সঙ্গীত আলোচনার প্রত্যক্ষ উপাদান হচ্ছে সঙ্গীতের ক্রিয়াত্মক উদাহরণ এবং পরোক্ষ উপাদান গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা। কিন্তু এই প্রবন্ধটি রচিত হতে চলেছে সমগ্র রবীন্দ্রগানের একটি বিশেষ দিক নিয়ে, ‘রবীন্দ্রনাথের গানে সকাল ও সন্ধ্যা‘।
রবীন্দ্রনাথের গানে ‘কথা‘ ও ‘সুর‘ দুটি বিষয়ই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে, এ কথা রবীন্দ্রঅনুরাগী সকলেই জানেন। তিনি তাঁর গানে কথা ও সুরের সঠিক এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ মেলবন্ধনকে চিরকাল প্রাধান্য দিয়েছেন। এই অধ্যায়টিতে উদাহরণসহ দেখানোর চেষ্টা হয়েছে কবি কীভাবে সুর ও বাণীর মিলন ঘটিয়েছেন তাঁর গানে। এ ব্যাপারে ‘সঙ্গীতচিন্তা‘য় উল্লিখিত কবির মতামতগুলিও উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে রবীন্দ্রনাথের গানে সকাল ও সন্ধ্যার বিষয়টি দু’ভাবে ব্যক্ত হয়েছে — একটি ভাষার দিক অর্থাৎ ‘সকাল‘ ও ‘সন্ধ্যা‘ অনুষঙ্গ দুটি রবীন্দ্রনাথের গানে ভাবের দিক থেকে কতখানি পূর্ণতা পেয়েছে। দ্বিতীয়টি হল সুরের দিক।
গীতবিতানের পর্যায় বিশ্লেষণ করার সময়ে দেখা যায়, একই অনুষঙ্গ বিভিন্ন পর্যায়ে বিন্যস্ত আছে। যেরকম ‘প্রেম‘ অনুষঙ্গ পূজা পর্যায়ে যেমন আছে, তেমনি স্বদেশ (স্বদেশপ্রেম), প্রকৃতি (প্রকৃতিপ্রেম), বিচিত্র প্রভৃতি বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে আছে। তেমনি ‘গান’ অনুষঙ্গ পূজা পর্যায়ে যেমন আছে, প্রেম পর্যায়েও আছে, আবার অন্যান্য পর্যায়েও আছে। দেখা যাচ্ছে যে, পর্যায়গুলি একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন নয়। পর্যায় ভেদে এই সব গানের অর্থ পরিবর্তিত হয়েছে, কারণ কবির কাছে পূজা, প্রেম, প্রকৃতি, স্বদেশ প্রভৃতি শব্দগুলির একটি দার্শনিক অর্থ আছে।
রবীন্দ্রনাথের গানের প্রত্যেকটি পর্যায়ের মধ্যেই ‘সকাল‘ এসেছে বারে বারে। সকাল কখনও এসেছে শুভ কিছুর ইঙ্গিত বহন করে, কখনও পুরাতন, মলিন, জীর্ণকে দূরে সরিয়ে নতুনের উন্মেষের ইঙ্গিত বহন করে, আবার কখনও বা জন্মের প্রতীক হিসেবে, নতুন দিনের সূচনা হিসেবে।
রবীন্দ্রনাথের সুবিশাল সঙ্গীতজীবনে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনা তাঁর মনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে বারে বারে। নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, সমাজের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের তাঁর প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ — তাঁর মনে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর রচিত বিভিন্ন সময়ের গানে ধরা পড়েছে এই ক্লান্তি, অবসন্নতা, বিষণ্ণতা। এইসব ঘটনার প্রতীক হিসেবেই তাঁর গানে এসেছে ‘সন্ধ্যা‘র অনুষঙ্গ। সন্ধ্যা কখনও এসেছে মনের একাকীত্ম বোঝাতে, কখনও অবসন্নতা বা ক্লান্তি বোঝাতে, কখনও বা এসেছে মৃত্যুর দূত হিসেবে। শারীরিক ও মানসিক শ্রান্তি সন্ধ্যার আবছায়া আঁধারিতে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। কোনও কোনও গানে সন্ধ্যা কেবলই সন্ধ্যা–দিনের একটা বিশেষ সময়।
গানে সুরারোপের ক্ষেত্রে ভারতীয় রাগরাগিণী ব্যবহারে রবীন্দ্রনাথের বৈশিষ্ট্য ও ব্যাপকতা চোখে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের গানে সকালের রাগের ব্যবহার হয়েছে বহুল পরিমাণে। গানের কথাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেবার জন্যই এ রাগের প্রয়োগ। সকালের রাগ রবীন্দ্রনাথের গানে কখনও এসেছে শুদ্ধভাবে, আবার কখনও এসেছে মিশ্রভাবে— বিশেষ কোনও অনুভূতি বোঝাতে। কেবল যে সকালের প্রকৃতি বোঝাতেই সকালের রাগ এসেছে তা নয়, এসেছে কথার সঙ্গে ভাবের সাযুজ্য রক্ষার তাগিদে। সন্ধ্যাকালীন রাগের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তাঁর গান দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখানো যায়। ‘সন্ধ্যা হল গো মা‘ গানটিতে পূরবীতে আঁধার নেমে এসেছে। কেবলমাত্র কথা যেখানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয় না, রাগের ব্যবহারে সুর সেই জায়গাকে স্পর্শ করেছে অনায়াসে।
সুরের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয়
জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের সাঙ্গীতিক পরিবেশ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ নিজেই কিছু বর্ণনা লিখে রেখেছেন। সেগুলির থেকে দু’ একটির দিকে একবার দৃষ্টিপাত করা যেতে পারে:
“আমাদের বাড়িতে একদা নানা প্রয়োজনবশত এই রকম ওস্তাদের খোঁজ আমরা প্রায়ই করতুম। শেষ যাঁকে পাওয়া গিয়েছিল তিনি খ্যাতনামা রাধিকা গোস্বামী। অন্যান্য গায়কদের মধ্যে যদুভট্টের কাছেও তিনি শিক্ষা পেয়েছিলেন। যাঁদের কাছে তাঁর পরিচয় ছিল তাঁরা সকলেই জানেন রাধিকা গোস্বামীর কেবল যে গানের সংগ্রহ ও রাগরাগিণীর রূপজ্ঞান ছিল তা নয়, তিনি গানের মধ্যে বিশেষ একটি রসসঞ্চার করতে পারতেন। সেটা ছিল ওস্তাদের চেয়ে কিছু বেশি। সেটা যদি নাও থাকত তবু তাঁকে আমরা ওস্তাদ বলেই গণ্য করতুম এবং ওস্তাদের কাছ থেকে যেটা আদায় করবার তা আমরা আদায় করতুম— আমরা আদায় করেওছিলুম। সে সব কথা সকলের জানা নেই।“*
“আমার ভাইরা দিনরাত নিজের ভাষায় তত্ত্বালোচনা করেছেন, কাব্যরস আস্বাদনে ও উদ্ভাবনে তাঁরা ছিলেন নিবিষ্ট, চিত্রকলাও ইতস্তত অঙ্কুরিত হয়ে উঠেছে, তার উপরে নাট্যাভিনয়ে কারও কোনও সংকোচমাত্র ছিল না। আর সমস্ত ছাড়িয়ে উঠেছিল সঙ্গীত। বাঙ্গালির স্বাভাবিক গীতমুগ্ধতা ও গীত মুখরতা কোনও বাধা না পেয়ে আমাদের ঘরে যেন উৎসবের মতো উৎসারিত হয়েছিল। বিষ্ণু ছিলেন ধ্রুপদীগানের বিখ্যাত গায়ক। প্রত্যহ শুনেছি সকালে সন্ধ্যায় উৎসবে–আমোদে উপাসনামন্দিরে তাঁর গান, ঘরে ঘরে আমার আত্মীয়েরা তম্বুরা কাঁধে নিয়ে তাঁর কাছে গান চর্চা করেছেন, আমার দাদারা তানসেন প্রভৃতি গুণীর রচিত গানগুলিকে আমন্ত্রণ করেছেন বাংলা ভাষায়। এর মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই— চিরাভ্যস্ত সেইসব প্রাচীন গানের নিবিড় আবহাওয়ার মধ্যে থেকেও তাঁরা আপনমনে যে সব গান রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছেন তার রূপ তার ধারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, গীতপণ্ডিতদের কাছে তা অবজ্ঞার যোগ্য। রাগ রাগিণীর বিশুদ্ধতা নষ্ট করে এখানেও তাঁরা ব্রাত্যশ্রেণীতে ভুক্ত হয়েছেন।” **
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহর্ষির সঙ্গীত চর্চা সম্পর্কে তাঁর ‘ঘরোয়া‘ গ্রন্থে বলেছেন—
“আমরা যখন ছোট ছিলুম মহর্ষিদেব আমাদের কাছে গল্প করেছেন— একবার তাঁরও গান শেখবার শখ হয়েছিল। বিডন স্ট্রীটে একটা বাড়ি ভাড়া করে ওস্তাদ রেখে কালোয়াতি গান শিখতেন, গলা সাধতেন।“***
রবীন্দ্রনাথ তাঁর “জীবনস্মৃতি“র এক জায়গায় এ সম্বন্ধে উল্লেখ করেছেন—
“অমৃতসরের গুরুদরবার আমার স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। অনেকদিন সকালবেলায় পিতৃদেবের সঙ্গে পদব্রজে সেই সরোবরের মাঝখানে শিখ মন্দিরে গিয়াছি। সেখানে নিয়তই ভজনা চলিতেছে। আমার পিতা সেই শিখ–উপাসকদের মাঝখানে বসিয়া একসময় সুর করিয়া তাহাদের ভজনায় যোগ দিতেন— বিদেশীর মুখে তাহাদের এই বন্দনাগান শুনিয়া তাহারা অত্যন্ত উৎসাহিত হইয়া উঠিয়া তাঁহাকে সমাদর করিত। ফিরিবার সময় মিছরির খণ্ড ও হালুয়া লইয়া আসিতেন। একবার পিতা গুরুদরবারের একজন গায়ককে বাসায় আনাইয়া তাঁহার কাছ হইতে ভজনাগান শুনিয়াছিলেন। বোধকরি তাহাকে যে পুরস্কার দেওয়া হইয়াছিল তাহার চেয়ে কম দিলেও সে খুশি হইত।” ****
তবে মহর্ষি বিশেষভাবে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতেরই অনুরাগী ছিলেন। তাঁর সঙ্গীতপ্রীতি সম্বন্ধে সঙ্গীতনায়ক গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন—
“ইঁহার মার্গসঙ্গীতে বড়ই আস্থা ছিল। ইঁহার সভাতে বিষ্ণুপুরের স্বনামধন্য গায়ক যদুভট্ট কিছুদিন ছিলেন এবং মধ্যে মধ্যে বিখ্যাত ধ্রুপদী শিবনারায়ণজী ও মৃদঙ্গী মদনমোহন মিশ্রের সঙ্গীত হইত। বিদেশ হইতে গায়ক বা বাদক আসিলে ইনি তাঁহাদিগকে পারিতোষিক দিয়া শুনিতেন।“*****
বরোদার বিখ্যাত গায়ক মৌলাবকসও কিছুকাল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর “জীবনস্মৃতি” গ্রন্থে এক অজানা গায়কের কথাও উল্লেখ করেছেন, যিনি তাঁদের বাড়িতে কিছুদিন ছিলেন। আরও একজন গায়ক যাঁর কথা উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন, যিনি তাঁদের বাড়িতে কিছুদিন ছিলেন। তিনি হলেন, মহর্ষির বন্ধু এবং শ্রীপুরের (বীরভূম) জমিদার বংশীয় শ্রীকণ্ঠ সিংহ। ঠাকুরবাড়ির ছোট বড় সকলেরই বন্ধুস্থানীয় ছিলেন তিনি। খুব বড় রকমের কোনও ওস্তাদ না হলেও তাঁর প্রভাব একসময়ে ঠাকুরবাড়ির সকলের উপর খুব বেশি পড়েছিল।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির প্রাণবন্ত সাঙ্গীতিক পরিবেশে সেই সময়ে এই বংশে সঙ্গীতবর্জিত কেউই ছিলেন না। পরিবারে সঙ্গীতের এই বাতাবরণ সৃষ্টি করেন স্বয়ং মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সঙ্গীতাচার্য বিষ্ণুচন্দ্র চক্রবর্তীকে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কিশোর বয়স থেকেই পারিবারিক সঙ্গীতশিক্ষক নিযুক্ত করেছিলেন বলে দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ প্রমুখ সকলের মধ্যেই ভারতীয় সঙ্গীতের প্রভাব পড়েছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের শিল্পীস্বভাব অনেকাংশেই কনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের মতো ছিল। তিনিও পদ্ধতিগত ও নিয়মনিষ্ঠ শিক্ষায় অনাগ্রহী ছিলেন। কিন্তু প্রথাগত সঙ্গীতশিক্ষায় অনীহা সত্ত্বেও জ্যোতিরিন্দ্রনাথের অন্তর সঙ্গীতরসে পূর্ণ ছিল। পারিবারিক পরিবেশে তাঁর সুরচিন্তা ভারতীয় সঙ্গীতের ধারায় গঠিত হয়ে যায়।
সঙ্গীত বিষয়ে মহর্ষির প্রায় অপরিচিত একটি গুণের কথা উল্লেখ করা আবশ্যক। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের দ্বিজেন্দ্রনাথ, গণেন্দ্রনাথ, হেমেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এবং সর্বোপরি রবীন্দ্রনাথ যে ব্রহ্মসঙ্গীত রচনার উৎকর্ষের জন্য খ্যাতিমান হয়েছিলেন, সে বিষয়েও পরিবারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন দেবেন্দ্রনাথ। এ ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ “জীবনস্মৃতি“তে লিখেছেন—
“একবার মাঘোৎসবে (১৮৮৭) সকালে ও বিকালে আমি অনেকগুলি গান তৈরী করেছিলাম। তাঁহার মধ্যে একটা গান— ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে‘। পিতা তখন চুঁচুড়ায় ছিলেন। সেখানে আমার এবং জ্যোতিদাদার ডাক পড়িল। হারমোনিয়ামে জ্যোতিদাদাকে বসাইয়া আমাকে তিনি নূতন গান সব কটি একে একে গাহিতে বলিলেন। কোনো কোনো গান দুবারও গাহিতে হইল। গান গাওয়া যখন শেষ হইল তখন তিনি বলিলেন, ‘দেশের রাজা যদি দেশের ভাষা জানিত ও সাহিত্যের আদর বুঝিত, তবে কবিকে তো তাহারা পুরস্কার দিত। রাজার দিক হইতে যখন তাহার কোনো সম্ভাবনা নাই, তখন আমাকেই সে কাজ করিতে হইবে।‘ এই বলিয়া তিনি একখানি পাঁচশো টাকার চেক আমার হাতে দিলেন।“******
* সঙ্গীতচিন্তা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিবিধ প্রসঙ্গঃ প্রবন্ধে। পৃষ্ঠা: ২৩১।
** সঙ্গীতচিন্তা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সঙ্গীতের স্থান। পৃষ্ঠা: ৭৭–৭৮
*** ঘরোয়া — অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পৃষ্ঠা: ১৯
**** জীবনস্মৃতি — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পৃষ্ঠা: ৪৯
***** ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস (দ্বিতীয় ভাগ) — গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। পৃষ্ঠা: ৮
****** আত্মকথা। জীবনস্মৃতি — সঙ্গীতচিন্তা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পৃষ্ঠাঃ ১৮৬
খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী অর্ণব রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রনাথের গান বিষয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতগুরু আশিস ভট্টাচার্যের সুযোগ্য ছাত্র অর্ণব রবীন্দ্রসঙ্গীতে বিশেষভাবে পারদর্শী, এ ছাড়াও অন্য ধরনের গানেও তিনি যথেষ্ট পারঙ্গম। তিনি পেশায় শিক্ষক। গান তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। তিনি ভ্রমণপিপাসু, সেই সঙ্গে উদ্যানচর্চায় আগ্রহী।