেডিয়াসের মধ্যে পেলোডকে পড়তে হবে। এয়ার রেসিসিটেন্স সেক্ষেত্রে একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হতে পারে। কেমব্রিজ ফ্লাইট স্টিমিউলেটর দিয়ে বেলুনকে অতটা উপরে তোলা হবে। এবার এই সমস্ত ডেটাকে কাজে লাগিয়ে এমন সিস্টেম ডেভেলপ করার চেষ্টা করে হবে, যাতে পৃথিবীরে এই আবহাওয়ার পরিবর্তনকে রোখা যায়। এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে পৃথিবীর উপকার হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *