লাকি আর মিতা। কলকাতা পুলিশের কর্মী হিসেবে বহু খুন আর ডাকাতির তদন্ত করেছিল ওরা গোটা ষাটের দশক জুড়ে। মূলত ওদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করেই একাধিক মামলার রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল শহরের নগররক্ষী বাহিনী। গ্রেফতার হয়েছিল উপরোক্ত ঘটনাবলীর সঙ্গে জড়িত একাধিক সব  কুখ্যাত অপরাধী। 

প্রিয় পাঠক, এই পর্যন্ত পড়েই কিঞ্চিৎ ধন্দে পড়ে গেছেন আশা করি। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত নবীন প্রজন্ম, যারা ষাট দশক প্রত্যক্ষই করেননি অথবা বয়েসে খুবই ছোট ছিলেন। তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, লাকি ও মিতা কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের সম্ভবতঃ প্রথম দুই গোয়েন্দা কুকুর। প্রজাতিতে জার্মান শেপার্ড অর্থাৎ অ্যালসেশিয়ান। সম্ভবতঃ কথাটা ব্যবহার করলাম এই কারণে, যে এর আগে কোনও গোয়েন্দা কুকুরের নাম অন্তত এ শহরের আমজনতা শোনেনি। সেসময় কোথাও কোনও অপরাধ ঘটলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হত লাকি আর মিতাকে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা জিনিসপত্র, রক্তের দাগ ইত্যাদি শুঁকে এবং নিখুঁত লক্ষ্যে সেই গন্ধের রেশ অনুসরণ করে এই সারমেয় গোয়েন্দা জুটি পৌঁছে যেত অপরাধের উৎসে, বলা ভাল অপরাধীর সামনে। 

আরও পড়ুন: সন্দীপ রায়ের গল্প: ডলি

 

তখন সেলিব্রেটি বা ‘সেলেব’ শব্দটা বাজারে চালু ছিল না আজকের মতো। কিন্তু সেই ষাটের দশকে নগরবাসীর কাছে আক্ষরিক অর্থেই ‘সেলেব’ বনে গেছিল লাকি ও মিতা। বছরে অন্তত বারছয়েক বিভিন্ন খবরের কাগজে ছবি ছাপা হত এই না-মানুষী গোয়েন্দা দম্পতির। নীচে ওদের সমাধান করা কোনও নতুন কেসের বিশদ বিবরণ। এককথায় বলতে গেলে সেই ষাটের দশকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছিল এই জুটি। সে জনপ্রিয়তা এতটাই, যে বাড়ির দেশি পোষ্যটি অথবা এঁটোকাঁটাতেই খুশি পাড়ার এজমালি প্রহরীকূল, প্রায় সবারই নাম রাখার রেয়াজ হয়ে গেছিল লাকি কিন্তু মিতা কখনওই নয়। একে কলোনিয়াল হ্যাংওভার বলবেন না জেন্ডার বায়াস, সেটা একান্তভাবে পাঠকের নিজস্ব ব্যাপার।

কুকুরের অসম্ভব প্রখর ঘ্রাণশক্তি যে অপরাধের রহস্য সমাধানের ক্ষেত্রে এতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এই তথ্যটা কবে, কোথায়, কীভাবে, কার দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল, সে ব্যাপারে নিজের সীমাবদ্ধ জ্ঞান অনুযায়ী খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও কোন তথ্য পেলাম না। পেলাম না পৃথিবীর প্রথম গোয়েন্দা কুকুর সম্পর্কে কোন হালহদিশও। তবে বহুকাল আগে, প্রথম কৈশোরে একটা গল্প পড়েছিলাম দেব সাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত এক পূজাবার্ষিকীতে। শিরোনাম সম্ভবত – ‘পৃথিবীর প্রথম গোয়েন্দা কুকুর’। শিরোনামের ঠিক ওপরে আন্ডারলাইন দিয়ে লেখা – ‘সত্য ঘটনা অবলম্বনে’। পূজাবার্ষিকী, কাহিনিকার বা চরিত্রদের নামধাম কিছুই মনে না থাকলেও গল্পটি মনে দাগ কেটে বসে আছে আজও। পাঠকদের ভাল লাগতে পারে ভেবে সংক্ষিপ্তাকারে শুনিয়ে দিচ্ছি। 

লাকি ও মিতা কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের সম্ভবতঃ প্রথম দুই গোয়েন্দা কুকুর। প্রজাতিতে জার্মান শেপার্ড অর্থাৎ অ্যালসেশিয়ান। সম্ভবতঃ কথাটা ব্যবহার করলাম এই কারণে, যে এর আগে কোনও গোয়েন্দা কুকুরের নাম অন্তত এ শহরের আমজনতা শোনেনি।

ধরা যাক লোকটির নাম পিটার। অত্যন্ত দরিদ্র মানুষটি। চল্লিশের দশকে বাস করত ইউরোপের কোনও এক শহরে, ঘিঞ্জি বস্তিতে। এটা সেটা উঞ্ছবৃত্তি করে জীবনধারণ করত। একদিন সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে ঘুরতে একজায়গায় বহু মানুষের কোলাহল শুনে দাঁড়িয়ে পড়ল পিটার। চোখে পড়ল ভিড়ের মধ্যে এক ধনী দম্পতি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে হাহাকার করছেন উচ্চৈঃস্বরে। কারণ তাঁদের প্রিয় পোষ্য কুকুরটি হাবুডুবু খাচ্ছে মাঝসমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে। পিটারের একটি বিশেষ গুণ, সে ছিল অতি দক্ষ সাঁতারু। ঘটনাটা দেখামাত্র জলে ঝাঁপ দিল পিটার। উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে মরণপণ লড়াই করে পাড়ে তুলে আনল কুকুরটিকে। প্রিয় পোষ্যকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা কৃতজ্ঞ দম্পতি পিটারকে কথা দিলেন, তাঁদের কুকুরের বাচ্চা হলে তার মধ্যে একটি তাঁরা পিটারকে দেবেন।

কথা রেখেছিলেন সে দম্পতি। তাঁদের কুকুরের একটি ছানা তাঁরা দিয়েছিলেন পিটারকে। ধরা যাক পিটার তার নাম রেখেছিল রেক্স। অতঃপর পিটারের ধ্যানজ্ঞান আর নয়নের মণি, সবই হয়ে উঠল রেক্স। বেড়েও উঠল দেখতে দেখতে। নিজে না খেয়েও রেক্সের খাবার জোগাড় করত পিটার। ইতিমধ্যে একদিন পিটারের এক প্রতিবেশীর ঘর থেকে কিছু জিনিস খোওয়া গেল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে গন্ধ শুঁকে গিয়ে ওই বস্তিতেই একটু দূরে আর এক প্রতিবেশীর ঘর থেকে চোরাই মাল উদ্ধার করল রেক্স। খবরটা পৌঁছেছিল স্থানীয় পুলিশের কানেও। কিছুদিন বাদে এলাকার এক বড় দোকানে একটি চুরির ঘটনায় তাঁরা রেক্সের সাহায্য চাইতে এলেন পিটারের কাছে। 

পিটারের তাতে সম্মতি ছিল না একদম। তবু তদন্তকারী অফিসাররা একরকম জোর করেই ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলেন দু’জনকে। কিন্তু সেদিন আদৌ তল্লাশিতে কোনওরকম উৎসাহ দেখালো না রেক্স। চুপটি করে বসে রইল দোকানের একধারে ফুটপাতে। দেখে অফিসারদের মধ্যে একজন পরিহাসের ছলে বললেন- “ধুর ধুর, তোমার কুকুরের ওসব ব্যাপার স্রেফ ফক্কিকারি, এরকম কিছুই জানে না ওটা।” শোনামাত্র রক্ত চড়ে গেল পিটারের মাথায়। রেক্সকে সজোরে এক লাথি কষিয়ে চিৎকার করে উঠল- “দেখছিস না ওরা মিথ্যেবাদী বলছে তোকে ! এক্ষুনি ধরিয়ে দে চোরকে!” কথা শেষ হবার আগেই ঘুরে গিয়ে পিটারের একটা পা কামড়ে ধরে রেক্স। 

 

আরও পড়ুন: বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প: পশমিনা

 

প্রিয় পাঠক, সেই কোন ছেলেবেলায় পড়া গল্পের শেষটা মনে করে এই এতখানি বয়সে আজও জল জমা হচ্ছে চোখের কোণে। হাতকড়া পড়িয়ে পিটারকে জেলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। প্রিয়তম পোষ্যের গলা জড়িয়ে ধরে হাপুসনয়নে কাঁদছে পিটার। রেক্সকে বোঝাচ্ছে ওখানে সে কত ভাল খাওয়াদাওয়া, যত্নআত্তি পাবে যা পিটার তাকে কোনওদিন দিতে পারেনি। দুই বন্ধুর শেষ পরিণতি কী হয়েছিল সেটা আর বলেননি কাহিনিকার। 

রেক্সের মতোই আর এক অসাধারণ কীর্তির অধিকারী আর একজন। তার নাম পিকলস। সাদা রঙের মিশ্র প্রজাতির কুকুর। নিবাস লন্ডন। সেটা ১৯৬৬ সাল। ইংলন্ডে বসতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। খেলা শুরুর মাত্র মাসখনেক আগে ব্রিটিশ সরকারের হেফাজত থেকে হারিয়ে গেল সোনার পরী, জুলস রিমে বিশ্বকাপ। সারা ইংলন্ড জুড়ে হাহাকার পড়ে গেল এই ঘটনায়। এ যে একেবারে রাষ্ট্রীয় সম্মানে আঘাত! ঘটনার কয়েকদিন পর তার মনিবের সঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে এক ডাস্টবিনের পাশ থেকে কাগজে মোড়া অবস্থায় সোনার পরীকে উদ্ধার করে পিকলস এবং রানির দেশের সম্মান বাঁচায়। ম্যানচেস্টারের ফুটবল মিউজিয়ামে আজও স্মারক হিসেবে পিকলসের গলার বকলসটা রাখা রয়েছে সযত্নে।   

bloodhound-card-medium
স্নিফার ডগ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম ব্লাডহাউন্ড

অতঃপর ফের একবার ফেরা যাক সরকারি গোয়েন্দা কুকুরের প্রসঙ্গে। লাকি, মিতার পর কালী, ভেসপা, রাজা, বহু কুকুরই সম্মানের সঙ্গে কাজ করে গেছে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে। তবে প্রথম দু’জনের মতো ‘সেলেব’ হয়ে ওঠা হয়নি ওদের কারও পক্ষেই। এক্ষেত্রে আরও যেটা বলার সেটা হল, শুধু পুলিশ নয়, পৃথিবীর যে কোনও সরকারি প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তা বাহিনীতে গোয়েন্দা কুকুরের ভূমিকা অপরিসীম। মোটামুটিভাবে নব্বইয়ের দশক থেকে এদের দু’দলে ভাগ করে ফেলা হতে থাকে। এক – স্নিফার ডিটেকটিভ ডগ। 

এই দলে পড়ে ল্যাব্রাডর, গোল্ডেন রিট্রিভার, ককার স্প্যানিয়েল, স্প্রিঙ্গার স্প্যানিয়েল, ব্লাড হাউন্ড, বিগল হাউন্ডের মতো কুকুররা। কেনেল সায়েন্স বা সারমেয় বিজ্ঞান অনুযায়ী কুকুরদের মধ্যে এইসব প্রজাতির স্নিফিং পাওয়ার বা ঘ্রাণশক্তি সবচেয়ে তীব্র। এজন্য এদের আর এক নাম স্নিফার ডগও বটে। মাদক থেকে আরডিএক্স, যে কোন নিষিদ্ধ বস্তু শুঁকে বের করতে এরা অদ্বিতীয়। ফলে সারা দুনিয়ার বিমানবন্দর, বড় বড় রেলওয়ে স্টেশন, সর্বোচ্চস্তরের রাজনৈতিক নেতাদের জনসভা, এরকম আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হাতে ঘুরতে দেখা যায় এদের।

Belgian Millinois
সাম্প্রতিককালে বেলজিয়ান ম্যালিনয় প্রজাতির কুকুর স্নিফার ডগ হিসেবে বিশেষ নাম কিনেছে

অতঃপর আসা যাক দ্বিতীয় দলটির কথায়। কম্ব্যাট ডিটেকটিভ ডগ। এদের মধ্যে ডোবারম্যান পিনশার, রটওয়াইলার আর জার্মান শেপার্ড (অ্যালসেশিয়ান) প্রজাতির কুকুরের নাম অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ঘ্রাণশক্তির নিরিখে স্নিফার ডগদের তুলনায় সামান্য পিছিয়ে থাকলেও সাহস, শৌর্য আর শ্রবণশক্তির প্রশ্নে অনেকটাই এগিয়ে এরা। নাছোড়বান্দা লড়াকুর মতোই লড়াইয়ের ময়দায় ছেড়ে কখনও পিঠটান দেবে না। গভীর জঙ্গলে সামান্য একটা পাতা খসে পড়ার শব্দও বহুদূর থেকে শুনে ফেলবে অনায়াসে। দুর্গম থেকে দুর্গমতম পথে, মাইলের পর মাইল অক্লেশে অনুসরণ করে যাবে শিকারকে, এতটুকু ধৈর্য না হারিয়ে।

ঠিক এই কারণেই জঙ্গল, পাহাড়, আন্তর্জাতিক সীমানা বা অন্য কোন জঙ্গি-অধ্যুষিত দুর্গম অঞ্চলে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর অত্যন্ত পছন্দের এইসব প্রজাতির কুকুর। তবে এদের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে অত্যন্ত নজর কেড়েছে আর একটি বিশেষ প্রজাতির সারমেয়। বেলজিয়ান ম্যালিনয়। বেলজিয়ান শেপার্ড নামেও অভিজ্ঞমহলে পরিচিত এরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তথ্যসূত্র অনুযায়ী অ্যাবটাবাদের যে বাড়িটিতে ওসামা বিন লাদেন আত্মগোপন করেছিলেন, তার ছাদে নিজেরা নামার আগে এই প্রজাতির কুকুরদের হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে দিয়েছিল মার্কিন কম্যান্ডোবাহিনী গ্রিন বেরেট’স বা নেভি সিলরা। প্রথমে লাদেনের আস্তানার দখল নিয়েছিল সারমেয়বাহিনী। কম্যান্ডোরা নেমেছিল পরে।

serbian-rottweiler
কমব্যাট ডিটেকটিভ কুকুর সাহসী রটওয়াইলার

তারপরের ইতিহাস প্রায় প্রত্যেকেরই জানা। এছাড়াও আইএস নেতা আল বাগদাদিকে ধাওয়া করে হত্যা করার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল এই প্রজাতিটি। সম্প্রতি বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগঢ় ইত্যাদি একাধিক রাজ্যে মাওবাদী আন্দোলন দমনেও কাজে লাগানো হয় এদের। এর পাশাপাশি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক একটি তথ্য। যৌথবাহিনীর এই কৌশলের বিরুদ্ধে নাকি পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে মাওবাদীরাও, স্থানীয় দেশি কুকুরদের শ্রবণ এবং ঘ্রাণশক্তিকে ব্যবহার করে। যৌথবাহিনী মাওবাদীদের ডেরায় পৌঁছনোর অনেক আগেই চিৎকার করে তাদের সতর্ক করে দেয় এরা। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের একাধিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে দেশি কুকুরদের নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ইদানীং। ঠিকঠাক সুযোগ এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে এরাও যে বিদেশি প্রজাতির সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত এইসব প্রতিরক্ষাবাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ আধিকারিকই।

অবশেষে আসি এই না-মানুষী গোয়েন্দাদের পরিণতির কথায়। যে কোনও সরকারি বাহিনীতেই নিয়ম এবং বয়ঃসীমা মেনেই নিয়োগ, পদোন্নতি এবং অবসর গ্রহণের ব্যবস্থা থাকে এদেরও। থাকে অবসরের পর আজীবন ভরণপোষণের সুবন্দোবস্ত। এছাড়াও বহুক্ষেত্রে অনেক সহৃদয় সারমেয়প্রেমীকেই পুষ্যি নিতে দেখা যায় এইসব চারপেয়ে সরকারি গোয়েন্দাদের। যাদের মধ্যে অন্যতমা পশ্চিমবাংলার মাননীয়া সাংসদ শ্রীমতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় জার্মান শেপার্ড প্রজাতির এই পোষ্যটিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিকবার চর্চা হয়েছে একাধিক নিউজ় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

দেখেশুনে কী ভাবছেন?
বাড়িতে আনবেন নাকি এরকম একজন না-মানুষী ফেলুদা, ব্যোমকেশ বক্সী বা হোমস সায়েবকে?

জন্ম ও বেড়ে ওঠা উত্তর কলকাতার পুরোনো পাড়ায়। বহু অকাজের কাজী কিন্তু কলম ধরতে পারেন এটা নিজেরই জানা ছিল না বহুদিন। ফলে লেখালেখি শুরু করার আগেই ছাপ্পান্নটি বসন্ত পেরিয়ে গেছে। ১৪২১ সালে জীবনে প্রথম লেখা উপন্যাস 'দ্রোহজ' প্রকাশিত হয় শারদীয় 'দেশ' পত্রিকায় এবং পাঠকমহলে বিপুল সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে আরও দুটি উপন্যাস 'জলভৈরব' (১৪২২) এবং 'বৃশ্চিককাল' (১৪২৩) প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে পুজোসংখ্যা আনন্দবাজার এবং পত্রিকায়। এছাড়া বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং দু চারটি ছোটগল্প লিখেছেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা আর লিটিল ম্যাগাজিনে। তার আংশিক একটি সংকলন বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে 'ব্যবসা যখন নারীপাচার' শিরোনামে। ২০১৭ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার।

One Response

  1. লেখকের লেখনি তে আমাদের চোখে যা সাধারণ /আটপোরে কোন বিষয় সেটিই হোয়ে ওঠে আকর্ষক/অসাধারণ। আবার ও মুগ্ধ হলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *